সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, রামনবমী নিয়ে প্রকাশ্য সভায় ‘নেতিবাচক’ মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্য কোনও ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। সেই কারণে এদিন মমতার বিরুদ্ধে মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানায় এফআইআর দায়ের করতে যান অগ্নিমিত্রা ও বিজেপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা। কিন্তু, থানার আইসি না থাকায় ডিউটি অফিসার এফআইআর নিতে রাজি হননি। এরপরেই থানায় তুলকালাম বাধান অগ্নিমিত্রা। ওই ডিউটি অফিসারকে টেবিল চাপড়ে ধমকানি চমকানি দেন। ডিউটি অফিসারকে অগ্নিমিত্রার শাসানি, আপনি এফআইআর নিতে বাধ্য। সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় আপনি মাইনে পান।
এরপরেই থানা থেকে বেরিয়ে গিয়ে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বাইরের রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি। রাস্তার বসে পড়েন অগ্নিমিত্রা। এরপরেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন কোতোয়ালি থানার আইসি অমিতকুমার সিংহ মহাপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিস সুপার পিনাকী দত্ত। পুলিসের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন অগ্নিমিত্রা। আইসিকেই হুমকি দেন বিজেপি নেতা অরূপ দাস, শঙ্কর গুছাইত। অগ্নিমিত্রা আইসিকে আঙুল উঁচিয়ে বলেন, ‘আপনার ডিউটি অফিসারের সাহস কী করে হয় যে সে এখন বিধায়কের এফআইআর নিতে পারবে না?’ পাল্টা আইসি বলেন, ‘আপনি আমার ডিউটি অফিসারের সঙ্গে কেন খারাপ ব্যবহার করবেন?’ তাতেই যেন আগুনে ঘি পড়ে। অফিসারের দিকে তেড়ে যান বিজেপি নেতাকর্মীরা।
যদিও পড়ে থানার দরজার তালা খোলা হয়। অভিযোগ জমা নেয় পুলিস। অগ্নিমিত্রা বলেন, এটাই হল পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা। একটা এফআইআর করতে গেলে আন্দোলন করতে হয়। একজন প্রার্থীর তথা বিধায়কের সঙ্গে এটা হলে গরিব মানুষের সঙ্গে কি করা হয়, তা ভালো মতোই বোঝা যাচ্ছে। এনিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা পাল্টা বলেন, অগ্নিমিত্রার পাশে মানুষ নেই, তাই ফুটেজ পেতে এসব করতে হচ্ছে। মঙ্গলবারও খড়্গপুরে গিয়ে এসব করেছেন। আসলে উনি জনসমর্থন হারিয়ে মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছেন।