Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। হয়তো সেই দল সরকার গঠন করলে কিংবা কোনও নির্বাচনে বেশি আসন পেলে আমাদের নিজেদের ব্যক্তিগত কোনও লাভক্ষতি হয় না। আমার জীবন যেমন চলছিল তেমনই চলবে। আমার সব সমস্যার সমাধান আমাকেই করে নিতে হয়। আমার কোনও সমস্যা সমাধানে হয়তো রাষ্ট্র অথবা সরকারের কোনও সাহায্য পাই না। অথবা দরকার হয় না। নিজেদের যোগ্যতা অনুযায়ী উপার্জন। সরকার অথবা দলের সাহায্য ছাড়াই। এই যে নিজেদের জীবনে সরকার কিংবা কোনও দলের কোনও সংযোগ নেই, তা সত্ত্বেও এরকম অসংখ্য মানুষের একটি করে প্রিয় রাজনৈতিক দল থাকে। তাদের নেতানেত্রীরা এই মানুষদের চেনে না। কিন্তু সেইসব নেতানেত্রীর জয় পরাজয়ে এই মানুষের মন ভালো হয়। মন খারাপ হয়। ওই ঩প্রিয় দলের হয়ে এই মানুষেরা চেনা ও কাছের মানুষের সঙ্গে তর্ক করে। রাগারাগি করে। সোজা কথায় কোনও ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধার কথা ভেবে কিংবা ভালোমন্দ বিচার করে, এই অংশের মানুষ ভোট দেয় না। তাদের পরিচয় হল কমিটেড ভোটার। যে কোনও একটি দলের প্রতি তারা কমিটেড। সেই দল ভালো করুক, মন্দ করুক, এই অংশ তার সেই প্রিয় দলের প্রতি অনুগত।
আবার অন্য একটি শ্রেণি আছে যারা ভোট উদাসীন। রাজনীতিতে নির্লিপ্ত। সংখ্যায় এই অংশ কম। তবে আছে। এই অংশের ভোট কখন কে পাবে এবং আদৌ তারা ভোট দেবে কিনা সেটাও সর্বদা নিশ্চিত নয়। তারা বলে থাকে, আমি রাজনীতি বুঝি না। অথবা আমাকে তো বাবা সেই খেটেই খেতে হবে, কে জিতল কে হারল আমার কী যায় আসে। কিংবা এমনও বলা হয় যে, এই দল হারলে, ওই দল জিতলে কী এমন সমাজ পাল্টাবে? সব দলই সমান। দেখলাম তো এতকাল ধরে। যে যায় লঙ্কায়, সেই হয় চোর।
পাশাপাশি আরও ক্ষুদ্র একটি অংশ থাকে, যাদের নিশ্চিত আনুগত্য নেই কোনও বিশেষ দলের প্রতি। তারা নিজেদের মতামত পাল্টে ফেলে।  লোকসভায় কাউকে ভোট দিল। বিধানসভায় হয়তো অন্য কাউকে। ২০২১ সালে যাকে ভোট দিয়েছে, ২০২৪ সালে হয়তো অন্য পক্ষকে দিচ্ছে। এই অংশটিকে ভোট রাজনীতির পরিভাষায় বলা হয় ফেন্স সিটার। অর্থাৎ তারা যে কোনওদিকে হেলে যেতে পারে। অনেক সময় এই অংশের কারণে ভোটের ফলাফলে সামান্য হেরফের হয়ে যায় কিছু শতাংশের ভোটপ্রদানের রকমফেরে। 
এই যে ভোটারদের নানারকম মনস্তত্ত্ব এদের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল, যারা নিজেদের ভালোমন্দ বিচার বিবেচনা এবং বিশ্লেষণ করে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা লক্ষ্য করে তাদের জীবন কীভাবে চলছে। এই জীবনে তাদের মধ্যে স্বস্তি আছে কিনা। আরও অন্যরকম কিছু হতে পারে কি? হলে সেটা কেমন? কোন দল কী কী কথা বলছে। কাদের কথার ধরণ কেমন। যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়ে থাকে বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে, সেগুলির মধ্যে কোনগুলো কাজে আসবে। এবং সর্বোপরি কোনগুলি বিশ্বাসযোগ্য। আমাদের ভোট যারা চা‌ইছে, তাদের ভোট দিলে আমার লাভ কী হবে? এইরকম চিন্তাভাবনা করে যারা ভোট দেয়, তাদের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলির বিশেষ পক্ষপাত থাকে। তাদের মন জয় করার জন্য প্রতিযোগিতা চলে। কারণ, একটাই। এই ভোটাররা কমিটেড নয়। এদের ভোটের সিদ্ধান্ত পাল্টে যেতেই পারে। সুতরাং কীভাবে এদের প্রলোভিত করা যায় কিংবা অন্য পক্ষের কাছে এতদিন ধরে থাকা এই ভোটারদের কী উপায়ে নিজেদের দিকে টেনে আনা যায়, সেই পরীক্ষা নিরীক্ষা চলে অবিরত। কারণ কী? কারণ এই ভোটাররাই হয় ফলাফলের নির্ণায়ক। 
আর যারা ফলাফলের নির্ণায়ক হয়, লক্ষ্য করা যায়, তারাই সবথেকে কম কথা বলে। তারা সারাদিন ধরে রাজনীতি নিয়ে কথা বলছে, তর্ক করছে, আলোচনা করছে, মরিয়া হয়ে নিজের মতপ্রকাশ করছে, এরকম হয় না। তারা চুপচাপ থাকে। যাকে সাইলেন্ট ভোটার হিসেবে তকমা দেওয়া হয়।  উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, শিক্ষিত যে নাগরিক শ্রেণি, তারা সর্বদাই উচ্চকিত মতামত ব্যক্ত করে। তারা নিজেদের ওপিনিয়ন মেকার মনে করে। কিন্তু ভোট রাজনীতির ক্ষেত্রে তাদের তেমন মূল্য নেই। কারণ, তারা ঘোষিত ভোটার। তাদের কথাবার্তায় স্পষ্ট হয়ে যায় দ্রুত যে, তারা কাকে ভোট দেবে। সুতরাং রহস্য থাকে না তাদের নিয়ে। তাদের মতামতগুলিও তেমন উচ্চবিশ্লেষণাত্মক হয় না। কারণ সেগুলি হবে পক্ষপাতদুষ্ট। নিজেদের প্রিয় দলের পক্ষে, প্রতিপক্ষ দলের বিপক্ষে। অতএব তাদের মন জানতে রাজনৈতিক দলকে বিশেষ বেগ পেতে হয় না। তার অর্থ এই নয় যে, তাদের যুক্তি অথবা মতামতে শাণিত বুদ্ধি কিংবা সঠিক যুক্তি নেই। অবশ্যই আছে। তবে সেগুলির অভিমুখ জানা হয়ে যায়। অর্থাৎ যাই বলুক, পছন্দের দলের পক্ষেই থাকে। বিপক্ষের বিরোধিতা‌ করা হবে। 
ঠিক এখানেই সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে ওই নীরব অথবা শক্তিশালী ভোটারদের ভূমিকা। অতীতেও হয়েছে। এবার এই লোকসভা ভোটেও হতে চলেছে সেই প্রবণতারই পুনরাবৃত্তি। কী সেটা? এবারের ভোটেও বাংলার ৪২ আসনের ফলাফলে নির্ণায়ক শক্তি হবে তিনটি শ্রেণি। মহিলা, মুসলিম, গরিব। মুসলিম সম্প্রদায় ধর্মীয় আইডেন্টিটির বিচারে। এবং মহিলা ও গরিব জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে। কেন? কারণ, এই তিনটি শ্রেণির ভোটারদের সিংহভাগই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে নিজেদের ব্যক্তিগত ভালোমন্দ বিচার করে। অর্থাৎ তাদের কীসে ভালো হবে, তারা কী কী চায় এবং তাদের উচ্চাশা অথবা আশা আকাঙ্ক্ষা কী সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন দল কী কী বলছে, কাদের কথার মধ্যে শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা আছে, কারা জয়ী হলে জীবন আরও একটু উন্নত হবে অথবা জীবনের স্থিতাবস্থা, স্বস্তিপূর্ণ পরিস্থিতি ধাক্কা খেতে পারে, তখন আবার জীবনটা টলোমলো হয়ে যেতে পারে, এরকম হাজারো সাতপাঁচ ভাবেন এই ভোটারশ্রেণি। 
তৃণমূল ছাড়াও সিপিএম অথবা আইএসএফ মুসলিম ভোটের প্রত্যাশী। সিপিএম আশাবাদী যে, এবার এই সংখ্যালঘু ভোটের কিয়দংশ তাদের কাছে ফিরবে। যদিও প্রশ্ন হল, কেন সিপিএম এরকম বিশ্বাস করছে? যেহেতু হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উন্নয়ন অথবা জনস্বার্থমূলক কাজের ইস্যুকে ছেড়ে বেশি বেশি ধর্মীয় বিভাজনের প্রসঙ্গ প্রকটভাবে প্রচার করতে শুরু করেছেন, সেই কারণে, মুসলিমদের মধ্যে কিছুদিন আগে পর্যন্ত কোনও দ্বিধা থাকলেও এখন তা আর সম্ভবত নেই। তারা চাইবে বিজেপিকে রুখতে যে দল শক্তিশালী তাকেই ভোট দিতে। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর এই হাইভোল্টেজ প্রচার মুসলিমদের বেশ কিছুটা একজোট করে দিচ্ছে। যা কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, তৃণমূল, ডিএমকে ইত্যাদি দলের কাছে সুবিধাজনক। অর্থাৎ যেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে যারা প্রধান প্রতিপক্ষ, তাদেরই মুসলিম সমাজের সিংহভাগ ভোট দেবে। 
মহিলাশক্তি এবং গরিব সম্প্রদায়ের ভোট সকলেই চায়। তাই লক্ষণীয় যে, এই দুই শ্রেণিকে তুষ্ট করার জন্য প্রতিযোগিতার অন্ত নেই।  বাংলার মহিলা এবং গরিব ভোটব্যাঙ্ককে কাছে টানতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই বিশেষ সচেষ্ট। অসংখ্য সরকারি প্রকল্পকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, কার্যত এই দুই শ্রেণি প্রধান টার্গেট অডিয়েন্স তাঁর। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অথবা কন্যাশ্রী। ২০১৬ অথবা ২০২১, এই দুই অংশ তাঁকেই ভোট দিয়ে বিপুলভাবে জয়ী করেছে। ঠিক এই ভোটারদের হাইজ্যাক করতে নরেন্দ্র মোদি বিগত ৬ মাস ধরে নারীশক্তির জয়গান গাইছেন। উজ্জ্বলা গ্যাসের ভর্তুকি বাড়াচ্ছেন। বিনামূল্যে রেশনকে তাঁর সরকারের এক বিপ্লবাত্মক পদক্ষেপ হিসেবে প্রচার করছেন। কৃষকদের ৬ হাজার টাকা দিচ্ছেন। আয়ুষ্মান কার্ড দিতে বলছেন। বাংলায় এই প্রচারের প্রতিবন্ধকতা হল, রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ইতিমধ্যেই পরীক্ষিত এবং জনপ্রিয়। সুতরাং মহিলা এবং গরিব ভোটারকুল এবার কোনদিকে যাবে? এই দুই শ্রেণি যদি মনে করে যে, সরকারের সহায়তা এবং সামাজিক স্থিতাবস্থায় তারা বাংলায়  স্বস্তিতে আছে, তাহলে তারা এবারও আনুগত্য বদল করবে না। আবার যদি তাদের কাছে মনে হয়, পরিবর্তন করা হলে তাদের নিজেদের আরও একটু লাভ হবে, তাহলে বিজেপির লাভ। কিন্তু এই দুই শ্রেণি সাধারণত কোনও এক্সপেরিমেন্ট করতে চায় না। কারণ তাদের কাছে যেহেতু ভোট দেওয়া না দেওয়া নিছক বিলাসিতা নয়। গণতান্ত্রিক অধিকার অথবা দেশগঠনের দায়িত্ব, এরকমও উচ্চমার্গীয় দার্শনিক কিছু নয়। ভোট তাদের জীবনযাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নিজেদের ক্ষুণ্ণিবৃত্তি, শান্তিপূর্ণ যাপন, সামাজিক ও পারিবারিক ভারসাম্য বজায় রাখা খুব জরুরি। এই দুই অংশের মানুষের মধ্যে মিল কোথায়? এরা শান্তি চায়। ঝঞ্ঝাট চায় না। বেসামাল সময়কাল চায় না। কারণ সেরকম হলে সবথেকে বেশি আঘাত আসে তাদেরই উপরে! তাই তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয় ভেবেচিন্তে। অতএব মহিলা মুসলিম গরিব ফ্যাক্টর, এবার বাংলায় সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ নির্ণায়ক শক্তি হতে চলেছে। আর সেই ফ্যাক্টরে প্রবল টানাপোড়েন চললেও টেনিসের পরিভাষায়, এখনও পর্যন্ত এবারও অ্যাডভান্টেজ-মমতা! মোদি কি পারবেন এই মিথ ভাঙতে? 
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

08th  May, 2024
একনজরে
ডিএম অফিসের পুরনো ভবনের একেবারে শেষ প্রান্তে ভূমি-রাজস্ব দপ্তরের অফিস! লাগোয়া জবা দা’র চা-জলখাবারের দোকান। তমলুক শহর, আর লাগোয়া গ্রামীণ এলাকার মানুষের নিত্য ভিড় লেগেই রয়েছে। ...

পরকীয়ার সম্পর্ক নিয়ে পারিবারিক বিবাদ মেটাতে গিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিসের খণ্ডযুদ্ধে ধুন্ধুমার বাধল মল্লারপুরের পাথাই গ্রামের মালপাড়ায়। লাঠি, ইটের আঘাতে জখম হলেন সাত পুলিসকর্মী। যার ...

স্কুলের ক্লাসরুমে সদ্য এসি বসানো হয়েছে। ফিল্টারের জলের ব্যবস্থাও রয়েছে। শৌচালয় বেশ পরিচ্ছন্ন। এই স্কুলের পরিকাঠামো যে কোনও বেসরকারি স্কুলকে টেক্কা দেওয়ার মতো। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা ...

কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ ও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার দাবিতে সরব হলেন এলাকার বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি স্বাস্থ্যদপ্তরে ই-মেল করেছেন তাঁরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব তথ্য সমাজ দিবস
আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস
১৫৪০: শেরশাহ কনৌজের যুদ্ধে হুমায়ুনকে পরাজিত করেন
১৮৭০: গণিতজ্ঞ ও মাউন্ট এভারেস্ট- এর উচ্চতা নিরূপণকারী ও আবিষ্কারক রাধানাথ শিকদারের মৃত্যু
১৮৯৭ : রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্যা বিশিষ্ট গায়িকা সাহানা দেবীর জন্ম
১৯১৩: বাঙালি কবি, গীতিকার, ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু
১৯২০: বিশ্বের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান কেএলএম চলাচল শুরু করে
১৯৪০: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বেলজিয়াম দখল করে জার্মানি
১৯৪৫:  প্রাক্তন ক্রিকেটার ভাগবত চন্দ্রশেখরের জন্ম
১৯৫১: গজল গায়ক পঙ্কজ উধাসের জন্ম 
১৯৬৫: বিশিষ্ট বিপ্লববাদী উল্লাসকর দত্তের মৃত্যু
১৯৮৫: বলিউড অভিনেত্রী নুসরত ভারুচার জন্মদিন
১৯৮৮: টলিউড অভিনেতা বিক্রম চ্যাটার্জীর জন্ম
১৯৯২: টলিউড অভিনেত্রী কৌশানি মুখার্জীর জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৫ টাকা ১০৭.৭১ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৪ টাকা ৯২.৪৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪। নবমী ৯/৩৫ দিবা ৮/৪৯। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৪০/৪৮ রাত্রি ৯/১৮। সূর্যোদয় ৪/৫৯/২৯, সূর্যাস্ত ৬/৬/৩১। অমৃতযোগ দিবা ১১/৫৯ গতে ২/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১২/৩৮ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫২ গতে ৬/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১০/১৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ১১/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৩ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪। নবমী দিবা ৯/২২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ৯/৫৫। সূর্যোদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/৮। অমৃতযোগ দিবা ১২/৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৬ মধ্যে ও ১২/৪০ গতে ২/৪৮ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ গতে ৬/৪২ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১০/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫১ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৮ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বইকে হারিয়ে ১৮ রানে ম্যাচ জিতল লখনউ

12:28:48 AM

আইপিএল: ১৪ রানে আউট ঈশান, মুম্বই ১৮৮/৬ (১৯.৩ ওভার), টার্গেট ২১৫

12:25:43 AM

আইপিএল: হাফসেঞ্চুরি নামানের, মুম্বই ১৮৭/৫ (১৯.১ ওভার), টার্গেট ২১৫

12:12:44 AM

আইপিএল: মুম্বই ১৬৩/৫ (১৮ ওভার), টার্গেট ২১৫

12:05:31 AM

আইপিএল: ১ রানে আউট নেহাল, মুম্বই ১২০/৫ (১৪.২ ওভার), টার্গেট ২১৫

11:57:50 PM

আইপিএল: ১৬ রানে আউট হার্দিক পাণ্ডিয়া, মুম্বই ১১৬/৪ (১৩.৩ ওভার), টার্গেট ২১৫

11:50:32 PM