একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
খণ্ডখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাকদহ বুথের সভাপতি গৌরাঙ্গ খাঁড়া, সম্পাদক অনুপ মান্না সহ গোটা কমিটি দলের আদি শিবির ঘনিষ্ঠ। তাঁদের অভিযোগ, দলের একটা অংশ প্রতিমুহূর্তে অসহযোগিতা করছে। নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকছে। ভোটের মুখে তাঁদের কালিমালিপ্ত করতেই পরিকল্পনা করে মহিলাঘটিত বিষয়ে পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের রাশ নিজেদের হাতে রাখতেই নব্য গোষ্ঠীর পরিকল্পনা। তার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার চাকদহ বুথের সভাপতি, সম্পাদক সহ মোট ১৩জন বুথ কমিটির সদস্য একযোগে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতির কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন। তার কপি পাঠানো হয়েছে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। কপি দেওয়া হয়েছে স্থানীয় পাঁশকুড়া পশ্চিম-৩ মণ্ডল কমিটির সভাপতিকেও।
পাঁশকুড়ায় দলের আদি-নব্য সংঘাতের এই ঘটনা নতুন নয়। তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সভাপতি থাকাকালীন তখন থেকেই দু’পক্ষের সংঘাত প্রকাশ্যে আসে। জেলা সভাপতি রদবদলের পর পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভায় একসঙ্গে চারটি মণ্ডলের সভাপতি পদে পরিবর্তন হয়। ২০২৩ সালে ২৪আগস্ট ওই রদবদলের দিনে পাঁশকুড়ার আদি গোষ্ঠীর নেতা-নেত্রীরা সল্টলেকে রাজ্য পার্টিঅফিসে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভ দেখান। তার জেরে গতবছর ২৮ আগস্ট অপসারিত দুই মণ্ডল সভাপতি সহ ২২ জন নেতানেত্রীকে শোকজ করে দল। পাশাপাশি তাঁদের দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে নিষেধ করা হয়।
পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী অতনু মান্না বলেন, মহিলাঘটিত মিথ্যা ঘটনা নিয়ে আটকে রাখা ও সালিশিতে জরিমানার ঘটনা ঘটেছে। আমাকে নিগ্রহ করা হয়েছে। পার্টির একাংশ এই কাজে যুক্ত। বিষয়টি পার্টি নেতৃত্বকে জানানোর পরও সুফল মেলেনি। তাই ইস্তফার সিদ্ধান্ত। পাঁশকুড়া পশ্চিম-৩ মণ্ডল কমিটির সভাপতি শশাঙ্ক পট্টনায়েক বলেন, একটা বিষয় নিয়ে চাকদহ বুথে নিজেদের মধ্যে সমস্যা হয়েছিল। আমরা সেটা বসে মিটমাট করে নেওয়ার চেষ্টা করছি। নিজস্ব চিত্র