কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
ছোটপর্দায় কাজ করতে করতেই একদিন বড়পর্দায় সুযোগ পেয়েছিলেন শ্রেয়স। আবারও ছোটপর্দায় ফিরলেন তিনি। তবে, কোনও ধারাবাহিকে নয়, নন-ফিকশন শো-এ। বিভিন্ন চ্যানেলে হরদম লেগে রয়েছে ক্যুইজের শো। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি শো তো রীতিমতো সুপারস্টার, মেগাস্টাররা সঞ্চালনা করেছেন। তাহলে শ্রেয়সের নতুন এই ক্যুইজ শো নতুন কোথায়? উত্তরটা দিলেন অভিনেতা নিজেই। এই শো-এ ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর পড়ুয়ারাই কেবল অংশ নিতে পারবে। আর সমস্ত প্রশ্ন হবে শুধুমাত্র ভারতকেন্দ্রিক। শ্রেয়সের ভাষায়,‘মাইন্ড ওয়ারস আসলে ভারতকে জোড়ার যুদ্ধ। ভারতকে জানার লড়াই।’ তথ্য ও বিনোদনের মিশেল দর্শকের সামনে তুলে ধরাই লক্ষ্য নতুন ক্যুইজমাস্টারের।
এই শো-এর ফরম্যাট কী রকম বা কেমনভাবে অংশ নেওয়া যাবে? রিল লাইফের ইকবাল জানালেন, প্রতিটি পর্বে চারটে করে স্কুল অংশ নেবে। আর একটি স্কুল থেকে থাকবে দু’জন করে প্রতিনিধি। যে রাজ্যের স্কুল পড়ুয়ারা সেই রাজ্যকে প্রতিনিধিত্ব করবে। তিনটি করে রাউন্ড থাকবে— প্রথম রাউন্ডে বেস ক্যাম্প অর্থাৎ যে রাজ্যের প্রতিনিধি সেই রাজ্য সম্পর্কিত প্রশ্ন করা হবে। দ্বিতীয় রাউন্ড ‘বিল্ড ইওর এম্পায়ার’-এ প্রতিযোগীদের বেছে নেওয়া অন্য রাজ্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে এবং তৃতীয় রাউন্ডে থাকছে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। এটি ‘বাজার’ রাউন্ড। করা হবে পাঁচটি প্রশ্ন। থাকছে দু’টি লাইফ লাইন ডিফেন্স ওয়েপন ও অ্যাটাকিং ওয়েপন। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গেলে জি ফাইভ অ্যাপের ক্যুইজ কনটেস্টে অংশ নিতে হবে প্রতিযোগীদের। তবে, অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে স্কুলের অনুমতির একটা বিষয় থাকছে।
শ্রেয়স বলতেই হিন্দি ছবির দর্শকদের চোখের সামনে কমেডি ফিল্মের অভিনেতার ছবি ভেসে ওঠে। সে ক্ষেত্রে ক্যুইজমাস্টারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়াটা কতটা চ্যালেঞ্জের? এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘অনেক নতুন নতুন সিরিয়াস বিষয়ের ছবিতে কাজ করেছি। কিন্তু মানুষ বোধহয় শুধু কমেডি ছবিগুলিই মনে রেখেছেন। ক্যুইজমাস্টার হওয়াটা আমার কাছে সত্যিই চ্যালেঞ্জিং। আর চ্যালেঞ্জ ছাড়া একজন অভিনেতার জীবন চলে না। আমাদের স্কুল লাইফে বাচ্চারা কেরিয়ার সম্বন্ধে যতটা না সজাগ ছিল, এখনকার বাচ্চারা অনেক বেশি ফোকাসড।’ যেহেতু এই শো-এ তিনি প্রশ্নকর্তা তাই নিজেকে মজা করে বললেন, ‘আমি এখন সওয়ালজাদা’।
এক সময় ভালো ছবিতে কাজ করলেও এখন বড়পর্দায় বেশ খানিকটা কোণঠাসা শ্রেয়স তলপাড়ে। ইন্ডাস্ট্রিতে স্টারকিডদের স্বজনপোষণের বিষয়টি নিয়ে তিনি সব সময়ই সরব। এদিনও বললেন, ‘অবশ্যই ইন্ডাস্ট্রিতে স্বজনপোষণ রয়েছে। এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই। আমাদের যেখানে স্বপ্নপূরণ হয়, স্টারকিডদের স্ট্রাগলিং শুরু হয়। তবে, আমি বিষয়টি নিয়ে এতটুকু ভাবিত নই। নিজের কাজটাই মন দিয়ে করতে চাই।’
শ্রেয়সের অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল মঞ্চ দিয়ে। তাই আজও নাটক দেখতে গেলে দর্শকাসনে বসে মনে হয়, মঞ্চে উঠে পড়তে পারলে ভালো হতো। ‘সজ্জনপুর’ ছবিটির একটা সিক্যুয়েল তৈরি হোক চান তিনি। সম্প্রতি ছবির কাজের প্রসঙ্গে শ্রেয়স জানালেন, দুটো চিত্রনাট্য পড়ছেন। এখনও সেভাবে হাতে কাজ নেই।