পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। ... বিশদ
প্রহৃত দুই মহিলার বাড়ি পশ্চিমপাড়া পঞ্চায়েত এলাকায়। ওই পরিবারের অভিযোগ, বছর দেড়েক আগে এক বধূকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রায় তিন লক্ষ টাকা নেন সেখানকার পঞ্চায়েত সদস্য সফিউল্লা খান। কিন্তু, বহুদিন কেটে গেলেও চাকরি হয়নি। বধূর স্বামীর দাবি, তিনি একাধিকবার ওই নেতার কাছ থেকে টাকা ফেরত চাইতে যান। কিন্তু, আশাহত হন। অবশেষে বুধবার বিকেলে তাঁর স্ত্রী ও মা টাকা ফেরত চাইতে যান। অভিযোগ, বাড়িতে ওই নেতা মহিলাদের মারধর করে। তারসঙ্গে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে। ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধার করে কামারপুকুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে তাঁর মা-কে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয় বলে দাবি। তারপর রাতেই ওই নেতার বিরুদ্ধে গোঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, মারধরের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। তিনি পাল্টা বলেন, দলের একাংশ আমাকে কালিমালিপ্ত করতে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে আমার পরিচিত একজন টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকার কিছু অংশ এদিনই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকাও দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হবে। এখানে চাকরির নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। ভোটে আমার বুথে দলকে লিড দিয়েছি। দলের জন্য কাজ করি। অথচ একাংশ পিছনে লাগছে।
যদিও এই ঘটনা ঘিরে বিজেপি কটাক্ষ করেছে তৃণমূলকে। বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, তৃণমূলের অনেক নেতাই চাকরির নামে টাকা তুলেছে। অনেকের চাকরি হয়েছে। অনেকের আবার হয়নি। যাদের হয়নি তারা টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। প্রশাসন কিছু করছে না।
তৃণমূলের গোঘাট-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন দিগার বলেন, বিজেপির অভিযোগের গুরুত্ব নেই। এরকম একটি অভিযোগের কথা শুনেছি। চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়া দল বরদাস্ত করে না। এটা দলের নীতি নয়। আমরা অন্যান্যকে প্রশ্রয় দিই না। পুলিস ঘটনার তদন্ত করে দেখুক। দলও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। -নিজস্ব চিত্র