প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের কারণে ভিন রাজ্যের বহু বাসিন্দা জেলার বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে এসে আটকে গিয়েছেন। বাড়ি ফিরে যেতে না পারায় কোনও কোনও ক্ষেত্রে নিয়োগকারী সংস্থা অথবা মালিক কর্মীদের খাবারের ব্যবস্থা করলেও অনেক ক্ষেত্রে সরকারিভাবেও তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে। তবে এই কঠিন পরিস্থিতিতে আলু সিদ্ধ ও ভাত জোটানো সম্ভব হলেও অনেক ক্ষেত্রেই সব্জি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার তাঁদের পাতে পড়ছে না। এই অবস্থায় তাঁদের পুষ্টি জোগাতে পোলট্রি ফেডারেশন এগিয়ে এসেছে। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে তাঁদের জন্য ১লক্ষ ডিম বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সচিব অনুপকুমার রায় বলেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশন মুরগির ডিম দিয়েছে। ওই ডিম বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী, ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের দেওয়া হবে। তার মধ্যে শনিবার প্রায় ৬৫ হাজার ডিম জেলার ২২টি ব্লক প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশনের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক জগন্নাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থা অর্থ দিয়ে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই চাল ও আলু দিয়ে দরিদ্র মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু, লকডাউনের জেরে এই মুহূর্তে বেশিরভাগ মানুষের পক্ষে পর্যাপ্ত শাক, সব্জি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার জোটানো সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে ভিন রাজ্যের বহু শ্রমিক কাজ করতে এসে আমাদের জেলায় আটকে গিয়েছেন। তাঁদের কথা ভেবে অর্থের পরিবর্তে আমরা ১ লক্ষ মুরগির ডিম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ফেডারেশনের বহু ডিম উৎপাদক সদস্য তাতে সাড়া দিয়েছেন। আটকে পড়া শ্রমিকদের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদেরও ডিম দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে প্রায় ৬৫ হাজার ডিম জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি ডিম কয়েকদিনের মধ্যেই দেওয়া হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার বিভিন্ন ব্লক এলাকায় দেড় হাজারেরও বেশি শ্রমিক আটকে রয়েছেন। তারমধ্যে একটা বড় অংশ আটকে রয়েছেন জেলার বিভিন্ন হিমঘরে। এছাড়াও রাইস মিল সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও বহু শ্রমিক রয়েছেন। তারমধ্যে বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যের বাসিন্দা রয়েছেন। লকডাউনের জেরে তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারেননি। সরকারি হিসেবে খাতড়ায় আছেন ২৭জন, রানিবাঁধে ১৩, সিমলাপালে ৮৩, রাইপুরে ৩৩, সারেঙ্গায় ১০০, বাঁকুড়া-২ ব্লকে ৬৬, ওন্দায় ৮৪, জয়পুরে ২৬৪, বিষ্ণুপুরে ১৮, সোনামুখীতে ৩০৪ ও ইন্দাসে ৬৩৯জন।
জগন্নাথবাবু বলেন, নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় ডিম সরবরাহ করার মতো লোকবল বা পরিকাঠামো নেই। তাই আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হই। আধিকারিকরা আমাদের প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করেন। তা দ্রুত বিলিবণ্টনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।