Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! সুরাতের মতো অত্যন্ত নিরাপদ আসনেও ১৬.৫৬ লক্ষ ভোটারকে ভোটদানের সুযোগ দেওয়া হল না। পথের সমস্ত কাঁটা সরানো হল ভোটগ্রহণের অনেক আগেই। কংগ্রেস-সহ সব বিরোধী দলের প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেন। এ কি কোনও স্বাভাবিক ঘটনা? অথচ, ভারতের সাধারণ নির্বাচনে ব্যয়ের বহর দেখে ধনী দেশগুলিও চমকে যায়। সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজের হিসেব, স্বাধীন ভারত ১৯৫১-৫২ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে খরচ করেছিল সাড়ে ১০ কোটি টাকা। অঙ্কটা বাড়তে বাড়তে ২০১৯-এ ছুঁয়েছিল ৫০ হাজার কোটি টাকা। ভোটের ব্যয়বৃদ্ধির প্রবণতাই বলে দিচ্ছে, এবার গতবারের দ্বিগুণ বা ১ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করতে চলেছি আমরা! উল্লেখ্য, এবার সেন্ট্রাল ফোর্স নেমেছে প্রায় ৩.৪০ লক্ষ! জনগণের এত টাকার আদ্যশ্রাদ্ধ করার পরেও সুরাতের মতো একটি আসনের বিরোধী প্রার্থীদের আশ্বস্ত করা গেল না কেন? কেন তবে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে এত বজ্রআঁটুনি, দিকে দিকে আধাসেনার বুটের দাপাদাপি দু’মাস ধরে? এই বহ্বারম্ভ কি দিনের শেষে লঘুক্রিয়া প্রসবের নিমিত্ত? 
দেশজুড়ে মোট সাতদফায় সাধারণ নির্বাচন চলছে। প্রথম দু’দফায় অন্তত প্রার্থীদের নিয়ে কোনও ঝঞ্ঝাট হয়নি। তৃতীয় দফার ভোট হল গতকাল, ৭ মে। ওইদিন ৯৪টি আসনের জন্য কয়েক কোটি মানুষের ভোটের লাইনে দাঁড়াবার কথা ছিল। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল মোদি-শাহের ২৬ আসনের গুজরাত। গত নির্বাচনে সেখানকার সবক’টি আসনই দখল করেন মোদিরা। তার মধ্যে সুরাতে বিজেপির পক্ষে প্রদত্ত ভোট (৭.৯৬ লক্ষ) এবং জয়ের মার্জিন (৫.৪৮ লক্ষ) ছিল চমকপ্রদ। সুরাত আসনটি বহুকাল যাবৎ কংগ্রেসের হাতছাড়া। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই লোকসভায় সুরাতের প্রতিনিধিত্ব করেন পাঁচবার। প্রেস্টিজিয়াস আসনটি বিজেপির দখলে ১৯৮৯ থেকে। সব মিলিয়ে গুজরাতের ভিতরে অন্তত সুরাত আসনটি বিজেপির জন্য শুধু ‘নিরাপদ’ নয়, ‘দুর্ভেদ্য দুর্গ’। তা সত্ত্বেও সুরাতের মানুষকে এবার ভোটের লাইনে দাঁড়াতেই দেওয়া হল না। ভোটগ্রহণের অনেক আগেই আসনটি চলে গেল বিজেপির ঝুলিতে! স্কুটিনিতে বাতিল হয় কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়ন। ‘হাত’-এর ‘ডামি’ প্রার্থীর লড়াইয়ের সুযোগও খারিজ করে দেন রিটার্নিং অফিসার। বিজেপির বিরুদ্ধে বাকি ছিলেন বিএসপি এবং নির্দল-সহ আটজন। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে, মনোনয়ন ‘প্রত্যাহার’ করে নেন তাঁরাও! অমনি বিজেপির মুকেশ দালালকেই ‘বিজয়ী’ ঘোষণা করা হয়। তাঁকে দ্রুত অভিনন্দন জানান গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি। এমনকী, ‘প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম পদ্মটি সুরাতই তুলে দিল’ জানিয়ে আহ্লাদ প্রকাশ করেন দলের রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্ব। সুরাতের ভোট-পরম্পরা বলে যে, অন্তত সুরাত নিয়ে গেরুয়া শিবিরের কোনও দুশ্চিন্তা ছিল না। তবুও যে কায়দায় মুকেশ দালালের ‘জয়’ নিশ্চিত করা হল তা এক বেনজির দৃষ্টান্ত। 
কিন্তু, ‘পার্টি উইথ আ ডিফারেন্স’কে এভাবে জিততে হল কেন? তাতে মোদির সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মতো একটি পবিত্র প্রতিষ্ঠানেরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হল না কি? কোনও কোনও রাজ্যে পঞ্চায়েত/পুরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কিছু আসন জয়ের দৃষ্টান্ত নিশ্চয় আছে। সেক্ষেত্রে আসন-প্রতি ভোটার সংখ্যা মাত্র কয়েক হাজার।  তাই বলে লোকসভা আসনেও খাপ পঞ্চায়েতি কারবার, যেখানে ভোটার সংখ্যা গড়পড়তায় ১৫-২০ লক্ষ [ভোটার সংখ্যা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার (লাক্ষাদ্বীপ) এবং সর্বাধিক সাড়ে ৩১ লক্ষ (অন্ধ্রপ্রদেশের মালকাজগিরি)]! 
গণতন্ত্রকে কলা দেখানোর কারবারে অবশ্য এখানেই দাঁড়ি পড়েনি। সুরাতের রেশ মিটতে না মিটতেই সংবাদ শিরোনাম দখল করেছে ইন্দোর। সেখানে ভোট চতুর্থ দফায়। তার আগেই বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরাল বিজেপি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয়কান্তি বামকে ছিনিয়ে নিল তারা। এমনকী, অন্য একাধিক বিরোধী প্রার্থীরও মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সেদিন কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে 
গাড়িতে বসে, নিজের ছবি এক্স-এ পোস্ট করে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় লেখেন, ‘ইন্দোরের কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয় বাম বিজেপিতে স্বাগত!’ জেলাশাসক জানান, কংগ্রেসসহ তিন বিরোধী প্রার্থী ‘নিয়ম মেনেই’ তাঁদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করেছেন। উল্লেখ্য, এক বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে গিয়ে মনোনয়ন তুলে নেন অক্ষয়। অথচ, স্কুটিনির দিন তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে অক্ষয়েরই মনোনয়ন খারিজের দাবি তুলেছিল এই বিজেপি। কিন্তু সেই কৌশল ফেল করায় অবশেষে অন্য ছকে খেলে বিজেপি প্রার্থীর যাত্রাপথ সম্পূর্ণ নিষ্কণ্টক করেছে গেরুয়া বাহিনী। প্রতিদ্বন্দ্বিতা দূর, সরাসরি পদ্ম-এ ছাপেরই গ্যারান্টি নেওয়া হল 
হাত-এর প্রার্থীর কাছ থেকে। অর্থাৎ আমদানি 
হল ‘অপারেশন লোটাস’-এর নিউ এডিশন! এতদিন জারি ছিল জনপ্রতিনিধিদের অনৈতিক দলত্যাগের ব্যবসা। এবার বিরোধী দলের প্রতীকে জয়ের স্বাদ গ্রহণের আগেই ‘বধ’ করা হচ্ছে 
কাউকে কাউকে। ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ’ নির্বাচন কমিশন এর দায় নেবে না কেন? 
লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজনও এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশসহ মন্তব্য করেন, ‘এটা অনৈতিক, হওয়া উচিত ছিল না। ইন্দোরে বিজেপিকে কেউ হারাতে পারবে না, এমন কথা দেওয়ালে লেখা হয়ে যাওয়ার পর এই কাণ্ড ঘটাবার কোনও প্রয়োজন ছিল না।’ উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী থেকে মহাজন জিতেছেন টানা আটবার। আর সেখানেই ৮ লক্ষ মার্জিনে ইন্দোর-জয়ের হুঙ্কার দিয়ে এ কী কাণ্ড ঘটাল বিজেপি! এতে ছিছিক্কার পড়ে গিয়েছে—ঘরে বাইরে সর্বত্র। 
 প্রমাণিত সত্য এই যে, ভোটে জিততে ভোটারদের মন জয় করতে হয়। আমাদের মতো বিপুল জনসংখ্যার এবং গরিব দেশের মানুষের মন জেতার রাস্তা খুব সোজা। তাদের চাহিদা দুটি—পেট ভরা খাবার এবং মাথা গোঁজার ঠাঁই। তার জন্য জরুরি হল সব পরিবারে অন্তত একজন রোজগেরে মানুষ। অতএব, পরিবার পিছু কমপক্ষে একজনের কাজ চাই। নরেন্দ্র মোদি সেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন। ২০১৪-১৯ টার্মে কথার খেলাপ করার পরেও মানুষ তাঁকে সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু উপর্যুপরি দুটি সুযোগের অপব্যবহার করলেন তিনি। কোটি কোটি মানুষকে খুশি করার পরিবর্তে, তাঁর সরকার আক্ষরিক অর্থেই লাগাতার জ্বালিয়ে মারছে। একবার দীর্ঘ লাইনে দাঁড় করাল ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বদলের জন্য। নতুন ২০০০ টাকার নোট বদলের জন্য দ্বিতীয়বারের লাইন জারি আছে এখনও। এছাড়া আধার-যন্ত্রণা তো লেগেই আছে। সবার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ক্রেডিটের গপ্পো মানুষ ভুলতেই চায়। ব্যাঙ্ক ও অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে কেওয়াইসি আপডেটের ফরমানের বিরাম নেই! তিতিবিরক্ত মানুষের এখন একটাই চাহিদা, ‘ভিক্ষের দরকার নেই বাপু তোমার কুকুর সামলাও!’ বছরে ২ কোটি নতুন চাকরি দেওয়া দূর, ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি (মনরেগা) প্রকল্পটাই বরবাদ করে দেওয়া হয়েছে। মনরেগা নিয়ে বাংলার গরিব মানুষের সঙ্গে যা করা হয়েছে তা এককথায় চার্চিল-সুলভ নিষ্ঠুরতা। বঙ্গদেশে পঞ্চাশের মন্বন্তরের ভিলেন ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। আর স্বাধীন ভারতে লক্ষ লক্ষ গরিব বাঙালির কাজ ও মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে মোদি সরকার। মোদি হলেন সেই রাষ্ট্রনায়ক যিনি বাঙালির ভিড় দেখলেই বিবেকানন্দ আর রবীন্দ্রনাথের বাণী আওড়ান এবং উসকে দেন নেহরু কর্তৃক নেতাজিকে উপেক্ষার স্মৃতি। এই সরকার ভোটের আঁচ পেলেই হিন্দু বাঙালি উদ্বাস্তুদের লড়িয়ে দেয় কোনও একটি সম্প্রদায় কিংবা রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে। 
কিন্তু এবার যেন অতিচালাকের গলায় দড়ি দেখতে চলেছে বাংলাসহ গোটা দেশ। বিজেপির ধুরন্ধরা বুঝতে পারেননি নিশ্চয়, সিএএ নামক খুড়োর কল অসমে এনআরসি কার্যকরের বিভীষিকাময় স্মৃতি ফেরাবে; তাতে সবচেয়ে বেশি ভয় পেয়ে যাবেন পশ্চিমবঙ্গে নাগিরকত্ব পাওয়া হিন্দু শরণার্থীরাই! মোদি সরকার কী বস্তু, পরিযায়ী শ্রমিকরা চিনে নিয়েছেন করোনা-দিনে। অসংগঠিত শ্রমিকদের মন যে এই সরকারের মিষ্টি কথায় গলেনি, তার প্রমাণ প্রধানমন্ত্রীর পেনশন প্রকল্পের (পিএমএসওয়াইএম) চূড়ান্ত ব্যর্থতা। ইপিএফ পেনশনাররা রীতিমতো নিজেদের প্রতারিত ভেবে নিয়েছেন। তার জন্য বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা দুষছেন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকেই। মোদি একাধিকবার কথা দিয়েও তা সজ্ঞানে খেলাপ করেছেন। ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ যে পার্টির ভোটের ট্যাগলাইন, প্রবীণরা বাধ্য হয়েছেন তারই জুমলার বিরুদ্ধে মানুষকে সজাগ করতে। তাঁরা এই মর্মে লিফলেট বিলি করছেন দেশজুড়ে রাস্তায় নেমে। এই দৃশ্য অভূতপূর্ব! মোদি যাঁদের ‘অন্নদাতা’ বলেছিলেন, সেই কৃষকদের বিদ্রোহের কাহিনি সারা দুনিয়ার চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। বিলকিস বানো থেকে মণিপুর এবং আইনসভায় মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের নামে ধড়িবাজি মিলিয়ে নারীশক্তিও আজ শাসকের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে পড়েছে। 
তাহলে ‘চুপচাপ পদ্মে ছাপ’টা দেবেন কারা? কোনও সংশয় নেই, এই প্রশ্নই পেড়ে ফেলছে মোদি-শাহদের। প্রতিটি জনসভায় কী মোদি, কী শাহ, কী যোগী, কী নাড্ডা—কোনও মুরুব্বিই আর আক্রমণের পজিশনে নেই—সবাই ব্যস্ত কাঠগড়ায় দাঁড়ানো অভিযুক্তের মতোই আত্মপক্ষ সমর্থনে! তাঁদের শরীরী ভাষা এবং মুখের কথা থেকে হঠাৎই উধাও যাবতীয় কনফিডেন্স! তাই সদর দরজা হাটআলগা থাকতেও, খিড়কি দিয়ে গৃহপ্রবেশের খেলায় সুরাত, ইন্দোরে দাঁড়ি টানায় সায় নেই গেরুয়া শিবিরের। খেলাটা ইতিমধ্যেই টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গান্ধীনগর অব্দি, যেখানে প্রার্থী স্বয়ং অমিত শাহ। না ভুল পড়েননি, তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ‘সেনাপতি’। তাঁর গান্ধীনগরেও প্রদর্শিত হল বিরোধী প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর জাদু!
08th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
একনজরে
আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন নিয়ে সন্তুষ্ট নন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবারই এব্যাপারে কেজরিকে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। যদিও এব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে, কারও ক্ষেত্রে কোনও ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ...

ডিএম অফিসের পুরনো ভবনের একেবারে শেষ প্রান্তে ভূমি-রাজস্ব দপ্তরের অফিস! লাগোয়া জবা দা’র চা-জলখাবারের দোকান। তমলুক শহর, আর লাগোয়া গ্রামীণ এলাকার মানুষের নিত্য ভিড় লেগেই রয়েছে। ...

পরকীয়ার সম্পর্ক নিয়ে পারিবারিক বিবাদ মেটাতে গিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিসের খণ্ডযুদ্ধে ধুন্ধুমার বাধল মল্লারপুরের পাথাই গ্রামের মালপাড়ায়। লাঠি, ইটের আঘাতে জখম হলেন সাত পুলিসকর্মী। যার ...

কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ ও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার দাবিতে সরব হলেন এলাকার বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি স্বাস্থ্যদপ্তরে ই-মেল করেছেন তাঁরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব তথ্য সমাজ দিবস
আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস
১৫৪০: শেরশাহ কনৌজের যুদ্ধে হুমায়ুনকে পরাজিত করেন
১৮৭০: গণিতজ্ঞ ও মাউন্ট এভারেস্ট- এর উচ্চতা নিরূপণকারী ও আবিষ্কারক রাধানাথ শিকদারের মৃত্যু
১৮৯৭ : রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্যা বিশিষ্ট গায়িকা সাহানা দেবীর জন্ম
১৯১৩: বাঙালি কবি, গীতিকার, ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু
১৯২০: বিশ্বের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান কেএলএম চলাচল শুরু করে
১৯৪০: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বেলজিয়াম দখল করে জার্মানি
১৯৪৫:  প্রাক্তন ক্রিকেটার ভাগবত চন্দ্রশেখরের জন্ম
১৯৫১: গজল গায়ক পঙ্কজ উধাসের জন্ম 
১৯৬৫: বিশিষ্ট বিপ্লববাদী উল্লাসকর দত্তের মৃত্যু
১৯৮৫: বলিউড অভিনেত্রী নুসরত ভারুচার জন্মদিন
১৯৮৮: টলিউড অভিনেতা বিক্রম চ্যাটার্জীর জন্ম
১৯৯২: টলিউড অভিনেত্রী কৌশানি মুখার্জীর জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৫ টাকা ১০৭.৭১ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৪ টাকা ৯২.৪৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪। নবমী ৯/৩৫ দিবা ৮/৪৯। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৪০/৪৮ রাত্রি ৯/১৮। সূর্যোদয় ৪/৫৯/২৯, সূর্যাস্ত ৬/৬/৩১। অমৃতযোগ দিবা ১১/৫৯ গতে ২/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১২/৩৮ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫২ গতে ৬/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১০/১৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ১১/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৩ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪। নবমী দিবা ৯/২২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ৯/৫৫। সূর্যোদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/৮। অমৃতযোগ দিবা ১২/৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৬ মধ্যে ও ১২/৪০ গতে ২/৪৮ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ গতে ৬/৪২ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১০/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫১ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৮ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বইকে হারিয়ে ১৮ রানে ম্যাচ জিতল লখনউ

12:28:48 AM

আইপিএল: ১৪ রানে আউট ঈশান, মুম্বই ১৮৮/৬ (১৯.৩ ওভার), টার্গেট ২১৫

12:25:43 AM

আইপিএল: হাফসেঞ্চুরি নামানের, মুম্বই ১৮৭/৫ (১৯.১ ওভার), টার্গেট ২১৫

12:12:44 AM

আইপিএল: মুম্বই ১৬৩/৫ (১৮ ওভার), টার্গেট ২১৫

12:05:31 AM

আইপিএল: ১ রানে আউট নেহাল, মুম্বই ১২০/৫ (১৪.২ ওভার), টার্গেট ২১৫

11:57:50 PM

আইপিএল: ১৬ রানে আউট হার্দিক পাণ্ডিয়া, মুম্বই ১১৬/৪ (১৩.৩ ওভার), টার্গেট ২১৫

11:50:32 PM