প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
বাঁকুড়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ বলেন, রাজ্যের নির্দেশ মেনে খাদ্য দপ্তর বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে তাদের বরাদ্দ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেবে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে ২ এপ্রিল রাজ্য সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার খাদ্য দপ্তরকে স্পেশাল জিআর হিসেবে কলকাতা সহ ১৩টি জেলার ওই দুই দপ্তরকে চাল দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মতো জেলা খাদ্য দপ্তরের কাছে থাকা স্টেট পুল স্টক থেকে ৩২৫০.১৭ টাকা প্রতি কুইন্টাল দরে মোট ১৪৫০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ করা হয়। তবে লোডিং-আনলোডিং এবং খাদ্য দপ্তরের গোডাউন থেকে চাল নিয়ে যাওয়ার খরচ বরাদ্দ পাওয়া সংশ্লিষ্ট দপ্তর নিজেরাই বহন করবে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে সিভিল ডিফেন্স ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টকে বরাদ্দ করা চালের অর্থমূল্য তারা সংশ্লিষ্ট জেলার খাদ্য দপ্তরকে জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে প্রদান করবে। নির্দেশ পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই জেলার খাদ্য দপ্তর চাল সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে।
দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জন্য ১০০মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া পূর্ব বর্ধমানের জন্য ২০০ মেট্রিক টন ও কলকাতার জন্য ১৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই এই চাল বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বরাদ্দ চাল হাতে এলে জেলাগুলিতে তার কিছুটা অংশ যে সমস্ত মানুষের কোনও কারণে রেশন কার্ড হয়নি বা আবেদন করলেও অনুমতি মেলেনি তাঁদের দেওয়া হবে। চালের কিছুটা অংশ ভিন রাজ্যের আটকে থাকা শ্রমিক, ভবঘুরেদেরও বিতরণ করা হবে। বাকি অংশ বিপর্যয় পরিস্থিতির কথা ভেবে আগাম মজুত রাখা হবে। এজন্য ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর যে সমস্ত মানুষকে প্রাথমিকভাবে সুবিধা দেবে তার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে।