পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
জেলাশাসক পোন্নমবলম এস বলেন, স্কুলগুলিতে ফর্টিফায়েড চাল দেওয়া হয় যাতে আয়রনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রতিটি স্কুলে তা দেওয়া হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। পড়ুয়াদের খাবারের মান নিয়ে কোনও আপোষ করা হবে না।
জামুড়িয়ার বোরিংডাঙা হাইস্কুলে এদিন হাজির হয়েছিলেন জেলাশাসক। স্কুলে ঢুকেই শিক্ষকদের কাছে জানতে চান কোথায় মিড-ডে মিল রান্না হচ্ছে। সময় নষ্ট না করে সোজা হাজির হন রান্নাঘরে। গরম ভাত, সয়াবিন রান্না সবে হয়েছে। রাধুনীদের বলেন, ভাত আর একটু সবজি দেন। খাবার খেতে খেতেই জেলাশাসক জিজ্ঞাসা করেন আজকে যেসব উপাদান দিয়ে রান্না হয়েছে প্রতিদিন তাই দিয়ে হয় তো? চাল, ডাল সব পর্যাপ্ত পরিমাণে পান তো? রাঁধুনীদের কাছে উত্তর নিয়েই জেলাশাসক মিড-ডে মিলের ওসি কল্যাণ কুমার দাসকে বলেন খাতাগুলি ভালো করে দেখে নিতে। তারপর স্কুলের শিক্ষককে নিয়ে যেখানে চাল রাখা হয়েছে সেখানে হাজির হয়ে যান। চাল ছিল ড্রামে।
তিনি নির্দেশ দেন, কোন বস্তায় চাল এসেছে সেই বস্তা নিয়ে আসুন। এরপরই হাত ঢুকিয়ে চাল খেয়ে পরীক্ষা করেন গুণমান। মিড-ডে মিলের রান্না কোন জলে হয় তাও খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক। আসানসোলের এন সি লাহিড়ী স্কুলে যাচাই করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় পাল। হীরাপুরের মানিক চাঁদ গার্লস হাইস্কুলে যান মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের নানা প্রান্তে মিড-ডে মিলের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু ক্ষেত্রে মিড-ডে মিল খেয়ে পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার খবর এসেছে। তবে সাম্প্রতিককালে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এমন ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য বাড়তি তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে। প্রতি মাসে এই ধরনের ভিজিট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।-নিজস্ব চিত্র