নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নোভেল করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে গোটা দেশে চলছে লকডাউন। তবে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে লকডাউনেও মিলছে জরুরি পরিষেবা। খোলা সব্জি বাজার, মুদির দোকান, ওষুধের দোকান সহ অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা।
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি কলকাতা: বছরের আর পাঁচটা সময় রীতিমত ঘড়ি ধরে আদালত বসে সকাল দশটায়। কোর্ট শেষ হতে গড়িয়ে যায় কোথাও পাঁচটা থেকে সাতটা পর্যন্তও। বিশেষ করে যে মহাকুমা কোর্টগুলিতে প্রতিদিন বেশি সংখ্যক অভিযুক্তদের হাজির করা হয়, সেখানে তো এই ঘটনা হামেশাই ঘটে। কিন্তু লকডাউনের জেরে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন মহাকুমা কোর্টে দেখা যাচ্ছে একেবারে ভিন্ন চিত্র। সেখানে প্রতিদিন মাত্র ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে আদালতের যাবতীয় কাজকর্ম। আর কোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারকরাও দ্রুত রওনা দিচ্ছেন বাড়ির পথে। এরপরই লকডাউনকে স্বাভাবিক রাখতে এক মুহূর্ত দেরি না করে ঝপাঝপ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কোর্টের দরজা জানলা। ব্যাঙ্কশাল, শিয়ালদহ, আলিপুর কোট সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন প্রায় প্রতিদিনই আদালতে হাজির করা হচ্ছে লকডাউন ভাঙার ঘটনায় লোকজনকে। কোথাও সরাসরি থানা থেকে, আবার কোথাও আদালত থেকে জামিন পাচ্ছেন অভিযুক্তরা। আইনজীবীদের কথায়, জামিনযোগ্য অভিযোগ থাকায় তাঁদেরকে কোর্টে তোলার সঙ্গে সঙ্গে জামিনও পেয়ে যাচ্ছেন। আলিপুরের সহকারী মুখ্য সরকারি আইনজীবী শিবনাথ অধিকারী বলেন, জামিনযোগ্য অভিযোগ থাকলে সেখানে সরকারপক্ষের কোন বক্তব্য থাকে না। ফলে বিচারকও দ্রুত জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। কিন্তু জামিন অযোগ্য অভিযোগ থাকলে সেখানে সমস্যা অনেক। সরকার ও অভিযুক্তপক্ষ — দু’তরফের বক্তব্য শোনার পর মামলার কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখে তবেই বিচারক রায় দেন। গত ১০ দিনে শহর ও পার্শ্ববর্তী জেলার আদালতগুলিতেও একই চিত্র ধরা পড়ে বলে আইনজীবীদের বক্তব্য। তাঁদের কথায়,গুরুত্বপূর্ণ কোনও ফৌজদারি মামলার না ওঠার কারণেই দ্রুত শেষ হয়ে যায় মামলার শুনানি।
