পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার থেকে সালাউদ্দিন খান নিখোঁজ ছিলেন। তিনি সাঁইথিয়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি সাবের আলি খানের ভাইপো। পাথর ও জমি কেনাবেচা সংক্রান্ত ব্যবসা করতেন। সিউড়ির লালকুঠি পাড়ায় ভাড়া থাকতেন। ওইদিন তিনি একটি ফোন পেয়ে স্কুটি চালিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। তারপর থেকেই তাঁর সন্ধান মেলেনি। তাঁর ভাই সিউড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিসের সন্দেহের তালিকায় সবার প্রথমে থাকা ব্যবসায়ী তারক টুডুকে আটক করা হয়। সে মহম্মদবাজারের পাথর শিল্পাঞ্চলের মসিহা বলে পরিচিত। কেউ কেউ বলেন, তার কথাতেই ‘পাহাড়’ চলে! অর্থাৎ খাদানে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবেন কি না, কোথা থেকে কত টাকা চাঁদা দিতে হবে, সবই ঠিক করে তারক। তার সঙ্গে ব্যবসায়ীক লেনদেন সংক্রান্ত যোগাযোগ ছিল সালাউদ্দিনের। জমি কেনাবেচার বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে তারকের নিয়মিত কথা হতো। পুলিসের অনুমান, জমি সংক্রান্ত কোনও ঝামেলায় সালাউদ্দিনকে খুন করা হতে পারে। এরপর দফায় দফায় তারককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তাতে তারক স্বীকার করে নেয় খুনের কথা।
পুলিস সূত্রে খবর, তারক ও তার কয়েকজন শাগরেদ খুন করে খাদানের ৫০ ফুট গর্তে সালাউদ্দিন্নকে ফেলে দিয়েছে। পরপর পাঁচদিন ধরে তার উপর মাটি, পাথর ফেলেছে। খাদানটিও তারকই চালাত। ফলে কাকপক্ষীও টের পায়নি। এরপরই এদিন পুলিস মহম্মদবাজারের শালডাঙার ওই খাদানে দু’টি জেসিবি লাগিয়ে গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করে। তবে, এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত দেহ মেলেনি। এর পিছনে প্রকৃত কারণ কী তা নিয়ে এখনও পুলিস নিশ্চিত হতে পারেনি। এই ঘটনা জানাজানির পর গোটা পাথর শিল্পাঞ্চলে শোরগোল পড়েছে। পাথর খাদান এলাকায় বারবার খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। সাঁইথিয়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি বলেন, বলার মতো ভাষা নেই। কোনও রাজনৈতিক কারণ নয়, ব্যবসায়ীক ঝামেলাতেই ওকে খুন করেছে।
এদিনই ধৃত তারককে সিউড়ি আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী কেশব দিয়াশি বলেন, অভিযুক্তকে ১০ দিন পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। যদিও এদিন আদালত চত্বরে তারক খুনের কথা অস্বীকার করে বলে, আমাকে ফাঁসাচ্ছে কয়েকজন ব্যবসায়ী। পাঁচামি এলাকায় আমাকে বড় হতে দেবে না ওরা। আমার লোকেরা যুক্ত হতে পারে। কিন্তু আমি এর সঙ্গে যুক্ত নই।