সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
প্রাচীন কান্দি শহরের এই জায়গার নামকরণ বহু বছর আগেই হয়েছে। নামকরণের পিছনে রয়েছে মহাদেবের শহর পরিক্রমার ঐতিহ্য। কান্দির জেমো এলাকার লেখক মলয়কুমার মিশ্র বলেন, কান্দির রূপপুর রুদ্রদেবের মন্দিরের মহাদেবের সঙ্গে বিশ্রামতলার নাম জড়িয়ে রয়েছে। গাজন উৎসবে মহাদেবকে হোমতলায় নিয়ে যাওয়ার সময় ওই জায়গায় কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম দেওয়া হতো। সেই থেকে এই জায়গার নামকরণ হয়েছে বিশ্রামতলা।
৪০ বছর আগে বিশ্রামতলা ছিল ফাঁকা জমি। শুধু কয়েকটি মাটির তৈরি গুমটি ছিল। মুদি ও মিষ্টির দোকান ছিল। তবে এখন ওই এলাকা জমজমাট। দুই দশক আগে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের তরফে সেখানে একটি মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছে। ওই মার্কেটের তিনদিক দিয়ে চওড়া রাস্তা রয়েছে। ফলে কান্দির বিশ্রামতলা ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশ্রামতলার দক্ষিণে রয়েছে একটি ছোট মন্দির। মন্দিরের সামনে কিছুটা ফাঁকা জায়গা রয়েছে। তাতে মেরেকেটে জনা পঞ্চাশেক মানুষ দাঁড়াতে পারেন। এই জায়গায় এখন মহাদেবকে গাজন উৎসবে বিশ্রাম দেওয়া হয়।
সমস্ত রাজনৈতিক দল বিশ্রামতলাতেই সভা করে। তিনদিকের রাস্তায় জমায়েত করেন দলীয় কর্মীরা। তাই এই জায়গাকে অনেকে কলকাতার ধর্মতলার সঙ্গে তুলনা করেন। কেননা এখানেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিটিং-মিছিল হয়। এখানে যাদের কর্মসূচি সফল হয়, ভোটের ফল তাদের পক্ষেই যায় বলে কথিত আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদ সদস্য শাশ্বত মুখোপাধ্যায় বলেন, বিশ্রামতলাকে ধর্মতলা বলার কারণ আছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব প্রচারে এই জায়গাকেই টার্গেট করে। অনেকে এখান থেকেই প্রচার শুরু করেন। তাঁরা অনেকেই এই জায়গাকে শুভ বলে মনে করেন।
সিপিএমের কান্দি এরিয়া কমিটির সম্পাদক স্বরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, অনেকে এই জায়গাকে ধর্মতলা বলেন ঠিকই। আসল ব্যাপার হল, এই জায়গায় ঘন জনবসতি রয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজের সূত্রে আসা মানুষ এখান দিয়ে যাতায়াত করেন। তাই এখানে সভা বা অন্য কর্মসূচি হলে কারও নজর এড়ায় না। সেই কারণেই সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে বিশ্রামতলা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কান্দির তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, বিশ্রামতলা কান্দির গর্ব। ওই জায়গার সঙ্গে বহু ইতিহাস জড়িত। তবে বিশ্রামতলায় মানুষের বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা থাকা উচিত।