সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: তৃণমূলের পার্টি অফিসে দলীয় পতাকা টাঙিয়ে দখল করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে খড়্গপুর শহরের ছোট আয়মা এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। তৃণমূলের নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান তথা পুরসভার চেয়ারপার্সন কল্যাণী ঘোষ বলেন, ওরা আমাদের পার্টি অফিসে গেরুয়া পতাকা টাঙিয়ে দখলের চেষ্টা করে। যদিও বিজেপি নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দখলের অভিযোগ তুলে পার্টি অফিসের সামনে অবরোধ বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূলের কর্মীরা। অপর দিকে প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে অবস্থানে বসে বিজেপিও। দুই দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তাকে কেন্দ্র করেই হয় ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি। পদস্থ আধিকারিকদের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। অভিযোগ, গণ্ডগোলের মধ্যে পড়ে দুই পুলিস কর্মী জখম হন। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের দুই কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। অনেক রাতে ঠিক হয় দু’পক্ষ প্রশাসনের কাছে তাদের বক্তব্য জানাবে। ততক্ষণ অফিসে কেউ ঢুকবে না। এরপর রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জানা গিয়েছে শনিবার দুই দলের নেতৃত্ব পৃথক পৃথকভাবে খড়্গপুরের এসডিও পাতিল যোগেশ অশোক রাওয়ের সঙ্গে দেখা করেন। প্রসঙ্গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার মুকেশ হুমনে বিজেপিতে ফিরে আসেন। আগে তিনি অবশ্য বিজেপি কাউন্সিলারই ছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগ, তিনি দলে ফেরার পর ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল অফিসে বিজেপির পতাকা টঙিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই দল বেঁধে তৃণমূল নেতা, কর্মীরা এলাকায় চলে এসে ঘটনার প্রতিবাদ করেন। জমা হন বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মীরাও। দাঁতন থেকে প্রার্থী অগ্নিমিত্রা আসার পরই উত্তেজনা চরমে ওঠে।
প্রার্থী বলেন, উনি আগে বিজেপিতে ছিলেন। তখন পার্টি অফিস বিজেপির ছিল। পরে তিনি তৃণমূলে চলে গেলে পার্টি অফিস তৃণমূলের হয়ে যায়। এখন তিনি বিজেপিতে ফিরে এসেছেন তাই পার্টি অফিসকে বিজেপির পতাকা টাঙান। মুকেশ বলেন, তৃণমূলের কল্যাণী ঘোষ, রবি পাণ্ডেরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময় কী পার্টি অফিস ছেড়ে এসেছেন। সেই সব পার্টি অফিস তো তৃণমূলের হয়ে গিয়েছে।
তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী বলেন, ওই অফিসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আছে, আমাদের দলের পতাকা আছে। সেই অফিস দখল হবে কী করে। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কী নামানো যায়। তিনি অভিযোগ করেন, ওদের প্রার্থী বাইরে থেকে লোক এনে পার্টি অফিস দখল করার চেষ্টা করেছেন। তিনি নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি দীপসোনা ঘোষ বলেন, ওদের কাউকে আমাদের কেউ মারধর করেনি। তৃণমূলের নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান অবশ্য বলেন, আমাদের দুই কর্মীকে মারধর করা হয়েছে।