একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূর স্বামীর দীঘায় ঝিনুকের নানা সামগ্রীর দোকান রয়েছে। সেখানে মাঝেমধ্যে ওই গৃহবধূও বসতেন। তাঁর বাপেরবাড়ি চণ্ডীপুর থানার পিছলদা গ্রামে। দম্পতির চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। দীঘায় দোকানে বসার সময় ভগবানপুরে যুবক রঞ্জিতের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। দু’জনের পরস্পরকে ভালোলাগা শুরু হয়। ১৮ বছরের যুবকের সঙ্গে ২৪বছরের বধূর প্রণয়ে বয়স বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। পরস্পরের মধ্যে ফোন নম্বর আদান প্রদান হয়। তারপর ফোনে দু’জনের প্রেম আরও গাঢ় হয়। মাঝেমধ্যেই দীঘায় গিয়ে ওই বধূর সঙ্গে সাক্ষাৎ করত রঞ্জিত।
মাস তিনকে আগে রঞ্জিত ওই বধূকে নিয়ে কেরলে চলে যায়। সেখানে নিজে সোনার কারিগরের কাজ করত। স্বামী এবং সন্তানকে ছেড়ে সেখানে প্রেমিকের সঙ্গে থাকা শুরু করেন ওই বধূ। মাকে দেখতে না পেয়ে চার বছরের ওই শিশু প্রায়ই কান্নাকাটি করত। শেষপর্যন্ত ওই গৃহবধূর স্বামী ভূপতিনগর থানার দ্বারস্থ হন। স্ত্রীকে প্রেমিকের খপ্পড় থেকে উদ্ধার করতে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই বধূর স্বামী পুলিসকে জানান, স্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস ও ভালোবাসা থেকেই তিনি জমি এবং বাড়ি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন। এখন স্ত্রী অন্য কাউকে বিয়ে করে নিলে তাঁর পথে বসার অবস্থা হবে। মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখে কেরলে ওই বধূ ও তাঁর প্রেমিকের সন্ধান পায় পুলিস। সেখান থেকে ওই বধূকে উদ্ধার করা হয়। পাকড়াও করা হয় প্রেমিককে।
গত এক মাসের মধ্যে শুধুমাত্র ভূপতিনগর থানায় ১২জন নাবালিকা পালানোর ঘটনা ঘটেছে। একদিন তিন নাবালিকা পালানোর অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মধ্যে এখন ভূপতিনগরে এধরনের অভিযোগ বেশি আসছে। নাবালিকার পাশাপাশি বধূও পালাচ্ছে।