পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
তিলপাড়া ব্যারেজে ভারী যানবাহন বন্ধ থাকলে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়তে হবে জেলার পাথর শিল্পাঞ্চলের ব্যবসায়ীদের। কারণ এই শিল্পের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে জেলার একটি বড় অংশের অর্থনীতি। পাশাপাশি সমস্যায় পড়তে হবে বালি ব্যবসায়ীদের। ঘুরপথে যাতায়াতে অতিরিক্ত খরচ হবে। ফলে কীভাবে এই দু’মাস সমস্যা এড়ানো যায় তা এদিন আলোচনা হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত প্রায় ৭৫বছরের পুরনো এই তিলপাড়া ব্যারেজের বেহাল অবস্থা। ব্যারেজের উপর জাতীয় সড়কের পিচ উঠে গিয়ে কংক্রিট বেরিয়ে পড়েছে। পাশাপাশি সেচদপ্তরের দাবি, ব্যারেজের নীচের অংশে মাটি দুর্বল হয়েছে। ব্যারেজের বেশকিছু জায়গায় ফাটলও দেখা দিয়েছে। তাই দ্রুত এই ব্যারেজ মেরামতের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পাঞ্জাবি মোড় থেকে মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই রাস্তার সঙ্গে দুবরাজপুরে যুক্ত হচ্ছে পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়ক। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদ থেকে আসানসোলগামী সমস্ত গাড়ি এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করে। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার উপর থাকা তিলপাড়া ব্যারেজে ভারী যানবাহন যাতায়াতে বন্ধ থাকায় কিছুটা হলেও সমস্যা হবে বলে প্রশাসনিক কর্তারা মনে করছেন।
পাচামি মাইনস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি মসিরুদ্দিন মণ্ডল বলেন, মূলত ওভারলোডেড গাড়ি যাতায়াতের জন্য এই ব্যারেজের বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। জেলাশাসক ওভারলোডেড গাড়ি যাতায়াতের ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নিয়ে বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিলপাড়া ব্যারেজের অবস্থাও খুবই খারাপ। তাই তা মেরামত করা প্রয়োজন। আমরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করব। ঘুরপথে গাড়ি যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা না হয় সেই বিষয়টিও দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছি।
জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, তিলপাড়া ব্যারেজটি খুবই পুরনো। তাই সেটি মেরামতের প্রয়োজন রয়েছে। ব্যারেজে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। রাস্তাটিও মেরামত করতে হবে। তাই দু’মাসের জন্য ব্যারেজে এবং জাতীয় সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করা হচ্ছে। শুধুমাত্র ছোট ও হাল্কা গাড়ি ব্যারেজের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।