একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
গুসকরার রেঞ্জার সমীরণ মুখোপাধ্যায় বলেন, গাছে মাটির ভাঁড় ঝুলিয়ে রাখলে পাখি, কাঠবেড়ালিদের তৃষ্ণা নিবারণ হবে। দু’দিনের মধ্যেই মাটির ভাঁড় গাছে ঝোলানো হবে। বিভিন্ন শুকিয়ে যাওয়া জলাশয়েও জল ভরা হবে।
আউশগ্রাম জঙ্গলে নানা ধরনের পাখি, ময়ূর, কাঠবেড়ালি, প্যাঙ্গোলিন, হেঁড়োল, খরগোশ রয়েছে। কিন্তু গরমে পশুপাখিদের জলের অভাব দেখা দিয়েছে। গুসকরা, প্রতাপনগর, ভাল্কি, যাদবপুর, ভাতারের ওড়গ্রাম জঙ্গলেও একই অবস্থা। বননবগ্রাম, ওড়গ্রাম, ভাল্কি জঙ্গলে সাত-আটটি জলাশয় শুকিয়ে গিয়েছে। ওই সমস্ত জলাশয়ে ট্যাঙ্কার দিয়ে জল ভরা হবে। তার জন্য বনদপ্তর পুরসভাকে চিঠি দিয়েছে।
পাখিদের তৃষ্ণা নিবারণে প্রাথমিকভাবে ৫০টি মাটির ভাঁড় কেনা হচ্ছে। সেগুলি বিভিন্ন গাছে ঝুলিয়ে তাতে ঠান্ডা জল রাখা হবে। গাছে কৃত্রিম বাসা করা হবে। যাতে পাখিরা আশ্রয় ও জল পায়। এতে ময়ূরেরও তৃষ্ণা নিবারণ হবে। প্রথম ধাপে বনদপ্তরের গুসকরা অফিস লাগোয়া জঙ্গলে এই কাজ হবে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন জঙ্গলে মাটির ভাঁড় ঝোলানো হবে।
আদুরিয়া জঙ্গলে হেদোগড়িয়া, রাঙ্গাখুলা এলাকায় দু’টি জলাশয় সংস্কারের অভাবে শুকিয়ে গিয়েছে। তাই ওই জঙ্গলে জলের পাত্র রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হেদোগড়িয়াতে ময়ূরের দল জলের জন্য লোকালয়ে চলে আসছে। আদুরিয়ার জঙ্গলে সেচখালও শুকিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অন্য বছর এমন সময় জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়া সেচখালে জল থাকে। তাতে অন্তত পশুপাখিদের তৃষ্ণা নিবারণ হয়। এবার তাও নেই। আদুরিয়ায় পশুপাখির জন্য জলাশয় দু’টি বনদপ্তর সংস্কার করতে পারত বলে বন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান।