যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
রবিবার রেজিনগর থানার ছেতিয়ানি বাঁধের ধার থেকে ২৩টি তাজা সকেট বোমা উদ্ধার করেছিল পুলিস। সোমবার সেই এলাকায় ফের তল্লাশি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে আরও ২৭টি তাজা সকেট বোমা। ছেতিয়ানি বাঁধের ধারে আরও বোমা মজুত থাকতে পড়ে বলে অনুমান স্থানীয়দের। দিন কয়েক আগে এখানেই দু’পক্ষের বোমাবাজিতে বেশ কয়েকজন জখম হয়। তারপরেও পুলিস বোমা উদ্ধারে তৎপরতা দেখায়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, উপদ্রুত এলাকায় পুলিস হাত গুটিয়ে বসে থাকায় সাধারণ মানুষের প্রাণের ঝুঁকি বেড়েছে। সাবধানে বাড়ির বাইরে পা বাড়াতে হচ্ছে।
নির্বাচন এলেই বেলডাঙা, রেজিনগরের বাতাস বারুদের গন্ধে ভারী হয়ে ওঠে। এবারও পাশাপাশি দুই বিধানসভা এলাকা সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। তা নিয়েই ভোটের মুখে আতঙ্ক বাড়ছে। এদিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঝুনকার মাঝপাড়া। বিস্ফোরণের তীব্রতায় গ্রামের মানুষ আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসে। পরে জানা যায়, মাঝপাড়ায় মর্জিনা বিবির বাড়ির পাশে বিস্ফোরণ ঘটেছে। মর্জিনা বিবির একটি ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে। মর্জিনা বিবি বলেন, ওই সময় আমি আইসিডিএস সেন্টারে ছিলাম। বাড়িতে থাকলে আমারও প্রাণ সংশয় হতে পারত। দোষীদের গ্রেপ্তার করা উচিত। তদন্তে নেমে পুলিস এখনও কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।
ছেতিয়ানি বাঁধের ধার থেকে পর পর দু’দিন বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে। স্থানীয়দের দাবি, নির্বাচনে সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে বোমাগুলি ব্যবহার করা হতো। নজরুল শেখ বলেন, বাঁধের ধারে প্লাস্টিকের জারে বোমাগুলি রাখা ছিল। যে কোনও সময় বিপদ ঘটতে পারত। এতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। তাই পুলিসের এব্যাপারে আরও সজাগ হওয়া দরকার।