সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
কংগ্রেস নেতাদের দাবি, রামনবমীতে বৃহত্তর পরিকল্পনা করে বিভাজনের রাজনীতি করে ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি ও তৃণমূল। তাদের দাবি, বাইনারি রাজনীতি করতে চাইছে। তবে, তৃণমূল জেলাজুড়ে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছে। এই আবহে বহরমপুরের বিজেপি সভাপতির বিস্ফোরক দাবি, রামমন্দির উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে আবার জন্ম নিয়েছেন রাম, যা নিয়ে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলার যে সব এলাকায় শোভাযাত্রা ও পুজোর আয়োজন করা হয়েছে সর্বত্রই পুলিস বাড়তি নজর রাখছে। অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে। বেলডাঙা ও শক্তিপুর এলাকায় যাতে নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত না হয়, তারজন্য পুলিসের সঙ্গে প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন থাকবে।
বহরমপুরেরর বিজেপি সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, রাম মন্দির নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। বিভেদের জনক ওরাই। মুখে সম্প্রীতির কথা বললেও ভিতরে ভিতরে উস্কানির চেষ্টা করবে। আমরা সতর্ক আছি।
বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকার (ডেভিড) বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে যে যার ধর্ম পালন করবে। তবে বিভিন্ন এলাকায় কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে। আমরা প্রশাসনকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বলেছি। পাশাপাশি দলীয়ভাবে সমস্ত জায়গায় নজর রাখছি। সম্প্রীতি বজায় রেখে উৎসব হোক, কোনও সমস্যা নেই।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক জমির মোল্লা বলেন, মানুষের উৎসব তো আনন্দ উদযাপনের জন্য। সেটা পালন করতে গিয়ে অন্য ধর্মের মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা সকলের ভাবা উচিত। নানা ভাষার নানা ধর্মের দেশ আমাদের। সেটা অক্ষুন্ন রাখার চেষ্টা আমাদেরই করতে হবে। বেলডাঙা ও শক্তিপুরের ঘটনা কাম্য নয়।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী আগেই বলেছেন, রামনবমীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে বিজেপি ও তৃণমূল বিভাজনের রাজনীতি করে ভোটে ফায়দা তুলতে চাইছে।