পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
ঝাড়গ্রাম জেলা হওয়ার পর থেকেই জমি মাফিয়াদের সক্রিয়তা বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জমি অবাধে দখল করার অভিযোগ উঠছে। জেলার বাইরে থেকে আসা লোকজনদের টাকার বিনিময়ে সরকারি জমিতে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খাস জমি একাধিকবার বিক্রি করে দেওয়ার মতো অভিযোগও রয়েছে। পাট্টা জমিও বেআইনিভাবে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। শহরের জলাশয়গুলিকে ভরাট করে বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। বেআইনি এই কারবার নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠেছে।
পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে রামকৃষ্ণ মিশন সংলগ্ন সরকারি জমি দিনেদুপুরে দখল হয়ে গিয়েছে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের স্কাউট মাঠের চারপাশের জমি দখলের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। অভিযোগ প্রশাসন এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কংসাবতী ক্যানেল সংলগ্ন জমি দখল করে বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা জমি দখলের চেষ্টা করছে বলে বাসিন্দারা সরব হয়েছিলেন। এরপরেই নড়েচড়ে বসে ঝাড়গ্রাম পুরসভা। রবিবার পুরসভার তরফে ওই সরকারি জমি কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। বেআইনি দখল রুখতে সরকারি জমি কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
পুরসভার দেরিতে ঘুম ভাঙা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ বলেন, পুরসভা এলাকার সব সরকারি জমি কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি খাস জমি এদিন কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। জায়গাটি সরকারের উল্লেখ করে বোর্ড বসানো হয়েছে। আর সরকারি জমি দখল করে যারা বাড়ি তৈরি করছে, তাদের চিহ্নিত করে জমি পুনরুদ্ধার করা হবে।
শহরের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, ঝাড়গ্রাম জেলা হওয়ার পরই শহরে জনসংখ্যা বাড়ছে। নতুন নতুন বাড়িঘরও তৈরি হচ্ছে। জমি মাফিয়ারা শহরের খাস জমি দখল করছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের মদতেই বেআইনি এই কারবার চলছে। সবাই জানে কারা এই কাজের পিছনে আছে।
ঝাড়গ্রাম জেলার বিজেপি সভাপতি তুফান মাহাত বলেন, যেসব প্রভাবশালী এই কারবার চালাচ্ছে তাঁরা শাসকদলের ছত্রচ্ছায়ায় রয়েছেন। পুরসভার এই উদ্যোগ লোক দেখানো ছাড়া কিছু নয়। জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি প্রসূন ষড়ঙ্গী বলেন, সরকার জেলার উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। দলের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে জায়গা-জমির কেনাবেচার ব্যাপারে দলের কেউ যেন জড়িত না থাকে। অভিযোগ এলে দল থেকে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুরসভা যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সাধুবাদযোগ্য।-নিজস্ব চিত্র