পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
রানাঘাট নদীয়া জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন এবং শহর। একদিকে যখন এই শহর দক্ষিণ নদীয়ার ভরকেন্দ্র, তখন রানাঘাট রেলস্টেশন যুক্ত করেছে শিয়ালদহ-গেদে, শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর, শিয়ালদহ-শান্তিপুর এবং রানাঘাট-বনগাঁ শাখাগুলিকে। ফলে শহর ঠিক যতটাই ব্যস্ত, ঠিক ততখানি ব্যস্ত রেলস্টেশনটিও। এরই প্রভাবে শহরের দুই রেলগেট রথতলা এবং চাবিগেট দিনের হাতেগোনা সময় ছাড়া যানজট মুক্ত থাকেই না। অথচ শহরকে এই রেললাইন পূর্ব এবং পশ্চিমে ভাগ করেছে। প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে পুরসভা, আদালত থেকে থানার মতো কাজে পূর্বপাড়ার মানুষকে আসতে হয় পশ্চিমে। কিন্তু মাঝে লকগেটের কারণে দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়। এছাড়াও সীমান্তের দত্তপুলিয়া, ধানতলা, আড়ংঘাটা, হাঁসখালির মতো একাধিক এলাকা থেকে মানুষ চিকিৎসার জন্যও রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে আসতে গেলে ধৈর্য্যের প্রমাণ দিতে হয় দুই রেলগেটে। তাই দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় উড়ালপুল তৈরির দাবি রয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন হওয়া বা তার সম্ভাবনাও দেখা যায়নি কখনও। রাজনৈতিকভাবে কেন্দ্র-রাজ্য করেই শাসক-বিরোধীদের মধ্যে দায় ঠেলাঠেলি চলেছে দিনের পর দিন। তবে সম্প্রতি সেই কাজ শুরুর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। একটি আরটিআই-এর উত্তরে পূর্বরেলের শিয়ালদহ ডিভিশন জানিয়েছে, শহরের ওই দুই লকগেটের জন্য ইতিমধ্যেই ডিপিআর(ডিটেইলস প্রজেক্ট রিপোর্ট) তৈরির কাজ চলছে। সেই রিপোর্ট তৈরির পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অর্থাৎ এই রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট, রানাঘাট শহরের দীর্ঘদিনের যে সমস্যা তার সমাধানে উড়ালপুল তৈরির চিন্তাভাবনা করছে রেল। বিষয়টি নিয়ে আরটিআই করা সমাজকর্মী জয়দেব মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা এর আগেও বিষয়টি তুলে ধরেছিলাম প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। পরবর্তীতে এই আরটিআই করা হয়। দেখা যাচ্ছে রেল ডিপিআর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের কাছে বিষয়টি উপস্থাপিত করা হবে। সেক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণের ব্যাপার রয়েছে। এই কাজ হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।
কিন্তু আদেও কি এই কাজে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় হবে? কারণ, ফ্লাইওভার তৈরি করতে গেলে ঘিঞ্জি রানাঘাট শহরে জমি অধিগ্রহণ অন্যতম সমস্যা। রোড ওভারব্রিজ দৈর্ঘ্য-প্রস্থের জন্য বহু বাড়ি ভাঙা পড়তে পারে। রাজনৈতিক স্বার্থ সরিয়ে সেই কাজে দু’পক্ষ এক বিন্দুতে আদৌ মিলবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের সরকার মা-মাটি-মানুষের সরকার। আমরা যা কিছু করব মানুষের জন্যই করব। রেলের কাছ থেকে যদি এরকম প্রস্তাব আসে তাহলে পুরসভা যথাযোগ্য সাহায্য করবে। সমস্ত কিছুই হবে সাধারণ মানুষের স্বার্থকে সুরক্ষিত করে।