প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরে লকডাউন ভঙ্গ করার অভিযোগ প্রতিদিন সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে উঠছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে পুলিস গ্রেপ্তারও করেছে। এবার লকডাউন ভঙ্গ করার অভিযোগ উঠল খোদ শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়রের বিরুদ্ধে। এদিন তাঁর বিরুদ্ধে দুর্গানগরের এক বাসিন্দা থানায় অভিযোগ করেন। তা খতিয়ে দেখার পর আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিস।
প্রধাননগর থানার পুলিস জানিয়েছে, গত শুক্রবার দুর্গানগরে যান ডেপুটি মেয়র। অভিযোগ, ৫০ জনকে নিয়ে সেখানে গিয়ে তিনি মিটিং করেন। তখন সেখানে আরও লোক জমায়েত হয়। ওই এলাকা কার্যত মেলার চেহারা নেয়। সামাজিক দূরত্ব তিনি বজায় রাখেননি বলে অভিযোগ। তাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিসের এক অফিসার বলেন, জমায়েত তো দূরের কথা, আইন অনুসারে বর্তমানে একসঙ্গে সাতজন লোক ঘোরাঘুরি করতে পারে না। তাই ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখে ডেপুটি মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
শিলিগুড়ি পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ডেপুটি মেয়র। তাঁর মতো দায়িত্বশীল নাগরিক লকডাউন উপেক্ষা করায় শহরে ব্যাপক আলোড়ন পড়েছে। ডেপুটি মেয়র রামভজনবাবু অবশ্য বলেন, ওই এলাকায় কয়েকদিন আগে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। একজনের হাতও ভেঙে যায়। আমি এলাকার কাউন্সিলা, গোলমালকারীরা তাই আমাকে ডেকে ছিলেন। সেখানে গিয়ে ওদেরকে লকডাউন সম্পর্কে বোঝাই। বাড়ি থেকে বেরতে নিষেধ করি। তখন সেখানে এলাকার কিছু বাসিন্দা জড়ো হন। তবে করোনার ছোবল রুখতে আমি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেছিলাম। বাকিদেরও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখাতে বলেছি। এই মহূর্তে বাড়ি থেকে বেরতে সকলকে বারণ করেছি। সুতরাং আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা।
করোনা বিরুদ্ধে চলা যুদ্ধে দেশের অন্যান্য প্রান্তের মতো শিলিগুড়ি শহরেও দু’সপ্তাহ ধরে লকডাউন চলছে। লকডাউন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে পুলিস। এদিন ভক্তিনগর থানার পুলিস তিনজনকে, বিধাননগর থানার পুলিস ছ’জনকে ও মাটিগাড়া থানার পুলিস একজনকে গ্রেপ্তার করে। লকডাউন উপেক্ষা করে ধৃতদের কেউ রাস্তায় ঘুরছিল আবার কেউ আড্ডা দিচ্ছিল।