প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্ড সংশোধন এবং নতুন রেশন কার্ড পাওয়ার জন্য মুর্শিদাবাদ জেলায় সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। তাঁদের কেউ কেউ কার্ড পেলেও অধিকাংশই পাননি। কার্ড না থাকায় অনেকে সমস্যায় পড়েছেন। সেকারণে রাজ্য সরকার বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কুপন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাঁদের কুপন দেওয়া হবে তাঁদের নাম কয়েকদিন আগেই রাজ্য থেকে জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা খাদ্য দপ্তর কুপন তৈরি করে সেগুলি বাড়ি বাড়ি পাঠাবে। এদিকে রেশন সামগ্রী দেওয়া নিয়ে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিস্তর অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। বড়ঞা থানার একম্বা গ্রামে গ্রাহকদের নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে কম সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগে এলাকার বাসিন্দারা সরব হয়েছিলেন। অন্যদিকে, রেজিনগরে রেশনের সামগ্রী পাচারের অভিযোগ ওঠে। তা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়। লালগোলা থেকে পুলিস রেশনের বিপুল পরিমাণ চাল এবং গম উদ্ধার করেছে। জেলার খাদ্য নিয়ামক বলেন, প্রত্যেক রেশন ডিলারকে নির্দেশ মতো সামগ্রী দিতে হবে। কেউ নির্দেশ অমান্য করলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কত পরিমাণ সামগ্রী দিতে হবে তা ডিলারদের আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রাহকদেরও লাইনে দাঁড়ানোর সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। রেশন দোকানগুলির সামনে গোল গোল দাগ কেটে দেওয়া হয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে সামগ্রী নিতে হবে। রেশন ডিলার অশোক পাণ্ডে বলেন, কুপনের সামগ্রী দেওয়ার নির্দেশ এলেই আমরা তা দিতে শুরু করব। যাদের কার্ড আছে তাদেরকেই এখন সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। সরকারি নির্দেশ মেনেই বণ্টন হচ্ছে। খাদ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা(এএওয়াই) উপভোক্তাদের পরিবার পিছু মাসে ১৫ কেজি চাল, ২০ কেজি গম দেওয়া হবে। অগ্রাধিকার প্রাপ্ত পরিবার(পিএইচএইচ) এবং বিশেষ পরিবার (এসপিএইচএইচ) উপভোক্তাদের ২ কেজি চাল এবং ৩ কেজি গম দেওয়া হবে। রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-১ (আরকেএসওয়াই) উপভোক্তাদের (প্রতি প্রাপ্তবয়স্ক) ২ কেজি চাল এবং ৩ কেজি গম দেওয়া হবে। রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-২ (আরকেএসওয়াই-২) উপভোক্তাকে (প্রতি প্রাপ্তবয়স্ক) ১৩ টাকা কেজি দরে ১ কেজি চাল এবং ৯ টাকা কেজি দরে ১ কেজি গম দেওয়া হবে।
খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাহকদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন জায়গাতেই এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। খাদ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, আমাদের জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে কোনও কোনও এলাকা থেকে অভিযোগ এলেও সামগ্রিকভাবে রেশন বণ্টন ভালোই হচ্ছে। কোথাও তেমন বড় ধরনের অশান্তি হয়নি। আশা করা যায় আগামী দিনেও শান্তিপূর্ণভাবেই সব কিছু শেষ হবে। আবেদন করেও কার্ড না পাওয়া বাসিন্দাদের প্রত্যেকের বাড়িতে দ্রুত কুপন পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই কাজ এখন দ্রুতগতিতে চলছে। ৯ তারিখের মধ্যে কুপন বিতরণ শেষ করা হবে।