আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে কোলাঘাটের বড়দাবাড় বাজারে জাতীয় সড়ক লাগোয়া নিজের বাড়ির মধ্যেই খুন হন তপতী মান্না(৫২)। দুষ্কৃতীরা বাড়ির ভিতরে ঢুকে তাঁকে খুন করে আলমারি থেকে নগদ টাকা ও সোনাদানা নিয়ে চম্পট দিয়েছে। এখনও দুষ্কৃতীরা গ্রেপ্তার হয়নি। কয়েকদিন আগেই এই বাজারে জাতীয় সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ছায়া কর। দুষ্কৃতীরা বেপরোয়া গতিতে বাইকে এসে কান ছিঁড়ে সোনার দুল নিয়ে চম্পট দেয়। বড়দাবাড় থেকে খানিকটা দূরে পদুমপুর বাসস্টপ। মাস তিনেক আগে জাতীয় সড়কের ধারে এই পদুমপুরে একটি ময়দা মিলে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা ডাকাতি হয়েছে।
গতবছর নভেম্বর মাসে জাতীয় সড়কে দেউলবাড়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমীর পড়িয়াকে খুন করে সোনাভর্তি ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনার পর বড়দাবাড়, জিঞাদা, দেউলবাড়, সাগরবাড়, সিদ্ধা প্রভৃতি এলাকার ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ নাগরিক সুরক্ষা কমিটি গড়ে নিরাপত্তার দাবিতে সরব হন। ওই কমিটির সম্পাদক হলেন যুগল মান্না। কোলাঘাটের বড়দাবাড়ের ওই ব্যবসায়ীর বউদি তপতী মান্না গত ১৫ তারিখ বাড়িতে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছেন।
উত্তর জিঞাদা, সিদ্ধা প্রভৃতি এলাকা সন্ধ্যার পর দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে। অবৈধ তেল কাটিং থেকে চোরাই কাঠ পাচারের ঘটনা ঘটছে। জাতীয় সড়ক বরাবর রাস্তার ধারে প্রাইভেট গাড়ি পার্কিং করে হোটেলে ঢুকলে নিমেষে গাড়ি থেকে তেল চুরি হচ্ছে। হামেশাই এই ঘটনায় বিপদে পড়ছেন মানুষজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পার্কিং করা গাড়ি ঘেঁষে দুষ্কৃতীরা নিজেদের গাড়ি রাখছেন। তারপর ছোট পাইপের সাহায্যে কোনও আওয়াজ ছাড়াই নিমেষে তেল টেনে ট্যাঙ্ক খালি করে চম্পট দিচ্ছে।
বড়দাবাড় বাজারের কোয়াক ডাক্তার প্রণব গাঁতাইত, প্লাস্টিক কারখানার মালিক দীপক মান্না, স্থানীয় গ্রাম কমিটির সম্পাদক শীতল বর্মন বলেন, ৬নম্বর জাতীয় সড়ক এখন অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য। হামেশাই চুরি, ছিনতাই হচ্ছে। পরপর খুনের ঘটনাও ঘটে গেল। মেচগ্রাম থেকে কোলাঘাটে হলদিয়া মোড় পর্যন্ত এই ১০কিলোমিটার এলাকায় সুরক্ষার উপর নজর দিতে হবে। এই ১০কিলোমিটার জুড়ে জাতীয় সড়কে স্ট্রিট লাইট, সিসি ক্যামেরা লাগানো হোক। সেইসঙ্গে পুলিসের টহল বাড়ানো হোক। একমাত্র দেউলিয়া বাজার ছাড়া অন্য কোথাও আলোর ব্যবস্থা নেই।
নাগরিক সুরক্ষা কমিটির মুখপাত্র নারায়ণ নায়ক বলেন, ১৫তারিখ তপতী মান্না খুনের ঘটনায় কেউ ধরা পড়েনি। বৃহস্পতিবার এনিয়ে জেলাশাসক, পুলিস সুপারের অফিসে ডেপুটেশন দিয়েছি। এই তল্লাটে খুন, চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা নিত্য ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুনিদের গ্রেপ্তার, দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বন্ধে পুলিস পিকেট বসানো, হাইমাস্ট লাইট ও সিসি ক্যামেরা লাগানোর দাবি জানানো হয়েছে। নিজস্ব চিত্র