প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
বীরভূম জেলায় করোনা আক্রান্তের কোনও খবর না থাকলেও রাজ্য ও গোটা দেশে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ আটকাতে নানা সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। জেলার অধিকাংশ সরকারি ভবন, কমিউনিটি সেন্টারকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। একইভাবে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে দু’-তিনটি করে আইসোলেশন বেড রেডি করে রাখা হয়েছে। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে ৬০বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে এই জেলাতেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। তাই আগাম সর্তকতামূলকব্যবস্থা হিসেবে এবার বিলাসবহুল ওই হোটেল আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিণত করল স্বাস্থ্য দপ্তর। সংক্রমণ রুখতে হোটেল বিশেষভাবে তৈরিও রাখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই স্বাস্থ্য জেলায় ১২৫টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পার্থ দে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ওই হোটেলে আপাতত ৩০টি আইসোলেশন বেড চালু থাকবে। পরিস্থিতি খারাপ হলে আরও ১০বেডে ভর্তি নেওয়া হবে। চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সবই রাখা হচ্ছে। হাসপাতালে যা পরিষেবা দেওয়া হয়, এখানেও একই পরিষেবা মিলবে। এছাড়া প্রতিটি বিপিএইচসিতেও আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠলে স্থানীয় নার্সিংহোম, স্কুল, অন্যান্য হোটেলেও আইসোলেশন সেন্টার করা হবে।
স্বাস্থ্য কর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি খুব খারাপ হবে এমনটা মনে হচ্ছে না। তাও আগাম সবই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাঁরা বিদেশ থেকে এসেছেন তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইন ও নন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। প্রতিনিয়ত তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। অনেকে সৌদি আরব বা চীন থেকে এসেছেন। বেশিরভাগই পড়ুয়া। অনেকেরই ১৪দিন কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড পেরিয়েও গিয়েছে। তাঁরা সুস্থ রয়েছেন। পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি থেকে পুলিস, প্রশাসন, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা সকলেই সক্রিয় হওয়ায় এই জেলার পরিস্থিতি খুবই ভালো।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে দু’জন ও ময়ূরেশ্বরের ষাটপলশা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন আইসোলেশনে রয়েছেন। তাঁরা কেরল ও মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন। শ্বাসকষ্ট, সর্দিজ্বর থাকায় তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে বেলেঘাটা আইডিতে পাঠানো হয়েছে।