সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বুধবার আসানসোলে রামনবমী উদযাপনের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন আলুওয়ালিয়া। সেখানে তিনি রামগান শুরু করেন। সুরেলা কণ্ঠে গাইতে থাকেন—‘শ্রীরাম জয় রাম, জয় জয় রাম’ গাইতে গাইতে হঠাৎই সুরেলা হঠাৎই চিৎকার করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেন। এরপর শ্রোতাদের প্রশ্ন করেন, ‘কোনটা ভালো লাগলো? কিছু যুবক ‘জয় শ্রীরাম’ বলে চিৎকার জুড়ে দেন। আবার বেশিরভার লোক বলেন, ‘গানটাই ভালো লাগছিল।’ তখন বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘এই রামগানই আসানসোলের পাড়ায় পাড়ায় গাইবেন।’ এদিন পানাগড়ের একটি হনুমান মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন কীর্তি আজাদ। সেখানে পুরোহিত বিভিন্ন দেবতার নামে জয় ধ্বনি দেওয়ার সময় ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে যান। তাঁকে থামিয়ে কীর্তি বলেন, ‘বলুন জয় সিয়ারাম (সীতারাম)। আমাদের ধর্মে মায়ের স্থান প্রথমে।’
এদিন দুর্গাপুর সহ শিল্পাঞ্চলের নানা প্রান্তে রাম নবমীর মিছিল হয়। বিজেপির পাশাপাশি মিছিল করেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাও। আলুওয়ালিয়ার প্রথম কর্মসূচি ছিল বাসন্তী পুজোয় অংশ নেওয়া। কিন্তু তিনি যখন এলেন তখন দুপুর দু’টো। এখানেই অস্ত্র হাতে মিছিল করছিলেন বিজেপির নেতারা। তা দেখে আলুওয়ালিয়া বলেন, ‘অস্ত্র হল শৌর্য্যের প্রতিক। দধিচির হাড় দিয়ে ব্রহ্মাস্ত্র তৈরি হয়েছিল।’ এরপর তিনি যান আসানসোলের রাধানগরে। মঞ্চে না উঠেই স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে ভোজপুরী ভাষায় কথা বলেন প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘আমার জন্মস্থান জে কে নগরে। নাড়ি পোঁতা রয়েছে এখানে। তার ঋণ মেটাতে এসেছি।’
এদিন, রামনবমী পালনে বিজেপির সঙ্গে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিয়েছে তৃণমূলও। বারাবনির পাঁচগাছিয়ায় বিশাল র্যালিতে অংশ নেন আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। আসানসোলে একাধিক র্যালিতে ছিলেন শ্রম ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। উখরা ও পাণ্ডবেশ্বরে তৃণমূল আয়োজিত র্যালির পুরোভাগে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।