প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
বড় ধরনের দুর্ঘটনা, দাঙ্গা হাঙ্গামা বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হওয়া মানুষকে সহায়তা করা হয় জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে। করোনা সংক্রমণের প্রেক্ষিতে গত ২৮ মার্চ পৃথক একটি তহবিল গঠনের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। জরুরি পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে গঠন করা হয় এই পিএম কেয়ার্স তহবিল। ইতিমধ্যেই এই নতুন তহবিলে কর্পোরেট জগৎ ও সরকারি সংগঠনগুলি থেকে মোটা অঙ্কের অনুদান এসেছে। টাটা গোষ্ঠী দিয়েছে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশন ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। সেনা, নৌবাহিনী, বায়ুসেনা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সংস্থা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্মীরা যৌথভাবে দিয়েছেন ৫০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আসছে অনুদান। পিছিয়ে নেই সেলিব্রিটি মহল, ক্রীড়া ও বেসরকারি ক্ষেত্রও। জাতীয় ত্রাণ তহবিলে অনুদান হিসেবে কমপক্ষে ১০০ টাকা দিতে হয়। কিন্তু পিএম কেয়ার্স গ্রহণ করছে ১০ টাকার অনুদানও।
পিএম কেয়ার্স তহবিল নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কংগ্রেসের প্রশ্ন, জাতীয় ত্রাণ তহবিল থাকতে নতুন করে আরও একটি তহবিল গঠনের প্রয়োজন কী? ঘটনাচক্রে, জাতীয় ত্রাণ তহবিলে প্রধানমন্ত্রী, উপ প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, অর্থমন্ত্রী ও অন্যান্যদের সঙ্গে পরিচালন সমিতিতে থাকেন কংগ্রেস সভাপতিও। বিজেপি এখন পাল্টা বলছে, কংগ্রেস রাজনীতি করছে এই নতুন তহবিল নিয়ে। কারণ, কংগ্রেস সভাপতিকে রাখা হয়নি পিএম কেয়ার্স তহবিলে।
সরকারি সূত্রে খবর, জাতীয় ত্রাণ তহবিলের মতো পিএম কেয়ার্স তহবিলে অনুদানের ক্ষেত্রেও আয়করের সুবিধা মিলবে। পাশাপাশি এই নতুন তহবিলের টাকা ব্যবহার করা যাবে বিপদ আটকাতে প্রয়োজনীয় গবেষণার কাজেও। চিকিৎসা সরঞ্জাম ও পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজও করা যাবে এই টাকা দিয়ে। পিএম কেয়ার্স তহবিলে সাংসদরা এমপি ল্যাডের টাকা থেকে অনুদান দিতে পারবেন। অনুদান গ্রহণ করা যাবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি থেকেও। জাতীয় ত্রাণ তহবিলে এই সুযোগ নেই। সূত্রের খবর, লোকসভা ও রাজ্যসভার মোট ৩৩৯ জন সদস্য ইতিমধ্যেই এই নতুন তহবিলে টাকা দিয়েছেন। এর মিলিত পরিমাণ ৩৬৫ কোটি টাকা। তবে জাতীয় ত্রাণ তহবিলের মতো এটিকেও ক্যাগ অডিট থেকে বাইরে রাখা হবে কি না, এখনও স্পষ্ট নয়।