যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
কথায় বলে, যত গর্জায়, তত বর্ষায় না। জে পি নাড্ডার ফ্লপ শো প্রসঙ্গে এখন এমনটাই বলছে রাজনৈতিক মহল। রবিবার মাত্র ৪৫ মিনিটের কিছু বেশি সময় সভামঞ্চে কাটিয়ে বিকেল তিনটের আগেই হেলিকপ্টারে চেপে বগুলা ছাড়েন নাড্ডা। তখনও শান্তিপুর, নবদ্বীপ সহ বহু জায়গা থেকে কর্মীদের অনেকের সভায় আসা বাকি। নাড্ডার ভাষণ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্মীদের অনেককে মাঠ ছাড়তে দেখা গিয়েছে। রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে সর্বভারতীয় সভাপতির সভা যে একেবারেই জমেনি, তা দলের নিচুতলার কর্মীদের অনেকেই স্বীকার করে নিচ্ছেন। তাঁরা বলেন, নির্বাচনের আর মাত্র দু’সপ্তাহ বাকি। হতে পারে প্রচণ্ড গরম ও রবিবার হওয়ায় সেভাবে ভিড় হয়নি। কিন্তু এর পরে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এলে ভিড়ের ছবি যদি এরকম থাকে, তাহলে মুখরক্ষার উপায় থাকবে না।
যদিও ভিড় না হওয়ার বিষয়টি বিজেপির জেলা নেতৃত্ব মানতে চায়নি। দলের নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, নাড্ডাজির সমর্থনে যত মানুষ সভাস্থলের ভেতরে ছিলেন, বাইরে কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি তার চেয়েও বেশি ছিল। আগামীতে আমাদের জনসভায় তিল ধারণের জায়গা থাকবে না।
বিজেপি নেতৃত্ব এই দাবি করলেও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বিষয়টি অন্য চোখে দেখছেন। মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপির জনসভায় জমায়েত কম হওয়াকে গেরুয়া শিবিরের জন্য অশুভ ইঙ্গিত বলেই তাঁরা মনে করছেন। তাঁদের অনেকেই বলছেন, সিএএ লাগু হওয়ার পর থেকে বিজেপির প্রতি মতুয়াদের আস্থা অনেকটাই কমে গিয়েছে। সভায় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব যদি নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভাষণ দিতেন, তাহলে সেটাও অনেকক্ষেত্রে ড্যামেজ কন্ট্রোল করত। কিন্তু সেটাও হয়নি। রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি যে খুব কম, তা ওই সভায় প্রমাণিত হল। পদ্ম শিবিরের ওপর মতুয়াদের সমর্থন কতটা রয়েছে, তার অনেকটাই রবিবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
বিজেপি কর্মীদের অনেকেই বলছেন, নির্বাচনী প্রচারের শেষ মুহূর্তেও যদি সভায় ভালো ভিড় না হয়, তাহলে হয়তো শীর্ষ নেতৃত্বকে শুধুমাত্র রোড শো করেই দায় সারতে হবে। কারণ মতুয়াদের এলাকায় জমায়েত না করতে পারলে শান্তিপুর, নবদ্বীপের মতো তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে ভিড় বাড়ানো একপ্রকার অসম্ভব। তৃণমূলের দাবি, সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেওয়াতেই বিজেপির এমন হতশ্রী দশা। শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী কটাক্ষ করে বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে হুজুগের হাওয়ায় জিতে গিয়েছিলেন জগন্নাথ সরকার। মানুষ বুঝে গিয়েছে, বিজেপি ফাঁকা আওয়াজ করা ছাড়া আর কিছুই পারে না। শান্তিপুরে এলে ওদের সভার সামনে খালি চেয়ার ছাড়া আর কিছুই নজরে পড়বে না।