পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
বিধানবাবু বলেন, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে মাইথন জলাধার সংলগ্ন এলাকাগুলিকে পর্যটনস্থল হিসেবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় কটেজ গড়ারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে মাইথনে রোপওয়ে চালু করার জন্য রাজ্য পর্যটন দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের সেরা পিকনিক স্পট মাইথন। পাহাড়ে ঘেরা বিশাল জলাধারের সৌন্দর্য মানুষকে মোহিত করে। জলাধারে বোটিং, নৌকায় করে জলাধার ঘোরার ব্যবস্থা রয়েছে। ঝাড়খণ্ড প্রান্তে গেলে স্পিডবোটে করে জলাধারে ঘোরার সুযোগ থাকে। পাহাড়, জঙ্গল ও জলাধার, তিনের মেলবন্ধনে এক আলাদা রূপ রয়েছে এই জলাধারের। ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এখানে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে। সেই সময়ে পুলিস-প্রশাসন নজরদারিও বাড়ায়। এলাকার পরিচ্ছন্নতার উপরও জোর দেওয়া হয়। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে মানুষের ভ্রমণে উৎসাহ বেড়েই চলেছে। তাই বড়দিনের অপেক্ষা না করেই অনেকে পিকনিক শুরু করে দিয়েছেন। ১ডিসেম্বর রবিবার থেকেই কার্যত পিকনিক শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলা-ঝাড়খণ্ডের এই সীমানায়। মাসের দ্বিতীয় রবিবার এদিন সেই ভিড় আরও বাড়ল। বোকারো থেকে এসেছিলেন সুনীল মল্লিক। তিনি বলেন, মাইথনের মতো ভালো পিকনিক স্পট ঝাড়খণ্ডে নেই। আমরা বারবার এখানে পিকনিক করতে আসি। বোকারো থেকে আসা পায়েল ঠাকুর বলেন, জলাশয় ও পাহাড়ের এমন মেলবন্ধন খুব কম জায়গাতেই দেখতে পাওয়া যায়। এই এলাকায় রোপওয়ে ও কিছু অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস চালু হলে এই এলাকার খ্যাতি আরও বাড়বে। কাটোয়া থেকে এসেছিলেন দীপ নওয়াজ। তিনি বলেন, জায়গাটি প্রাকৃতিক দিক দিয়ে অপরূপ। কিন্তু পরিকাঠামো আরও উন্নত করা প্রয়োজন। বহু মানুষ এখানে পিকনিক করতে আসেন। তাই আবর্জনা জমা হচ্ছে। পরিষ্কারের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই মাইথন পর্যটক পূর্ণ হওয়ায় খুশি মাঝিরাও। পিকনিকের মরশুমের জন্যই সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন তাঁরা। কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই সেই মরশুম শুরু হয়ে যাওয়ায় বাড়তি উপার্জন হচ্ছে তাঁদের।