পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
শহরের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রচারের আইকনের নামও লক্ষ্মী, লক্ষ্মী কর্মকার। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি। বছর পঞ্চাশের লক্ষ্মীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে একটি আঁকার দোকান রয়েছে। প্রায় তিন দশক ধরে বহু ছাত্রছাত্রীর প্র্যাকটিক্যাল ও প্রজেক্টের খাতা রেডি করে দেওয়ার সুবাদে শহরজুড়ে নাম রয়েছে তাঁর। সবার কাছে ‘লক্ষ্মীদা’ নামেই পরিচিত। সেই সঙ্গে নিজেকে তৃণমূলের অন্ধ সমর্থক হিসেবে দাবি করেন তিনি। অরুণবাবু বলেন, সারা বছরই কাজের ফাঁকে দলের কাজ করেন। নির্বাচন এলে কীভাবে ভোট বাড়ানো যায় সেই চিন্তাই লক্ষ্মীর মনে ঘুরঘুর করে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টিকে লক্ষ্মীর মাধ্যমে প্রচার করানো হচ্ছে। সকাল বা বিকেল হাতে সময় পেলেই লক্ষ্মী মেকআপ করে, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক, হাতে নেল পালিশ পরে নিয়ে ত্রিরঙা একটি শাড়ি পরে নেন। মাথায় যেহেতু ছোট চুল তাই মাথা ঢাকেন তেরঙা উত্তরীয় দিয়ে। বাম দিকের কোমরে থাকে একটি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। যে দিন যে ওয়ার্ডে প্রচারে যান সেই ওয়ার্ডের মহিলা কর্মীদের নিয়ে একের পর এক বাড়িতে যান। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা তৃণমূলের নেত্রী পাপিয়া মুখোপাধ্যায়, চামেলি কাপাস, সুজাতা পাত্র প্রমুখ বলেন, দলের মধ্যে লক্ষ্মীদা ছাড়া সবাই মহিলা হওয়ার কারণে আমাদের মহিলা মহলে ঢুকে যেতে কোনও সমস্যা হয় না। সেখানেই আমরা মহিলাদের নানা প্রকল্পের কথা শুনিয়ে আসি।পাপিয়া বলেন, এভাবে আমরা প্রচারে বেরিয়ে সত্যি খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। সাধারণের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা করে ভাতা বেড়ে যাওয়ার ফলে মহিলারা যে খুশি, সেটা এভাবে প্রচারে বাড়ি বাড়ি না গেলে বুঝতেই পারতাম না। আমরা সিপিএম, বিজেপি সবার বাড়িতে যাচ্ছি। প্রত্যেক বাড়ির মহিলারাই এই প্রকল্পের জন্য খুব উপকৃত হওয়ায় তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর সদয়।এভাবে মহিলা সেজে প্রচারে বেরতে খারাপ লাগে না। লক্ষ্মীর জবাব, দলের জন্য কাজ করতে লজ্জা কীসের? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের তথা মহিলাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে আমি আমার প্রাণপাত পর্যন্ত করতে পারি। নিজস্ব চিত্র