Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। এক পাশে মমতাবালা ঠাকুরের দোতলা বাড়ি। নীচের তলায় গ্রিলের ফাঁক দিয়ে নজর রাখছেন উর্দিধারী সিকিউরিটি। পাশেই বড়মা বীণাপাণি দেবীর ঘর। ঘরের দু’পাশে ঝুলছে দু’টি পেল্লাই ফেস্টুন। সংগঠন ভিন্ন, কিন্তু দাবি এক, ‘বড়মা বীণাপাণিদেবীর স্মৃতিবিজড়িত ঘরকে হেরিটেজ ঘোষণা করতে হবে।’
বড়মায়ের ঘরের বারান্দার গ্রিলে ঝুলছে লোহার চেনে লাগানো মস্ত একটা তালা। দিন কয়েক আগেই এই ঘরের দখল নিয়েছেন বিজেপির বনগাঁর প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। আগে ঘরটি ছিল তাঁর রাজনৈতিক এবং পারিবারিক প্রতিদ্বন্দ্বী মমতাবালা ঠাকুরের দখলে। নির্বাচনের আগে বিতর্ক এড়িয়ে চলাই প্রথা। পাছে ক্ষুণ্ণ হয় ভাবমূর্তি। কিন্তু শান্তনু ঠাকুর সে সবের ধার ধারেন না। তিনি খুব ভালো করেই জানেন, ঘি তুলতে আঙুল বাঁকাতে হয়। সেটা দাদার জন্য বিধানসভার টিকিট বা কেন্দ্রের মন্ত্রিত্বই হোক, অথবা পারিবারিক ঘর।
ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতিমুক্ত করার হুঙ্কার দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শান্তনুবাবু। এখন সেই ঠাকুরবাড়িতে দু’জন বিজেপির জনপ্রতিনিধি, একজন তৃণমূলের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, বনগাঁ, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনের ভাগ্য নির্ধারিত হয় মতুয়া ভোটে। ঠাকুরবাড়িকে ঘিরেই আবর্তিত হয় এই এলাকার রাজনীতি। সেই ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে কোনও জনপ্রতিনিধির, এমনকী তাঁদের হয়ে কথা বলার মতো কারও দেখা মিলল না। অগত্যা ভোটের ‘হাওয়া’ বোঝার জন্য চায়ের দোকানই ভরসা।
ঠাকুরবাড়ির গেটেই দুলাল হালদারের চায়ের দোকান। দোকানের সামনে বেঞ্চে বসেছিলেন কয়েকজন। সবচেয়ে যিনি প্রবীণ তাঁর নাম চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। বয়স ৮৮। ভোটের খবর জানতে চাওয়ায় এক যুবক চোখের ইশারায় চিত্তরঞ্জনবাবুকে দেখালেন। এই বয়সেও সকাল, বিকেল লাঠিতে ভর দিয়ে তাঁর মন্দিরে আসা চাই-ই চাই। চিত্তরঞ্জনবাবু একসময় বড় মা বীণাপাণিদেবীর কাছের মানুষ ছিলেন। ঠাকুরবাড়ির আদর্শ, ধর্মীয় আবেগ, ঘরোয়া রাজনীতি, পরিবর্তন, সবই দেখেছেন খুব কাছ থেকে।
মতুয়া ভোট কোন দিকে, এই প্রশ্ন শুনে চিত্তরঞ্জনবাবু প্রায় কেঁদে ফেললেন। বললেন, মতুয়ারাও ভোটব্যাঙ্ক হয়ে গেল! হায় রে রাজনীতি! অথচ বড়মা কী বলত জানেন? মানবসেবাই মতুয়াদের ধর্ম। নামে ও প্রেমে যে মাতোয়ারা সেই হল মতুয়া। কেউ এলেই মা বলত, আগে খাইয়ে দে। নাতিপুতি কেউ যেন অভুক্ত না থাকে। মানবসেবাই ছিল মায়ের লক্ষ্য। আর এখন? দখলদারি চলছে। এখন নাম আছে, কিন্তু প্রেম কোথায়? এসব একদম ভালো লাগে না। মন খারাপ হয়ে যায়। জানি না, এর শেষ কোথায়?
এরই মধ্যে কেউ প্রাইভেট কার নিয়ে, কেউ বাইকে চেপে মন্দিরে আসছেন। হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে প্রণাম করে কিছুক্ষণ কাটিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। বাইক নিয়ে মন্দির চত্বরে এলেন এক যুবক। লম্বা চুল, কপালে তিলক। হরিচাঁদ ঠাকুরের ভক্ত। বাড়ি রানাঘাটের চাকদহে। নাম কিশোর। রানাঘাটে প্রচুর মতুয়ার বাস। মতুয়া ভোট এবার কোনদিকে যাবে? যুবক হেসে বলেন, ‘আমরা ধর্ম নিয়ে থাকি, রাজনীতির চর্চা তেমন করি না। তবে, এবার যা অবস্থা তাতে ভোট কোনও একদিকে যাবে না। লোকজনের মুখে ভাগাভাগির কথা।’
ঠাকুরবাড়ির নিজেদের ভাগাভাগি নাকি 
মতুয়া ভোটের বিভাজন, সেটা কিশোর স্পষ্ট করলেন না। এই ভাগাভাগিতে জুড়ে গিয়েছে সুমিতা 
পোদ্দারের নাম। সুমিতা শুধু মতুয়া পরিবারের 
সন্তানই নন, ঠাকুরবাড়ির উন্নয়নে তাঁর দাদু নির্মল পোদ্দারের ভূমিকা এখনও মানুষ মনে রেখেছে। সেই সুমিতাদেবীই এবার সরাসরি শান্তনু ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসেছেন।
সুমিতাদেবীর কথায়, আমরা ঠাকুরবাড়ির উন্নতি চাই, হরিচাঁদ ঠাকুরের বংশধরদের নয়। হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুর গরিব মতুয়াদের উন্নতির জন্য কাজ করে গিয়েছেন। তাই তাঁরা আমাদের কাছে ভগবান। কিন্তু যাঁরা ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতিমুক্ত করার ডাক দিয়েছিলেন, তাঁরা কী করছেন? মন্দিরের সামান্য উন্নতিও করেননি। নিজেদের উন্নতি করছেন। বারাকপুরে বিপুল টাকা দিয়ে নিজের আর স্ত্রীর নামে ফ্ল্যাট কিনেছেন। আমরা এই উন্নতি চাই না। আমরা মতুয়ারা ঠাকুরবাড়ির প্রকৃত উন্নতি চাই।
হরিচাঁদ, গুরুচাঁদের উত্তরাধিকারী হিসেবে মতুয়া সমাজের অনেকেই তাঁকে ‘ঠাকুর’ মানেন। এফিডেভিটেও শান্তনুবাবু জানিয়েছেন, তিনি ধর্মগুরু। আয়ের উৎস প্রণামী। এহেন শান্তনুবাবু ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বারাকপুরে ৩১১১ বর্গফুটের একটি বিশাল ফ্ল্যাট কিনেছেন। সঙ্গে দু’টি গ্যারেজ। যার দাম ১কোটি ৯ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা। বিষয়টি সামনে আসায় মতুয়াদের মধ্যে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। শান্তনুবাবুর বিরোধীরাও প্রণামীর টাকা মন্দিরের উন্নতিতে খরচ না করে ব্যক্তিগত ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে প্রচার চালাচ্ছেন। 
বাম রাজনীতি থেকে উঠে আসা দেবদাস মণ্ডল এখন বনগাঁ বিজেপির জেলা সভাপতি। সিপিএম করার সুবাদে রাজনীতির মারপ্যাঁচ ভালোই বোঝেন। তাঁর শরীরে প্রাচুর্যের ছাপ স্পষ্ট। শান্তনুবাবুকে নিয়ে দলের নেতা কর্মীদের একাংশের মধ্যে চাপা ক্ষোভ থাকলেও দেবদাসবাবু শোনালেন অন্যকথা। তাঁর দাবি, নরেন্দ্র মোদির তো আছেই, শান্তনু ঠাকুরের ‘ফেসভ্যালু’ও কম নয়। শুধু বনগাঁ নয়, বারাসাত, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর সহ বেশকিছু আসনে তাঁর জন্যই বিজেপি অনেকটা সুবিধা পাবে। হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসূরি হওয়ায় মতুয়ারা তাঁকে ‘দেবতা’ মানেন। যেখানে উনি প্রচার করতে যাচ্ছেন সেখানেই মতুয়ারা তাঁকে আরতি করে বরণ করছেন। ভক্তিভরে প্রণামী দিচ্ছেন। মতুয়াদের আবেগের কাছে বিরোধীদের সমস্ত অপপ্রচার ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে।
এবারের ভোটে শান্তনু ঠাকুরের জন্য বিজেপির যদি কেউ একশোভাগ উজাড় করে দিয়ে কাজ করেন তিনি অবশ্যই দেবদাস মণ্ডল। কিন্তু তাঁর দলের অনেক নেতা তেমন আন্তরিক নন। দলের চাপে মাঠে নামলেও মন আছে ভবিষ্যৎ রাজনীতির অঙ্কে। অঙ্ক না বলে ধন্দও বলা যায়। কী সেই ধন্দ? বিজেপি ঠাকুরবাড়িকে ব্যবহার করে দলের বিস্তার ঘটাচ্ছে, নাকি শান্তনু ঠাকুর দলকে কাজে লাগিয়ে নিজের প্রভাব বাড়িয়ে নিচ্ছেন!
আবেগের বাইরে গিয়ে বিজেপিতে যাঁরা মাথা খাটিয়ে রাজনীতি করেন তাঁরা বলছেন, একটা সময় শান্তনু ঠাকুরের বিজেপিকে প্রয়োজন ছিল। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে দিল্লি নেতৃত্বের আচরণে মনে হচ্ছে, শান্তনু ঠাকুরকেই দলের বেশি প্রয়োজন। তাঁর কোনও দাবিকে দল অস্বীকার করতে পারছে না। ফলে তিনি যাঁকে চাইছেন, যা চাইছেন, সেটাই হচ্ছে। তাতে দলের সংগঠন দানা বাঁধছে না। কারণ সবাই বুঝে গিয়েছেন, পঞ্চায়েত থেকে বিধায়কের টিকিট, সব ব্যাপারেই শেষকথা বলবেন শান্তনু ঠাকুর। আগামী দিনে তা আরও বাড়বে। বনগাঁয় বিজেপি জিতলেও তা গেরুয়া শিবিরের জয় হবে না, জিতবেন শান্তনু ঠাকুর। আর আশপাশে হেরে শুধু বনগাঁয় জিতলে তো কথাই নেই। শান্তনু ঠাকুর চলে যাবেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। দল হিসেবে বিজেপির এটাই সবচেয়ে ভয়ের ও চিন্তার।
বিজেপিকে ঠাকুরবাড়ির প্রভাব থেকে বের করে আনার লড়াইটা শুরু হয়েছে একুশেই। গাইঘাটা কেন্দ্রে চিকিৎসক সজল বিশ্বাসকে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু শান্তনু ঠাকুরের চাপে তাঁর দাদা সুব্রত ঠাকুরকে বিজেপি টিকিট দিতে বাধ্য হয়েছিল। তখন থেকেই গাইঘাটা, বনগাঁর রাজনীতিকে ঠাকুরবাড়ির প্রভাবমুক্ত করার লড়াই শুরু। 
সজলবাবু বলেন, আমাদের মতুয়াদের গুরু একজনই, হরিচাঁদ ঠাকুর। শান্তনুবাবু সহজসরল মানুষগুলোকে ধোঁকা দিয়ে ধর্মগুরু সাজতে চাইছেন। আমাদের লড়াইটা তার বিরুদ্ধে। আমরা জানি, একটা আঘাতে পাথর ভাঙা যায় না। কিন্তু অনবরত ঘা দিলে সেটা ভাঙবেই। আর ভাঙনের সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। নাগরিকত্বের ধোঁকা সেই ভাঙনকে আরও প্রকট করেছে।
হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসূরিদের প্রতি মতুয়াদের মোহভঙ্গ হবে কি না, সেটা সময়ের উপরে ছেড়ে দেওয়াই ভালো। তবে এলাকা ঘুরে মালুম হয়েছে, ‘ঠাকুর’ ভক্তি কিন্তু মাতৃদুগ্ধের মতো আর খাঁটি নেই।
11th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

08th  May, 2024
একনজরে
আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন নিয়ে সন্তুষ্ট নন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবারই এব্যাপারে কেজরিকে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। যদিও এব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে, কারও ক্ষেত্রে কোনও ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ...

ডিএম অফিসের পুরনো ভবনের একেবারে শেষ প্রান্তে ভূমি-রাজস্ব দপ্তরের অফিস! লাগোয়া জবা দা’র চা-জলখাবারের দোকান। তমলুক শহর, আর লাগোয়া গ্রামীণ এলাকার মানুষের নিত্য ভিড় লেগেই রয়েছে। ...

স্কুলের ক্লাসরুমে সদ্য এসি বসানো হয়েছে। ফিল্টারের জলের ব্যবস্থাও রয়েছে। শৌচালয় বেশ পরিচ্ছন্ন। এই স্কুলের পরিকাঠামো যে কোনও বেসরকারি স্কুলকে টেক্কা দেওয়ার মতো। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা ...

অবসর অবশ্যম্ভাবী! বিরাট কোহলি তা ভালোভাবেই জানেন। তবে ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার আগে কোনও আক্ষেপ রাখতে চান না তিনি। সম্প্রতি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পোস্ট করা ভিডিওতে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব তথ্য সমাজ দিবস
আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস
১৫৪০: শেরশাহ কনৌজের যুদ্ধে হুমায়ুনকে পরাজিত করেন
১৮৭০: গণিতজ্ঞ ও মাউন্ট এভারেস্ট- এর উচ্চতা নিরূপণকারী ও আবিষ্কারক রাধানাথ শিকদারের মৃত্যু
১৮৯৭ : রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্যা বিশিষ্ট গায়িকা সাহানা দেবীর জন্ম
১৯১৩: বাঙালি কবি, গীতিকার, ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু
১৯২০: বিশ্বের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান কেএলএম চলাচল শুরু করে
১৯৪০: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বেলজিয়াম দখল করে জার্মানি
১৯৪৫:  প্রাক্তন ক্রিকেটার ভাগবত চন্দ্রশেখরের জন্ম
১৯৫১: গজল গায়ক পঙ্কজ উধাসের জন্ম 
১৯৬৫: বিশিষ্ট বিপ্লববাদী উল্লাসকর দত্তের মৃত্যু
১৯৮৫: বলিউড অভিনেত্রী নুসরত ভারুচার জন্মদিন
১৯৮৮: টলিউড অভিনেতা বিক্রম চ্যাটার্জীর জন্ম
১৯৯২: টলিউড অভিনেত্রী কৌশানি মুখার্জীর জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৫ টাকা ১০৭.৭১ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৪ টাকা ৯২.৪৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪। নবমী ৯/৩৫ দিবা ৮/৪৯। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৪০/৪৮ রাত্রি ৯/১৮। সূর্যোদয় ৪/৫৯/২৯, সূর্যাস্ত ৬/৬/৩১। অমৃতযোগ দিবা ১১/৫৯ গতে ২/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১২/৩৮ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫২ গতে ৬/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১০/১৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ১১/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৩ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪। নবমী দিবা ৯/২২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ৯/৫৫। সূর্যোদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/৮। অমৃতযোগ দিবা ১২/৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৬ মধ্যে ও ১২/৪০ গতে ২/৪৮ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ গতে ৬/৪২ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১০/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫১ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৮ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বইকে হারিয়ে ১৮ রানে ম্যাচ জিতল লখনউ

12:28:48 AM

আইপিএল: ১৪ রানে আউট ঈশান, মুম্বই ১৮৮/৬ (১৯.৩ ওভার), টার্গেট ২১৫

12:25:43 AM

আইপিএল: হাফসেঞ্চুরি নামানের, মুম্বই ১৮৭/৫ (১৯.১ ওভার), টার্গেট ২১৫

12:12:44 AM

আইপিএল: মুম্বই ১৬৩/৫ (১৮ ওভার), টার্গেট ২১৫

12:05:31 AM

আইপিএল: ১ রানে আউট নেহাল, মুম্বই ১২০/৫ (১৪.২ ওভার), টার্গেট ২১৫

11:57:50 PM

আইপিএল: ১৬ রানে আউট হার্দিক পাণ্ডিয়া, মুম্বই ১১৬/৪ (১৩.৩ ওভার), টার্গেট ২১৫

11:50:32 PM