Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সংবিধান ও গণতন্ত্রের ভিত দুর্বল হলে ভারতের আত্মাও বিপন্ন হতে বাধ্য
হিমাংশু সিংহ

১৫ আগস্ট যদি দেশের জন্মদিন হয়, তাহলে ২৬ জানুয়ারি হচ্ছে কোন মতাদর্শ ও আইন মেনে কীসের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে, তার লিখিত বয়ান চূড়ান্ত করার বর্ণাঢ্য উদযাপনের শুভ মুহূর্ত। নবজাতক শিশু স্কুলে ভর্তি হলে একটা নির্দিষ্ট নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে ধীরে ধীরে পরিণত হয়। একটা আদর্শ, একটা সিলেবাস তথা পাঠ্যসূচি এবং সেইসঙ্গে কঠোর অনুশাসন তাকে প্রতিমুহূর্তে চালনা করে। রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও তাই। দেশ পরিচালনা করতে একটা সংবিধান লাগে। লিখিত কিংবা অলিখিত। আমাদের সংবিধান লিখিত হলেও ব্রিটেন, কানাডা, ইজরায়েল, সৌদি আরব ও নিউজিল্যান্ডের সংবিধান লিখিত নয়। ভারতের ক্ষেত্রে ১৯৪৭-এর ঐতিহাসিক স্বাধীনতা লাভের পর প্রাথমিকভাবে ৩৯৫ অনুচ্ছেদের সংবিধান চূড়ান্ত করতে দু’বছরেরও কিছু বেশি সময় পেরিয়ে যায়। ভীমরাও আম্বেদকর ও তাঁর সতীর্থরা কঠোর পরিশ্রম করে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ এই সংবিধানকে রূপ দেন। আর আজ স্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের সাত দশক পর সেই পবিত্র সংবিধানই এক ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। যে দর্শনের উপর দাঁড়িয়ে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে পাথেয় করে ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি পৃথিবীর বৃহত্তম সংবিধান কার্যকর হয়েছিল, তার আত্মাকেই যেনতেন প্রকারেণ জখম করার চেষ্টা চলছে। ডেকে আনা হচ্ছে মানুষে মানুষে বিভাজন। গত কয়েকমাস ধরে রাস্তায় নেমে ছাত্র ও যুব সমাজ এরই সক্রিয় বিরোধিতা করছে, তীব্র আন্দোলন করছে। আবার ছাত্রছাত্রীদের সবক শেখাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাতের অন্ধকারেই আক্রান্ত হতে হচ্ছে তাদের নেতানেত্রীদের। যার জন্য বিদেশি এক সংস্থার সমীক্ষায় গণতন্ত্রের সূচকের মানদণ্ডে ভারতের স্থান গত একবছরে দশধাপ নীচে নেমে গিয়েছে। পাশাপাশি অর্থনীতিও নানা সঙ্কটে জর্জরিত হয়েছে।
একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী যে-কোনও শাসকই ভুলে যায় সুস্থ বিতর্ক, বিরোধ আর গঠনমূলক সমালোচনাই আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মূল কথা। সংবিধান প্রণেতারা সেই দিকনির্দেশই করে গিয়েছেন। শুধু কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারই নয়, সামান্য একটা সমবায় কিংবা ছোট আবাসনের পরিচালন ক্ষমতা বছরের পর বছর দখলে রাখার নেশায় তাই ক্ষমতাধরেরা যাবতীয় শিষ্টাচারকে বিসর্জন দিতে পর্যন্ত কার্পণ্য করেন না। এটাই ক্ষমতাভোগীদের সবচেয়ে বড় অসুখ। অথচ ভারতের গণতান্ত্রিক পরম্পরা সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলে। আজকের দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পূর্বসূরি বিজেপির সর্বমান্য নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ি সংসদে একাধিকবার তাঁর বক্তৃতায় বলে গিয়েছেন, দল আসবে যাবে, সরকার তৈরি হবে, বিদায় নেবে, কিন্তু দেশ, দেশের লোকতান্ত্রিক কাঠামো যেন অটুট, অক্ষুণ্ণ থাকে। না-হলে বিপদ অনিবার্য। বাজপেয়িজি বুঝেছিলেন, সুস্থ বিরোধিতা, যুক্তিনির্ভর বিতর্ক আর সমালোচনা আমাদের সংসদীয় রাজনীতির প্রাণ। সরকার পক্ষ যতই শক্তিশালী হোক, ভারতের সংসদ কিন্তু মূলত বিরোধীদের। তাকে কোনওভাবে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা হলে, বিরোধীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হলে গণতন্ত্র বিপন্ন হতে বাধ্য।
সাত দশকের চলার পথে সংবিধানের উপর আঘাত এসেছে বারে বারে। চতুর শাসক ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে নিজের সঙ্কীর্ণ স্বার্থে বারে বারে সংবিধানকে ঘুরিয়ে ব্যবহার করার চেষ্টা যেমন করেছে, তেমনই নাগরিকদের সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টাও হয়েছে বারে বারে। কিন্তু প্রতিবারই সাময়িক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সংবিধান আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে তার অন্তর্নিহিত শক্তির জোরে। এবারও শাসকের রক্তচক্ষুর মোকাবিলা করে আবার গণতন্ত্র আপন মর্যাদা ও সম্মান ফিরে পাবে বলেই মানুষের বিশ্বাস।
১৯৭৫-এ ইন্দিরা গান্ধীর শাসনে জরুরি অবস্থা জারি ও মৌলিক অধিকার থেকে দেশবাসীকে বঞ্চিত করা ভারতীয় সংবিধানের উপর প্রথম বড় আঘাত। কার্যত সংবিধানকেই সেইসময় সাময়িকভাবে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। কালা কানুন ‘মিসা’ জারি করে দেশের তাবৎ বিরোধী নেতানেত্রীদের একতরফা গ্রেপ্তার করে রাখা হয়েছিল। কালা কানুনের দরুণ আইনি লড়াইও কঠিন হয়ে পড়ে। এমনকী সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের উপরও আঘাত নেমে আসে। স্বাধীনতার পর ইন্দিরা জমানাতেই ভারতীয় সংবিধান প্রথম বড় ধাক্কা খেয়েছিল। আর গত এক বছরে দ্বিতীয়বারের মোদি জমানায় সংবিধানের উপর ক্রমাগত আঘাত নেমে এসেছে।
আগেই বলেছি, সংবিধান লিখতে আম্বেদকর ও তাঁর সহযোগীরা সময় নিয়েছিলেন দু’বছরেরও বেশি। ১৯৪৭-এ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে শুরু করে ১৯৪৯-এর শেষার্ধ পর্যন্ত সংবিধান লেখার কাজ চলে। সংবিধান লেখা শেষ ও গৃহীত হয় ১৯৪৯-এর ২৬ নভেম্বর। আর তা কার্যকর করা শুরু হয় ১৯৫০-এর ২৬ জানুয়ারি। সেই থেকে ২৬ জানুয়ারি দিনটি ‘সাধারণতন্ত্র দিবস’ হিসেবে পরিচিত। মোদি সরকার এসেই ২০১৫ থেকে ২৬ নভেম্বর দিনটি পালন করছে ‘সংবিধান দিবস’ নামে। কিন্তু, সংবিধানের মূল আত্মা ভালো আছে কি? আজ এই প্রশ্নের মুখে গোটা দেশ এবং দেশের মানুষ।
গত এক বছরে সংবিধান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা কিছু কম হয়নি। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেই মোদি কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি ঘটান। ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারার সৌজন্যে স্বাধীনতার সময় থেকেই জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ মর্যাদা পেয়ে আসছিল। সেই বিশেষ মর্যাদা শুধু কেড়েই নেওয়া হয়নি, পূর্ণ রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছে। আর তা করতে গিয়ে মাসের পর মাস উপত্যকায় সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকারগুলিকেই কেন্দ্র হরণ করে রেখেছে। এমনকী, ইন্টারনেট, টেলিফোনসহ দৈনন্দিন পরিষেবাগুলিকেও দিনের পর দিন বন্ধ রাখা হয়েছে। যার দরুণ সুপ্রিম কোর্টকে পর্যন্ত হালে বলতে হয়, ইন্টারনেট পরিষেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। সেইসঙ্গে আটক করে রাখা হয়েছে শতাধিক কাশ্মীরি নেতানেত্রীকে। কোনও মামলা বা শুনানি ছাড়াই তাঁরা কার্যত সেই আগস্ট মাস থেকে গৃহবন্দি। বহু এলাকায় এই সেদিন পর্যন্ত টেলিফোন ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ ছিল, বিমানবন্দর থেকে মূল শহরে প্রবেশের ছাড়পত্রও দেওয়া হচ্ছিল না। এক-দু’দিন নয়, মাসের পর মাস এমনটা চলেছে। তাঁদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় ওই রাজ্যের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও আছেন। সামগ্রিকভাবেই এই একের পর এক ঘটনা পরম্পরা গণতন্ত্র রক্ষার মানদণ্ডে ভারতের অবস্থানকে নীচের দিকে ঠেলে দিয়েছে। যেখানে শীর্ষ নেতানেত্রীরাই নিরাপদ নন, তাঁদের স্বাধীন চলাফেরাটুকুও নিয়ন্ত্রিত, সেখানে কীসের গণতন্ত্রের বড়াই! গণতন্ত্রই যেখানে বিপন্ন, সেখানে সংবিধানে লেখাজোখার দাম দেবে কে? এ প্রশ্ন অবান্তর নয়।
আর ৩৭০ নিয়ে যখন উত্তেজনা কিছুটা স্তিমিত হয়ে আসছে, ঠিক তখনই মোদি সরকার আরেক নজির গড়ল নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন তৈরির বিতর্কিত বিলটিকে এনে, যেটি ধর্মের ভিত্তিতে মানুষে মানুষে বিভাজনের এক মোক্ষম অস্ত্র মাত্র। স্বাধীনতা পরবর্তী সাত দশক অতিবাহিত হওয়ার পর দেশ যখন পাঁচ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে, ঠিক তখন কে নাগরিক আর কে নয়, তা নিরূপণ করতে নতুন উদ্যমে আইন সংশোধন করা হচ্ছে এবং গোটা দেশ তাতে উত্তপ্ত। এ এক বেনজির কাণ্ড। একবার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলছেন, ২০২৪-এর মধ্যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারীকে তাড়ানো হবে, আবার সেই তিনিই বলছেন, এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। এই স্ববিরোধিতা দেশবাসীর ঠিক বোধগম্য হচ্ছে না। বিজেপিরই অনেক ছোটবড় নেতা বলছেন, এনআরসি হবেই। আবার অন্য একদল বলছেন, আপাতত এনআরসি নাকি শুধু অসমেই সীমাবদ্ধ রাখা হবে। তাহলে কোনটা ঠিক? দেশের মানুষ অত শত বোঝেন না। তাঁদের সব হাতে কাজ চাই। শিক্ষা চাই। বাসস্থান চাই। বিশুদ্ধ পানীয় জল চাই। সুলভে চিকিৎসার ব্যবস্থা চাই। সেইসঙ্গে চাই—সুবিচার, স্বাধীনতা এবং সামাজিক সাম্য। মানুষের এইসব মৌলিক চাহিদা থেকে চোখ ঘুরিয়ে দিয়ে দীর্ঘমেয়াদে বোকা বানানো যায় না। যাবেও না। সদা জাগ্রত দেশবাসী ইতিহাসের নিয়মেই ঘুরে দাঁড়াবে, প্রতিবাদে সোচ্চার হবে।
সংশোধিত নাগরিক আইনে বলা হয়েছে—পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে আসা হিন্দু সহ ছয়টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বলা বাহুল্য, ওই তালিকায় মুসলিমদের রাখা হয়নি। এই প্রথম ভারতীয় সংবিধানের কোনও আইনে ধর্মীয় বিভাজনের কথা বলা হল। একথা ঠিক, ওই তিনটি দেশই মুসলিমপ্রধান বা মুসলিমরাই সেখানে সংখ্যাগুরু। তবু, সংবিধানের শুরু থেকে ১৪ নম্বর ধারায় সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে যে সাম্য রক্ষার কথা বলা হয়েছিল, তা এই নতুন আইনে বড় মাপের ধাক্কা খেতে বাধ্য। কার্যত ভারতীয় সংবিধানকে পাকিস্তানের মতো ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ থেকে বার করে এনে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের করে তোলার চেষ্টা হলে সমূহ বিপদ। কারণ, ভারতের আত্মা ও সংবিধান ধর্ম জাতপাতের ঊর্ধ্বে ওঠার কথাই বার বার বলে এসেছে। আম্বেদকর ও তাঁর সতীর্থদের অক্লান্ত শ্রমে রচিত সুবিশাল সংবিধানের ভিত্তিও সেই সমস্ত ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সমন্বয়ের আদর্শ বহন করছে।
গত সাত দশকের ইতিহাসে এই সংবিধান শতাধিক বার সংশোধিত হয়েছে। কিন্তু, যে আদর্শ ও দর্শনের উপর দাঁড়িয়ে এটি রচিত হয়েছিল, তাকে আগে এভাবে কেউ আহত করতে পারেনি। এমনও শোনা যাচ্ছে, সরকারের পরবর্তী লক্ষ্য ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ চালু করা। তাহলে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র থেকে ধীরে ধীরে ভারতকে প্রকৃত হিন্দু রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাওয়ার ষোলোকলা পূর্ণ হবে। তবে, একটা জিনিস পরিষ্কার যে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিসর্জন দিয়ে যেইমাত্র আমরা কট্টর হিন্দুরাষ্ট্র গঠনের দিকে ছুটব, তখনই উদারবাদের পথটি হারিয়ে ভারত একটি কানাগলিতে আটকে যাবে, যা থেকে মুক্তিলাভ দুষ্করই হবে। এতে অপূরণীয় ক্ষতি হবে ঐতিহ্যশালী ভারতেরই। তাই ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক চরিত্রটি অটুট রাখাই সব স্তরের মানুষের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। ৭১ তম সাধারণতন্ত্র দিবসে সংবিধান রক্ষারই শপথ গ্রহণ করুক প্রতিটি ভারতবাসী। 
সবচেয়ে ভালোর জন্য আশা করে সবচেয়ে খারাপের জন্য প্রস্তুতি
পি চিদম্বরম

আর একটি বছর শুরু হল, আর একটি বাজেট পেশের অপেক্ষা, এবং এটি ভারতীয় অর্থনীতির আর একটি গুরুতর বছর। ২০১৬-১৭ সাল থেকে প্রতিটি বছর আমাদের জন্য অনেক বিস্ময় এবং ব্যথা নিয়ে এসেছে। ২০১৬-১৭ গিয়েছে সর্বনাশা নোটবন্দির বছর। ত্রুটিপূর্ণ জিএসটি এবং সেটা তড়িঘড়ি রূপায়ণের বছর গিয়েছে ২০১৭-১৮।  বিশদ

১৬০০ কোটি টাকায় কী হতে পারে?
মৃণালকান্তি দাস

শুধুমাত্র অসমে এনআরসি প্রক্রিয়া করতে গিয়েই সরকার খরচ করে ফেলেছে ১৬০০ কোটি টাকা! এত টাকা কীভাবে খরচ হল সেটা খতিয়ে দেখতে দাবি উঠেছে সিবিআই তদন্তের। শুধু তাই-ই নয়, এই এনআরসি করতে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলেছেন অসমের বিজেপি নেতা তথা অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেই দুর্নীতির কথা ধরা পড়েছে ক্যাগের প্রতিবেদনেও। এনআরসির মুখ্য সমন্বয়কারী প্রতীক হাজেলাকে মধ্যপ্রদেশে বদলি করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মুখ লুকোনোর জায়গা পাচ্ছে না বিজেপি।
বিশদ

25th  January, 2020
মুখ হয়ে ওঠার নিরন্তর প্রয়াস
তন্ময় মল্লিক

কথায় আছে, মুখ হচ্ছে মনের আয়না। আবার কেউ কেউ মনে করেন, সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। তাই অনেকেরই ধারণা, সাফল্য লাভের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানই হল মুখ। রাজনীতিতেও সেই মুখের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে রাজনীতিতে সৌন্দর্য অপেক্ষা অধিকতর প্রাধান্য পেয়ে থাকে মুখের কথা, ভাষাও।  
বিশদ

25th  January, 2020
নিরপেক্ষ রাজনৈতিক চেতনার অভাব
সমৃদ্ধ দত্ত

 আজকাল একটি বিশেষ শ্রেণীর কাছে দুটি শব্দ খুব অপছন্দের। সেকুলার এবং ইন্টেলেকচুয়াল। ওই লোকটিকে আমার পছন্দ নয়, কারণ লোকটি সেকুলার। ওই মানুষটি আসলে সুবিধাবাদী এবং খারাপ, কারণ তিনি ইন্টেলেকচুয়াল। সমাজের এই অংশের উচ্চকিত তর্জন গর্জন হাসি ঠাট্টা কটাক্ষ শুনলে মনে হবে, সেকুলার হওয়া বোধহয় সাংঘাতিক অপরাধ। বিশদ

24th  January, 2020
বাজেটের কোনও অঙ্কই মিলছে না, আসন্ন বাজেটে বৃদ্ধিতে গতি ফিরবে কীভাবে?
দেবনারায়ণ সরকার

বস্তুত, বর্তমান অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতির চিত্র যথেষ্ট বিবর্ণ। সমৃদ্ধির হার ক্রমশ কমে ৫ শতাংশে নামার ইঙ্গিত, যা ১১ বছরে সর্বনিম্ন। মুদ্রাস্ফীতি গত ৩ বছরে সর্বাধিক। শিল্পে সমৃদ্ধির হার ৮ বছরে সর্বনিম্ন। পরিকাঠামো শিল্পে বৃদ্ধির হার ১৪ বছরে সর্বনিম্ন। বিদ্যুতের চাহিদা ১২ বছরে সর্বনিম্ন। বেসরকারি লগ্নি ১৬ বছরে সর্বনিম্ন। চাহিদা কমায় বাজারে ব্যাঙ্ক লগ্নি কমেছে, যা গত ৫৮ বছরে সর্বনিম্ন। রপ্তানিও যথেষ্ট ধাক্কা খাওয়ার ইঙ্গিত বর্তমান বছরে। এর উপর ভারতে বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরে সর্বনিম্ন।
বিশদ

24th  January, 2020
ক্ষমা করো সুভাষ
জয়ন্ত চৌধুরী

মুক্তিপথের অগ্রদূত তিনি। অখণ্ড ভারত সাধনার নিভৃত পথিক সুভাষচন্দ্রের বৈপ্লবিক অভিঘাত বাধ্য করেছিল দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের পটভূমি রচনা করতে। দেশি বিদেশি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকদের লেখনীতে আজাদ হিন্দের অসামান্য আত্মত্যাগ স্বীকৃত হয়েছে। সর্বাধিনায়কের হঠাৎ হারিয়ে যাবার বেদনা তাঁর জন্মদিনেই বড় বেশি স্পর্শ করে যায়।  
বিশদ

23rd  January, 2020
স্বামীজি, বিশ্বকবি ও নেতাজির খিচুড়ি-বিলাস
বিকাশ মুখোপাধ্যায়

মঙ্গলকাব্য থেকে কাহিনীটা এভাবে শুরু করা যেতে পারে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই মা দুর্গা নন্দিকে তলব করেছেন, যাও ডাব পেড়ে নিয়ে এসো।
নন্দির তখনও গতরাতের গাঁজার খোঁয়ার ভাঙেনি। কোনওরকমে জড়ানো স্বরে বলল, ‘এত্তো সকালে মা?’  বিশদ

23rd  January, 2020
‘যে আপনকে পর করে...’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাত্মা গান্ধী একটা কথা বলতেন, মনপ্রাণ দিয়ে দেশের সেবা যিনি করেন, তিনিই সত্যিকারের নাগরিক। নাগরিক কাহারে কয়? বা নাগরিক কয় প্রকার ও কী কী? এই জাতীয় প্রশ্ন এখন দেশে সবচেয়ে বেশি চর্চিত। সবাই নিজেকে প্রমাণে ব্যস্ত। ভালো নাগরিক হওয়ার চেষ্টাচরিত্র নয়, নাগরিক হতে পারলেই হল। তার জন্য কাগজ লাগবে। এক টুকরো কাগজ প্রমাণ করবে, আপনি আমি ভারতের বাসিন্দা।   বিশদ

21st  January, 2020
আইন ও বাস্তব
পি চিদম্বরম

আপনি যখন এই লেখা পড়ছেন তখন ইন্টারনেট, আন্দোলন, জনসমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, ভাষণ ও লেখালেখি এবং কাশ্মীর উপত্যকার পর্যটকদের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। কোনোরকম ‘চার্জ’ ছাড়াই রাজনৈতিক নেতাদের হেপাজতবাসও চলছে যথারীতি। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে—আদালতের রায়ের পরেও বাস্তবে কিছু পরিবর্তন হয়েছে কি?
বিশদ

20th  January, 2020
নেতাজি—আঁধারপথে অনন্ত আলোর দীপ্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

স্বাধীনতার পর অতিক্রান্ত বাহাত্তর বছর। কিন্তু আজও যেন তার নাবালকত্ব ঘুচল না। আসলে দেশের যাঁরা হাল ধরেন, তাঁরাই যদি নাবালকের মতো আচরণ করেন, তাহলে দেশও নাবালকই থেকে যায়। এই নাবালকত্ব আসলে এক ধরনের অযোগ্যতা। সেই অযোগ্যতার পথ ধরেই দেশ ডুবে আছে অসংখ্য সঙ্কটে। দুর্নীতিই হল সেই সঙ্কটের মধ্যমণি।  
বিশদ

20th  January, 2020
মানুষকে সঙ্কটে ফেলা ছাড়া নোটবাতিলের
আর কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি 
হিমাংশু সিংহ

আর-একটা সাধারণ বাজেট পেশ হতে চলেছে দু’সপ্তাহের মধ্যে। নিঃসন্দেহে এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য, বেনজির আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করা, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির নরেন্দ্র মোদি যতই নিজের ঢাক পেটান না কেন, দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে জর্জরিত। 
বিশদ

19th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, বর্ধমান: টেস্ট ক্রিকেটের আকর্ষণ ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ আইসিসিকেই নিতে হবে। তা চারদিনের হোক বা পাঁচদিনের টেস্ট হোক। মানুষ টেস্টে ফল দেখতে চায়। নিস্ফলা ড্র দেখতে মানুষ মাঠে আসবে না। ফলটাই হল আসল। সেই জন্য চারদিন হোক বা পাঁচদিনের ...

বিএনএ, তমলুক: রেশন সামগ্রী লরিতে ভর্তি করে পাচার করার সময় হাতে নাতে ধরে পাঁশকুড়া থানার পুলিসের হাতে তুলে দিলেন জেলা পরিষদের খাদ্য ও সরবরাহ স্থায়ী ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: এসপি১২৫, বিএস-VI এবং অ্যাকটিভা বিএস-VI নামে নতুন বাইক ও স্কুটির মডেল বাজারে নিয়ে এল হোন্ডা। ২৩ জানুয়ারি কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ ফুটবল গ্রাউন্ডে পিএমপি হোন্ডা ও প্রশান্ত হোন্ডার যৌথ উদ্যোগে ‘অ্যাডভান্সড ফেস্ট’ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই দুটি মডেলের ...

 নয়াদিল্লি, ২৫ জানুয়ারি (পিটিআই): জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে শনিবার দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা জানালেন নির্বাচন কমিশনের প্রতি। নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে আরও প্রাণোচ্ছ্বল করে তোলা ও আরও বেশি মানুষের অংশগ্রহণে কমিশনের ভূমিকার জন্য। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

সাধারণতন্ত্র দিবস
১৮৪১: আনুষ্ঠানিকভাবে হংকং দখল করল ব্রিটিশরা
১৯৩০: পরাধীন ভারতে এই দিনটিকে ‘পূর্ণ স্বরাজ দিবস’ বা ‘স্বাধীনতা দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করল জাতীয় কংগ্রেস
১৯৫০: লাগু হল ভারতের সংবিধান। রাষ্ট্রপতি পদে রাজেন্দ্র প্রসাদ দায়িত্ব গ্রহণ করে সূচনা করলেন গণতন্ত্রের।
১৯৫৪: রাজনীতিবিদ মানবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু
১৯৬৫- হিন্দিকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র
১৯৯২: পরমাণু অস্ত্রের মাধ্যমে আমেরিকার বিভিন্ন শহরকে নিশানা করা থেকে রাশিয়া বিরত হবে বলে জানালেন বরিস ইয়েলৎসেন
২০০১: গুজরাতের ভুজে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃত্যু হল প্রায় ২০ হাজার মানুষের
২০০৪: আফগানিস্তানের নয়া সংবিধানে স্বাক্ষর করলেন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫১ টাকা ৭২.২১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৯৮ টাকা ৯৫.৩২ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৮ টাকা ৮০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  January, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৯৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৮৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,৪৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, (মাঘ শুক্লপক্ষ) দ্বিতীয়া ৫৯/৪৫ শেষ রাত্রি ৬/১৬। ধনিষ্ঠা অহোরাত্র। সূ উ ৬/২১/৫৩, অ ৫/১৬/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
১১ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দ্বিতীয়া ৫৬/১৭/৫২ শেষরাত্রি ৪/৫৬/৫। ধনিষ্ঠা ৫৮/৫৪/২৯ শেষরাত্রি ৫/৫৮/৪৪। সূ উ ৬/২৪/৫৬, অ ৫/১৪/৫৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে ও রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। কালবেলা ১১/৪৯/৫৬ গতে ১/১১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৮/৪১ গতে ৩/৭/২৬ মধ্যে।
৩০ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শুভেচ্ছা ও ছুটি

আজ রবিবার দেশের ৭১তম সাধারণতন্ত্র দিবস। এই উপলক্ষে বর্তমান পত্রিকার ...বিশদ

08:00:00 AM

আজকের রাশিফল  
মেষ: দাম্পত্যজীবন শুভ। বৃষ: উপার্জন ভাগ্য শুভাশুভ মিশ্রিত। মিথুন: কথাবার্তায় সংযত না ...বিশদ

25-01-2020 - 07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
জাতীয় ভোটদাতা দিবস১৮৫০: অভিনেতা অর্ধেন্দু শেখর মুস্তাফির জন্ম১৮৫৬: সমাজসেবক ও ...বিশদ

25-01-2020 - 07:03:20 PM

পদ্মভূষণ পাচ্ছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনহর পারিক্কর, ব্যবসায়ী আনন্দ মহিন্দ্রা ও ভেনু শ্রীনিবাসন, ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধু, নাগাল্যান্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস সি জমির এবং জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মুজাফ্ফর হোসেন বেগ 

25-01-2020 - 09:18:00 PM

পদ্মবিভূষণ পাচ্ছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি, স্বরাজ, জর্জ ফার্ণান্ডেজ, বক্সার মেরি কম, মরিশাসের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অনিরুদ্ধ জগন্নাথ 

25-01-2020 - 09:13:00 PM

 পদ্মশ্রী পাচ্ছেন কঙ্গনা রানউত, একতা কাপুর, আদনান সামি এবং করণ জোহর

25-01-2020 - 09:07:04 PM