প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্টের সদস্য তথা সদর মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল বলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেবোত্তর ট্রাস্টের অধীনে থাকা মন্দিরগুলিতে যাতে জনসমাগম না হয়, সেজন্য অঞ্জলি ও ভোগ বিতরণের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। সকলেই তা মানছেন।
কোচবিহার মদনমোহন বাড়ির বড়বাবু জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, অন্যান্য সময়ের মতো প্রথা মেনে রাজ পরিবারের কুল দেবতা মদনমোহনের প্রতিদিন নিত্যপুজো হচ্ছে। রীতি মেনে ভোগ নিবেদনও করা হচ্ছে। তবে আগে দুপুরে পুজোর সময় প্রচুর ভক্ত অঞ্জলি ও ভোগ দিতে মন্দিরে আসতেন। লকডাউনের জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় ভক্তরা এখন মন্দিরে আসতে পারছেন না। সেজন্য ভক্ত সমাগম একেবারেই নেই।
কোচবিহার শহরের প্রবীণ বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কবি অমর চক্রবর্তী বলেন, এরকম শান্ত কোলাহলমুক্ত কোচবিহার শহর এতদিন ধরে দেখতে পাব কখনও কল্পনার মধ্যে ছিল না। করোনার জেরে এক ধাক্কায় অন্যান্য জায়গার মতো কোচবিহার শহরেও দূষণ একেবারে কমে গিয়েছে। আগের মতো প্রাণচঞ্চল রাজার শহর কোচবিহারকে দেখতে চাই। তবে মানব জাতির কল্যাণের জন্য ও করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ে আমাদের আরও এভাবেই কিছুদিন ঘরবন্দি হয়ে থাকতেই হবে।
মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরের অন্যান্য সময়ে মন্দিরে প্রতিদিন ১৫০-২০০ জন পুণ্যার্থী সকালে পুজো দিতে আসেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জেরে চলতে থাকা লকডাউনের কারণে এখন কেউই মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিতে আসছেন না। তবে চিরাচরিত রীতি মেনে দেবতাদের উদ্দেশে ভোগ নিবেদন থেকে নিত্যপুজা নিয়ম মেনেই চলছে। সকাল বিকেল মদনমোহন বাড়িতে বসছে নহবতও। বছরের অন্যান্য সময় মন্দিরের গেট রাত ৮টায় বন্ধ হলেও এখন একঘণ্টা এগিয়ে ৭টাতেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের তরফে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মদনমোহন মন্দির সহ জেলার অন্যান্য মন্দিরে লোকসমাগম ঠেকাতে ভক্তদের ভোগ বিতরণ ও অঞ্জলি দেওয়ার বিষয়ে বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে। মন্দিরে কেউ এলে তাঁকে সাবান জলে হাত ধুয়ে ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পর মন্দিরের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই শহরের প্রাণকেন্দ্র সাগরদিঘি চত্বর জমজমাট থাকত। করোনা সতর্কতার জন্য লকডাউনের জেরে সাগরদিঘি চত্বর এখন সবসময়তেই জনশূন্য হয়ে থাকছে। একই অবস্থা শহরের অন্যান্য এলাকাগুলিরও।