Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। সেজন্য রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই সারা দেশের কোটি কোটি মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে বুথে যান। এই বিশ্বাসই গণতন্ত্রকে রক্ষা করে। তাই নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা হারালে গণতন্ত্রের ভিত নড়ে যাবে।
নির্বাচন ‘অবাধ’ ও ‘নিরপেক্ষ’ হবে বলে কমিশন অঙ্গীকার করলেও কমিশনের কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্দেহ পোষণকারী মানুষের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ছে। আমাদের দেশে নির্বাচন অনেকাংশেই অবাধ হয়। যেকোনও প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার, প্রার্থীদের ভোট না দিয়ে ‘নোটা’-য় ভোট দেওয়ার এবং কাউকে ভোট না দেওয়ার স্বাধীনতাও ভোটারদের রয়েছে৷ তবে বর্তমান নির্বাচন সুষ্ঠু বলা যাবে না। অনেকেই মনে করেন, নির্বাচন কমিশন এমন একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে যেটি কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে।
নির্বাচন কমিশন নিয়োগে সরকারের তরফে সংশ্লিষ্ট আইনের সংশোধন ছিল এই ব্যাপারে প্রথম পদক্ষেপ। শাসক পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দল থেকে তাদের নেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতির (যিনি এই দুই পক্ষের কোনোটিরই অন্তর্ভুক্ত নন) সমন্বয়ে গঠিত একটি প্যানেলের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করা হতো। কিন্তু কমিশন নিয়োগে সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে একটি সংশোধনী এনে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত অন্য একজন মন্ত্রীকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সংশোধনীটি, খেলার দলগুলোর মধ্যে একটি টিমের তরফে রেফারি নির্বাচন করে দেওয়ার মতোই হাস্যকর ব্যাপার। 
গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার দিনকয়েক আগে অজ্ঞাত কারণে একজন নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেন এবং ভোট ঘোষণার আগের দিন দু’জন নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হয়। এতে  স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হিসেবে কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
নির্বাচনকে ‘গণতন্ত্রের উৎসব’ বলা হলেও সর্বত্র তা পরিণত হয় টাকা-পয়সার মেলায়। সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের মোট খরচ ছিল ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি। ক্ষমতাসীন বিজেপি, তার ভিতরে একাই খরচ করেছিল ২৭ হাজার কোটি টাকা। এই হিসেবে, ৩০৩টি আসনে জয়ী বিজেপির প্রতিটি প্রার্থীর জন্য গড়ে ৮৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। গণতন্ত্রকে তারা যে স্বৈরাচারের পথ দেখিয়েছে, এই প্রসঙ্গে বাড়তি দৃষ্টান্ত নিষ্প্রয়োজন। এবার মোট খরচের বহর হতে চলেছে, আনুমানিক, সওয়া এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি। শাসক দলকে দেওয়া হয়েছে অবাধে টাকা খরচের অনুমতি। অন্যদিকে, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রধান বিরোধী দলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি! অন্যান্য দলকে নোটিস জারি করেছে আয়কর বিভাগ। সংগত প্রশ্ন ওঠে, এরপরে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু হবে?
সাধারণ মানুষ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছে না। এজন্যই বেড়ে চলেছে নির্বাচনী ব্যয়। লোকসভার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তিকে ২৫ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয় হলফনামা এবং অন্যান্য নথি। এসব প্রস্তুত করার জন্য আইনজীবীর ফি-সহ আরও কয়েক হাজার টাকা খরচের বোঝা চাপে প্রার্থীদের ঘাড়ে। প্রচারের খরচ তো এরপর এবং এর বাইরে। যাঁরা শুধু ‘অবৈধ’ এবং ‘দুষ্ট’ ইলেক্টোরাল বন্ড কিনেছেন, তাঁরাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন—পরিস্থিতিটা এমন হলে সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক নস্যাৎ হয়ে হবে।
নির্বাচনী প্রচারেও সুষ্ঠু পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে পারছে না কমিশন। ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটি ছিল—কমিশনের তরফে জারি করা সমস্ত আদর্শ আচরণবিধির স্পষ্ট পরিপন্থী। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতি কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিরোধী দলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। তিনি তো একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর লোকদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ এবং ‘অধিক সন্তান আছে’ বলে হেয় করেন। অবশেষে এই বিষয়ে বিজেপি সভাপতিকে চিঠি পাঠায় কমিশন—তাও প্রধানমন্ত্রীর নাম বা পদবি উল্লেখ না করেই। এমনকী, বিরোধী দলের ইস্তাহারে যেসব বিষয়ের উল্লেখ নেই, প্রধানমন্ত্রী সেটিকে প্রচারের ইস্যুতে পরিণত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বারবার প্রচার করেছেন যে, ‘ইন্ডিয়া’ জোট ক্ষমতায় এলে হিন্দুদের ঐতিহ্যবাহী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে মুসলমানদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হবে। এমনকী, হিন্দু মহিলাদের ‘মঙ্গলসূত্র’-ও  দিয়ে দেওয়া হবে অন্যদের! এই ধরনের অবমাননাকর বক্তব্যের পরও কমিশন নীরব রয়েছে। আকাশবাণী এবং দূরদর্শনের জন্য বর্তমান লেখকের তৈরি বক্তৃতা থেকে—নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে, দূরদর্শন এবং আকাশবাণীর কর্তৃপক্ষ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) অংশ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়ার জন্য বলেছেন। এই দাবি আশ্চর্যজনকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট। অথচ, এমন ‘কঠোর’ এবং ‘দোর্দণ্ডপ্রতাপ’ প্রকৃতির একটি কমিশন প্রধানমন্ত্রী এবং অন্য বিজেপি নেতাদের বক্তৃতা শোনে না!
উত্তর ভারতের বেশিরভাগ নির্বাচনী এলাকায় রাম মন্দিরের ছবি এবং ভগবান রামের ছবি বিজেপির প্রচারের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। দূরদর্শনের রামায়ণ সিরিয়ালে ভগবান রামচন্দ্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ অরুণ গোভিল মিরাট আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরপর থেকে যেদিকেই তাকান না কেন, অরুণ গোভিলকে রামচন্দ্রের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। এসব বিষয়ও কমিশনের নজরে আসেনি।
সাধারণত ভোটগ্রহণের পর, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটার ও প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা এবং প্রদত্ত ভোটের শতাংশ হার—দেরিতে হলেও ভোটের দিনই ঘোষণা করার কথা। এবং, এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত পরিসংখ্যান ঘোষণা করার কথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণের কয়েকদিন পরও কমিশন চূড়ান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি। অবশেষে, বিরোধীরা হট্টগোল করলে, এই পরিসংখ্যান কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ততক্ষণে প্রথম দফা নির্বাচনের ১১ দিন এবং দ্বিতীয় দফার চারদিন কেটে গিয়েছে। ভোটের দিন প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রথম দফায় ৬০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দফায় ৬০.৯৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু কয়েকদিন পরে কমিশন যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, সংখ্যাগুলো তাতে দেখানো হয়েছে—যথাক্রমে ৬৫.৫ শতাংশ এবং ৬৬.৭ শতাংশ। অর্থাৎ ৫.৫ শতাংশ এবং ৫.৭৪ শতাংশ বৃদ্ধির তথ্য সামনে এসেছে! কমিশন কোনও নির্বাচনী এলাকা বা বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক রেজিস্টার্ড ভোটারের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। চূড়ান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশে বিলম্ব, পরিসংখ্যানে নজিরবিহীন বৃদ্ধি এবং মোট ভোটারের সংখ্যা প্রকাশে ব্যর্থতা  প্রভৃতি কারণে কমিশনের প্রতি আস্থা নষ্ট হতে পারে। 
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে শংসাপত্র পেয়ে স্বস্তিতে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু যন্ত্রগুলির নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ দূর করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় যথেষ্ট নয়। আদালত এই যুক্তি বিবেচনা করেনি যে, ইভিএম নির্মাতারাই স্বীকার করেন যে যন্ত্রের ‘ফ্ল্যাশ মেমরি’ কিন্তু ‘রিপ্রোগ্রামেবল’। এছাড়া ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি এবং জাপানের মতো টেকনোলজিক্যালি অ্যাডভান্সড দেশগুলি ইভিএম মারফত ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআরসি) এবং কমন কজ রিপোর্ট করেছে যে, গত বছর মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের চেয়ে ৭ লক্ষ ৩৯ হাজার ১০৪টি বেশি ভোট গণনা করা হয়েছিল! এই বিষয়ে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন। কমিশন এই বিষয়েও নীরব।
নির্বাচন কমিশন বিশ্বাসযোগ্যতা হারালে তাতে গণতন্ত্রই ধ্বংস হবে। রেফারি কোনও একটি পক্ষ নিলে সেই খেলা একতরফা হয়ে যায় বইকি। উদ্দেশ্য কাউকে ‘জয়ী’ করার হলে, প্রক্রিয়াটি একইসঙ্গে অন্যদের ‘প্রতারিত’ করারও বটে। আমরা এটুকুই আশা করতে পারি যে, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে কোনও ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ হবে না। 
লেখক সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লকের সাধারণ সম্পাদক। মতামত ব্যক্তিগত 
 
13th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

08th  May, 2024
একনজরে
ডিএম অফিসের পুরনো ভবনের একেবারে শেষ প্রান্তে ভূমি-রাজস্ব দপ্তরের অফিস! লাগোয়া জবা দা’র চা-জলখাবারের দোকান। তমলুক শহর, আর লাগোয়া গ্রামীণ এলাকার মানুষের নিত্য ভিড় লেগেই রয়েছে। ...

আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন নিয়ে সন্তুষ্ট নন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবারই এব্যাপারে কেজরিকে ‘বিশেষ সুবিধা’ দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। যদিও এব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে, কারও ক্ষেত্রে কোনও ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ...

স্কুলের ক্লাসরুমে সদ্য এসি বসানো হয়েছে। ফিল্টারের জলের ব্যবস্থাও রয়েছে। শৌচালয় বেশ পরিচ্ছন্ন। এই স্কুলের পরিকাঠামো যে কোনও বেসরকারি স্কুলকে টেক্কা দেওয়ার মতো। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা ...

অবসর অবশ্যম্ভাবী! বিরাট কোহলি তা ভালোভাবেই জানেন। তবে ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার আগে কোনও আক্ষেপ রাখতে চান না তিনি। সম্প্রতি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পোস্ট করা ভিডিওতে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব তথ্য সমাজ দিবস
আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস
১৫৪০: শেরশাহ কনৌজের যুদ্ধে হুমায়ুনকে পরাজিত করেন
১৮৭০: গণিতজ্ঞ ও মাউন্ট এভারেস্ট- এর উচ্চতা নিরূপণকারী ও আবিষ্কারক রাধানাথ শিকদারের মৃত্যু
১৮৯৭ : রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্যা বিশিষ্ট গায়িকা সাহানা দেবীর জন্ম
১৯১৩: বাঙালি কবি, গীতিকার, ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের মৃত্যু
১৯২০: বিশ্বের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান কেএলএম চলাচল শুরু করে
১৯৪০: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বেলজিয়াম দখল করে জার্মানি
১৯৪৫:  প্রাক্তন ক্রিকেটার ভাগবত চন্দ্রশেখরের জন্ম
১৯৫১: গজল গায়ক পঙ্কজ উধাসের জন্ম 
১৯৬৫: বিশিষ্ট বিপ্লববাদী উল্লাসকর দত্তের মৃত্যু
১৯৮৫: বলিউড অভিনেত্রী নুসরত ভারুচার জন্মদিন
১৯৮৮: টলিউড অভিনেতা বিক্রম চ্যাটার্জীর জন্ম
১৯৯২: টলিউড অভিনেত্রী কৌশানি মুখার্জীর জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৫ টাকা ১০৭.৭১ টাকা
ইউরো ৮৯.৩৪ টাকা ৯২.৪৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,০৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৬,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৬,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪। নবমী ৯/৩৫ দিবা ৮/৪৯। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র ৪০/৪৮ রাত্রি ৯/১৮। সূর্যোদয় ৪/৫৯/২৯, সূর্যাস্ত ৬/৬/৩১। অমৃতযোগ দিবা ১১/৫৯ গতে ২/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১২/৩৮ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫২ গতে ৬/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৯/২২ গতে ১০/১৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৬ গতে ১১/৩৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫০ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৩ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪। নবমী দিবা ৯/২২। পূর্বফল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ৯/৫৫। সূর্যোদয় ৪/৫৯, সূর্যাস্ত ৬/৮। অমৃতযোগ দিবা ১২/৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৬ মধ্যে ও ১২/৪০ গতে ২/৪৮ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৪৮ গতে ৬/৪২ মধ্যে ও ৯/২২ গতে ১০/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫১ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৮ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বইকে হারিয়ে ১৮ রানে ম্যাচ জিতল লখনউ

12:28:48 AM

আইপিএল: ১৪ রানে আউট ঈশান, মুম্বই ১৮৮/৬ (১৯.৩ ওভার), টার্গেট ২১৫

12:25:43 AM

আইপিএল: হাফসেঞ্চুরি নামানের, মুম্বই ১৮৭/৫ (১৯.১ ওভার), টার্গেট ২১৫

12:12:44 AM

আইপিএল: মুম্বই ১৬৩/৫ (১৮ ওভার), টার্গেট ২১৫

12:05:31 AM

আইপিএল: ১ রানে আউট নেহাল, মুম্বই ১২০/৫ (১৪.২ ওভার), টার্গেট ২১৫

11:57:50 PM

আইপিএল: ১৬ রানে আউট হার্দিক পাণ্ডিয়া, মুম্বই ১১৬/৪ (১৩.৩ ওভার), টার্গেট ২১৫

11:50:32 PM