কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
নতুনডি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মিতন বাউরি সহ তিন সদস্যের স্বাক্ষর করা অভিযোগপত্র থেকে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল ও টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হচ্ছে। প্রধান তাঁর নিজের ইচ্ছামতো টাকা খরচ করছেন। সদস্যদের তা কিছুই জানানো হচ্ছে না। তাই পঞ্চায়েতের সমস্তরকম কাজ তাঁরা স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান সুচিত্রা বাউরি বলেন, অভিযোগের বিষয়টি জানা নেই। তবে অভিযোগের যে বিষয়টি বলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।
অভিযোগকারীদের মধ্যে উপপ্রধান বলেন, আমি পারিবারিক কাজে ব্যস্ত রয়েছি। পঞ্চায়েতের সদস্যরা একটি কাগজে অভিযোগ লিখেছিল। আমি তা পড়ে স্বাক্ষর করেছি। বিডিওর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তার চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।
বিডিও মৃন্ময় মণ্ডল বলেন, পঞ্চায়েতের তরফ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্তের জন্য বলা হয়েছে। মঙ্গলবার তার রিপোর্ট পাব। সেই রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জীব তথা রানা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রধানের বিরুদ্ধে তাঁরই দলের উপপ্রধান ও সদস্যরা অভিযোগ করছেন। এর থেকে পরিষ্কার, পঞ্চায়েতে টাকা ভাগাভাগি ঠিক হচ্ছে না। বিজেপি দলটাই আসলে টাকা কামানোর দল। খোঁজ নিয়ে দেখলে দেখা যাবে, ভাগের অঙ্ক ঠিকমতো হয়নি।
এবিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক কমলাকান্ত হাঁসদা তৃণমূলের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, পঞ্চায়েতের অভিযোগের বিষয়টি জানা নেই। বিজেপি সদস্যরা কোনও অন্যায় করে না ও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। তাই কিছু অন্যায় হয়েছে বলেই হয়তো রোধ করার জন্য অভিযোগ হয়েছে।