সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
সোনামুখী পুরসভার চেয়ারম্যান সন্তোষ মুখোপাধ্যায় বলেন, বৈষ্ণব সাধক মনোহরদাসের প্রতি শহরের নাগরিকদের একটা আবেগ রয়েছে। বহু পুরনো ওই উৎসবকে হেরিটেজ মেলার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি। বাবা মনোহরদাস জিউ সেবা মণ্ডলের সম্পাদক নবকুমার হেঁস বলেন, প্রতি বছর রামনবমীর দিন উৎসব আরম্ভ হয়। তিনদিন ধরে তা চলে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধকরা আসেন। তাঁরা আখড়ায় বাউল ও নাম সংকীর্তন করেন। তাঁদেরকে কমিটির তরফ থেকে ‘সিধে’ অর্থাৎ কিছু চাল ও ডাল সামগ্রী দেওয়া হয়। উৎসব কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনামুখীর বাসিন্দা মনোহরদাস একজন তাঁতশিল্পী ছিলেন। তাঁত চালানোর সময় তিনি হরিনাম সংকীর্তন করতেন। পরবর্তীকালে তিনি সংসার ত্যাগ করে নবদ্বীপে নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর স্ত্রী জাহ্নবীদেবীর কাছে বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত হন। এরপর ভারতবর্ষের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে ঘোরেন। পরে পুনরায় সোনামুখীতে ফিরে আসেন। শহরের শ্যামসুন্দর রাধারানি মন্দিরে থেকে বৈষ্ণব ধর্মের প্রচার করেন। ধীরে ধীরে ভক্তের সংখ্যা বাড়ে। ১৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দে রামনবমীর দিন তিনি ভক্তদের সামনে জীবিত অবস্থায় স্বেচ্ছায় সমাধিস্থ হন। সেই থেকে ভক্তদের কাছে তিনি দেবজ্ঞানে পুজিত হন। ওই দিনটিকে স্মরণ করে ভক্তরা প্রতি বছর উৎসবের আয়োজন করেন। রামনবমীর সময় তিনদিন শহরের তন্তুবায় সম্প্রদায়ের হাতে ঠাকুরের সেবার দায়িত্ব পড়ে। সকালে চলে নাম সংকীর্তন। রাতে বিশেষ ভোগ রান্না হয়।