প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ডিজিটাল রেশন কার্ড ছাপা হলেও তা এখনও হাতে পাননি বা ছাপাখানায় পড়ে আছে এমন মানুষের সংখ্যা ১লক্ষ ৮৭হাজার ৫০৫জন। আর ২৬হাজার ৪৪২জনের আবেদন গ্রাহ্য হয়েছে। তবে এইসব গ্রাহকদের কার্ড অবশ্য ছাপার কাজ শুরু হয়নি। সব মিলিয়ে জেলায় ২ লক্ষ ১৩হাজারের বেশি আবেদনকারী ফুড কুপনের মাধ্যমে চাল এবং গম পাবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আবেদনকারী রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-১ বিভাগের। জেলা খাদ্য দপ্তরের এক কর্তা বলেন, করোনার জেরে কার্ড ছাপানো থেকে শুরু করে আবেদন অনুমোদন দেওয়ার কাজ সবটাই স্থগিত হয়েছে। কিন্তু এতে সাধারণ মানুষের অনেকেটাই সমস্যা হতে পারে। সে কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জেলার খাদ্য নিয়ামক লতিফউদ্দিন শেখ বলেন, রাজ্যের নির্দেশেই আমরা কুপন বিলি করে এরকম সবাইকে খাদ্যশস্য দেব। কুপন প্রিন্টের কাজ হয়ে গিয়েছে। এবার কীভাবে সেগুলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সেটাই আমরা দেখছি।
সরকার এই পরিস্থিতিতে বিশেষ রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু তা তুলবেন কীকরে তা নিয়ে ধন্দে অনেকেই। জেলা প্রশাসনের কর্তারা বলছেন, আবেদন গ্রাহ্য হওয়া বাসিন্দাদের জন্য কুপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্রুত সেগুলি পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু তবুও আশঙ্কা কাটছে না অনেকেরই। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বিডিওরা ইতিমধ্যেই বৈঠক করে নতুন কার্ড বা সংশোধনের আবেদনকারীদের তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েতগুলিতে। জানা গিয়েছে, কুপনে গ্রাহক বা উপভোক্তার নাম, রেশন কার্ডের নম্বর, যে রেশন দোকান থেকে খাদ্যপণ্য নেবেন, তা লেখা থাকবে। রাজ্য সরকার এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশেষ রেশন দেবে। কুপনে লেখা থাকছে, গ্রাহক কোন তালিকাভুক্ত। যা দেখলে স্পষ্ট হয়ে যাবে, এখন তিনি কী পরিমাণ রেশন পাবেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ছ’মাসের জন্য আলাদা আলাদা খোপ করা থাকছে কুপনগুলিতে। এই কাজে প্রস্তুত হচ্ছেন বিডিওরাও। চাপড়ার বিডিও অনিমেষকান্তি মান্না বলেন, কুপন দু’-একদিনের মধ্যেই দেওয়ার কাজ হবে। জেলার তরফ থেকে আমরাও নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি। কীভাবে তা বিতরণ হবে। নির্দিষ্ট স্কেল অনুযায়ী কুপন যাঁরা পাবেন, তাঁদের খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হবে।