একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
বাঁকুড়া কলেজ মোড় টেন্ট সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন ক্লাব ৩৭তম বছরে পুজো মণ্ডপে জ্যোৎস্না রাতের প্রাকৃতিক দৃশ্য তুলে ধরেছে। পুজো কমিটির সম্পাদক সঞ্জয় কুণ্ডু বলেন, এবার আমাদের মণ্ডপের থিমের নাম বনজোছনা। জঙ্গলের ভিতরে জোৎস্না রাতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কী ধরনের হয় তা আমাদের মণ্ডপে দেখানোর চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি জঙ্গল না থাকলে প্রাণী জগতের অস্তিত্বও বিপন্ন হয়ে যাবে। তাই জঙ্গল রক্ষার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন রেখেছি। এছাড়াও এবার আমাদের মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমার আদলেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার আমাদের প্রতিমায় থাকবে চারটি হাত। একদিকে দুই হাতে বীণা নিয়ে থাকবেন দেবী, আর অন্য দুই হাতে তিনি আশীর্বাদ করবেন। ফোম, রং আর বিভিন্ন ধরনের ফ্লেক্স, কাপড় দিয়ে মণ্ডপ সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। আকর্ষণীয় মণ্ডপের পাশাপাশি আলোর গেট ও মণ্ডপের আলোক সজ্জা দর্শনার্থীদের নজর কাড়বে। মঙ্গলবার থেকেই অনেকে মণ্ডপ দেখার জন্য ভিড় করছেন। তবে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভিড় আরও বাড়বে।
যোগেশপল্লি ফ্রেন্ডস ফিফটি ক্লাব ২৫তম বছরে একটি ময়ূরের আদলে তাদের মণ্ডপ সাজিয়ে তুলেছে। পাশাপাশি মণ্ডপের সামনের দিকে প্লাইবোর্ড ও ফোমের মাধ্যমে জঙ্গলের পরিবেশের বিভিন্ন খণ্ডচিত্র তুলে ধরেছে। পুজো কমিটির সম্পাদক চন্দ্রশেখর গণ বলেন, এবার আমরা আমাদের থিমের নাম রেখেছি প্রকৃতি। আমাদেরই পুজোকমিটির সদস্য সৌরভ দাসমোদকের ভাবনাকে বাস্তবায়িত করেছেন বিশ্বজিৎ লোহার(পোঁচাই) নামে স্থানীয় এক শিল্পী। দিনের পর দিন জঙ্গলের পরিমাণ কমছে। যার জেরে আবহাওয়ারও পরিবর্তন হচ্ছে। তাই মানুষের মধ্যে জঙ্গল রক্ষা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই এই ধরনের থিম বেছে নিয়েছি। চার দিন ধরে পুজোর পাশাপাশি মণ্ডপ লাগোয়া রাস্তার দু’পাশে অস্থায়ী মেলা বসবে। পুজোর দিন থেকে প্রতিদিনই নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে। আমাদের পুজো মণ্ডপ দর্শকদের মন জয় করবেই।
অন্যদিকে, কাঠজুড়িডাঙা ক্যান্টিন টেন্ট ক্লাব চতুর্থ বছরে পুজো মণ্ডপে বর্ণপরিচয়কে তুলে ধরেছে। পুজো কমিটির সম্পাদক রাজেশ কর্মকার বলেন, বাগদেবীর আরাধনায় তৈরি মণ্ডপে আমরা সর্বশিক্ষা অভিযানকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। মাদুর, শরকাঠি, বর্ণপরিচয়ের বিভিন্ন অক্ষর, দিয়ে সাজিয়ে তুলেছি। এছাড়াও মণ্ডপের প্রতিটি স্তরকে পেন্সিলের আদলে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। একই সঙ্গে কী কারণে সবার শিক্ষার প্রয়োজন তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। মণ্ডপের পাশাপাশি সংলগ্ন এলাকার আলোক সজ্জা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রায় ২০০ দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীকে পড়াশোনার কিট বিতরণের মাধ্যমে মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা ও জেলা পরিষদের মেন্টর অরূপ চক্রবর্তী চতুর্থ বছরের পুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। আশা করছি, আমাদের মণ্ডপ সবার মন জয় করবে।