একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির দাবি, গরমে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়েছে। শহরে প্রচুর পরিমাণে এসি চলায় বিদ্যুৎ সরবরাহের গিয়ার গরমে অটোমেটিক ছেড়ে দিচ্ছে। একটু ঠান্ডা হলেই ফের গিয়ার তোলা হচ্ছে। তাদের দাবি, লোডশেডিং হলেও পাঁচ-দশ মিনিটের বেশি তা স্থায়ী হতে দেওয়া হচ্ছে না। লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি লো ভোল্টেজ, সিরিজ লাইনও সমস্যা বাড়াচ্ছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি হয়নি। গ্রাউন্ড আর্থিং কমে যাওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে। তবে বৃষ্টি হলেই সব সমস্যা মিটে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দাবি করছে।
মুর্শিদাবাদ জেলায় শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভূপৃষ্ঠ থেকে তাড়াতাড়ি তাপ বিকিরণ না হওয়ায় গভীর রাত পর্যন্ত তাপপ্রবাহ থাকছে। গুমোট আবহাওয়ায় গাছের পাতাও নড়ছে না। এর মধ্যে গত দু’সপ্তাহ লোডশেডিংয়ের জেরে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বেলা গড়াতেই দফায় দফায় লোডশেডিং শুরু হচ্ছে। রাতে বিভিন্ন এলাকা অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে। বিশেষ করে সুতির মাঠ, চালতিয়া, ভাকুড়ি, বিবেকানন্দপল্লি, হরিদাসমাটি এলাকায় লোডশেডিং সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। খাগড়া, গোরাবাজার এলাকার বাসিন্দারাও লোডশেডিংয়ের জেরে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
বিবেকানন্দপল্লির বাসিন্দা রাজীব শীল বলেন, এমনিতেই তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকাই কঠিন হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে রাতে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বারবার ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। সুতির মাঠ এলাকার বাসিন্দা স্বাধীন মণ্ডল বলেন, মাথার উপর ফ্যান ঘুরলে কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে। কিন্তু প্রায় প্রতি ঘণ্টায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় শরীরের ক্লান্তিভাব কাটছে না। কাজে মন বসছে না। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির এই সমস্যা মেটাতে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।