বিএনএ, তমলুক: রেশন সামগ্রী লরিতে ভর্তি করে পাচার করার সময় হাতে নাতে ধরে পাঁশকুড়া থানার পুলিসের হাতে তুলে দিলেন জেলা পরিষদের খাদ্য ও সরবরাহ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান। পাঁশকুড়া থানার পুলিস প্রায় পাঁচলক্ষ টাকার রেশনসামগ্রী সমেত ওই লরি বাজেয়াপ্ত করেছে। পাশাপাশি মদন দত্ত নামে ওই ব্যবসায়ীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানা থেকে মাত্র ৫০০মিটার দূরে ওই ব্যবসায়ীর একটি আন্ডারগ্রাউন্ড গোডাউন আছে। বিভিন্ন ডিলার ও উপভোক্তার কাছ থেকে কম দামে রেশনের চাল, আটা ও গম কিনে আন্ডার গ্রাউন্ড গোডাউনে মজুত করা হতো। সেইসব প্যাকেট লরিভর্তি করে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হতো। লরির সামনে পিডিএস(পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম) লেখা ছিল। রেশন সামগ্রী এমআর ডিস্ট্রিবিউটারের গোডাউনে পাঠানোর সময় কিংবা গোডাউন থেকে এমআর ডিলারের কাছে পাঠানোর সময় গাড়িতে পিডিএস লেখা থাকে। পাচারের ঘটনা যাতে কেউ বুঝতে না পারে সেজন্য কৌশলে লরির সামনে পিডিএস লেখা ছিল। এদিন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পাঁশকুড়া থানার দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামে হানা দিয়ে ওই লরি আটক করেন। লরির ভিতর ১০টন রেশনের প্যাকেটজাত আটা, গম ও চাল ছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিস ওই লরিটি বাজেয়াপ্ত করেছে। সেইসঙ্গে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বলেন, উপভোক্তারাই আমাদের রেশন সামগ্রী বিক্রি করেন। এরপর আমরা ওইসব খাদ্য সামগ্রী খাবারের ফ্যাক্টরি এবং মাছের ভেড়িতে বিক্রি করি।
কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান বলেন, এই গোডাউন থেকে রেশনের মালপত্র পাচার হতো বলে আমার কাছে খবর ছিল। এদিন পাচার করার সময় হাতেনাতে লরিভর্তি সামগ্রী আটক করেছি। আমরা মালপত্র পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছি। প্রশাসন পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। আমি বিষয়টি জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলাশাসক এবং ডিএসপি ডিআইবিকে জানিয়েছি।