যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
পুজালি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে পোস্টার টাঙাতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মী ধীমান মণ্ডল। তাঁর ডান চোখের পাশে ক্ষত হয়েছে। তিনি পুলিসের কাছে এনিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলেছেন, এই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন পুজালীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তাপস বিশ্বাস সহ একাধিক তৃণমূল কর্মী। তাঁর কথায়, বৃহস্পতিবার পদ্ম প্রার্থী অভিজিৎ দাসের সমর্থনে রাস্তার ধারে পোস্টার টাঙানোর সময় তৃণমূল কর্মীরা তাঁর উপর চড়াও হন। প্রথমে রিভলবারের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। পরে রাস্তার উপর ফেলে চলে লাথি, চড়-কিল-ঘুসি। ঘটনার খবর পেয়ে আক্রান্তের বাড়ি গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎবাবু। তিনি বলেন, তৃণমূলের এই হামলার বিষয়টি জেলাশাসক, পুলিস সুপার ও নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তাপস বিশ্বাস বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। ঘটনা একেবারে আলাদা। একটি অটো করে বিজেপির ওই কর্মী যাচ্ছিলেন। অটোটি এক মহিলাকে ধাক্কা দেয়। এই নিয়েই লোকজন চড়াও হয় তাঁর উপর। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে গিয়ে বরং তাঁকে উদ্ধার করি।
অন্যদিকে, কুলতলি থানার দেউলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগর মোড়ে তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের সমর্থনে পথসভার জন্য মাইক বাঁধা চলছিল। অভিযোগ সেই সময় বিজেপির লোকজন চড়াও হয়। মারধরে তৃণমূল নেতা শ্যামাপদ মাইতির বুকের হাড় ভেঙেছে। এ নিয়ে কুলতলি থানায় অভিযোগ হয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, দলের সক্রিয় কর্মী জগদীশ সর্দার বাড়ির সামনে পথসভার জন্য মাইক বাঁধছিলেন। তাতে তৃণমূলের কর্মীরা বাধা দেন। তিনি প্রতিবাদ করলে তাঁর উপর হামলা চালায়। মারাত্মক জখম হন জগদীশবাবু। তাঁর স্ত্রী স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তিনিও নিগৃহীত হন। এনিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।