কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
এনিয়ে সিপিএমের হুগলি জেলা কমিটির সদস্য তথা আরামবাগ এরিয়া কমিটির সম্পাদক পূর্ণেন্দু চক্রবর্তী বলেন, বর্তমান সরকারের চিন্তাভাবনা এবং দৃষ্টি শক্তি খুবই সংকীর্ণ। যে কারণে পুরনো জিনিসগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণের কোনও উদ্যোগ নেয় না। উন্নয়ন মানে এই সরকার শুধুমাত্র বাহ্যিক বিষয়গুলিকেই দেখে। তবে ওই এলাকার শিশু ও প্রবীণদের জন্য পার্কটির দ্রুত সংস্কার অবশ্যই দরকার।
বিষয়টি নিয়ে আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণ চন্দ্র সাঁতরা বলেন, ওই এলাকায় পার্ক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কেউ আমার কাছে আবেদন করেননি। তবে আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে অবশ্যই শিশু উদ্যানের সংস্কারের কাজ করব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটা সময় এই উদ্যানে ছোটদের বিভিন্ন রকম খেলাধুলোর সামগ্রী ছিল। কিন্তু, বর্তমানে সেগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উদ্যানের মুখ ঢেকেছে আগাছা আর লতা পাতায়। সন্ধ্যা নামলেই সেখানে সমাজবিরোধীদের আনাগোনা শুরু হচ্ছে। রাত পর্যন্ত সেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে বলে অভিযোগ। স্থানীয় মহিলাদের একাংশের অভিযোগ, মাঝেমধ্যেই এখানে মদ্যপানের আসর বসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্কটি তৈরি হওয়ার আগে এই জায়গাটি ছিল জলা। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় গ্রামের মানুষ একটি কমিটি তৈরি করে পার্ক তৈরির উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেন। তারপর সংসদ সদস্যের উদ্যোগে তৈরি হয় পার্কটি। এলাকার শিশুদের পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিকরা বিকেলের পর সময় কাটাতেন সেখানে। পার্কটিতে সাধারণ মানুষদের বসার জায়গা ছাড়াও শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য দোলনা, বিভিন্ন ক্রীড়া সরঞ্জাম দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। এমনকী, পার্কের চারধারে গাছপালা ও আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, উদ্বোধন করার পর কয়েক বছর ঠিকঠাক থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধীরে ধীরে শিশু উদ্যানের সবই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখন আর এই পার্কে শিশুদের দেখা মেলে না। উঠতি বয়সের যুবকরা সন্ধ্যার পর আড্ডা দেন পার্কের কোণায় দাঁড়িয়ে। বর্তমানে পার্কের ভিতর জঙ্গলের পাশাপাশি দোলনা, খেলার সামগ্রী সবকিছুই গুল্মজাতীয় লতাপাতার দখলে চলে গিয়েছে। দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করায় গোটা পার্ক আগাছায় ভর্তি হয়ে রয়েছে। নানা ধরনের বিষাক্ত কীট পতঙ্গ ছাড়াও বর্ষার সময় সাপের উপদ্রব বাড়ে। তাই শিশুদের পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিকদের স্বার্থে অবিলম্বে পার্কটির সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক সরকার, মানস মণ্ডল, অসিত দাস বলেন, আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের একমাত্র শিশু উদ্যানটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল হয়ে রয়েছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের খেলাধুলোর জন্য অবিলম্বে এই পার্ক সংস্কার করে আধুনিকীকরণের প্রয়োজন রয়েছে।