Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজেটের কোনও অঙ্কই মিলছে না, আসন্ন বাজেটে বৃদ্ধিতে গতি ফিরবে কীভাবে?
দেবনারায়ণ সরকার

অষ্টাদশ শতকের বিখ্যাত দার্শনিক এডমন্ড বার্ক বলেছিলেন, ‘যখন আমরা আমাদের সম্পদের উপর কর্তৃত্ব স্থাপন করি, তখন আমরা হব ধনী ও মুক্ত। কিন্তু যখন আমাদের সম্পদ আমাদের উপর কর্তৃত্ব স্থাপন করে তখন আমরা প্রকৃতপক্ষে দরিদ্র।’ ভারতের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা নিঃসন্দেহে এডমন্ডের বক্তব্যের দ্বিতীয় অংশের পর্যায়ভুক্ত। স্বাধীন ভারতে কোনও নির্দিষ্ট অর্থবর্ষে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ইতিহাসে ৭ মাসের মধ্যে দেশের আর্থিক সমৃদ্ধির হার চার বার পরিবর্তন করে প্রায় আড়াই শতাংশ কমিয়ে আনার নজির নেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চলতি অর্থবর্ষে ভারতের সমৃদ্ধির হার গত ফেব্রুয়ারিতে ধার্য করেছিল ৭.৪ শতাংশ। এপ্রিলে কমিয়ে করল ৭.২ শতাংশ। নভেম্বরে আরও কমিয়ে করল ৬.১ শতাংশ। গত ৫ ডিসেম্বর তা আরও কমিয়ে ৫ শতাংশ। সম্প্রতি মোদি সরকারের পরিসংখ্যান মন্ত্রকও জানিয়েছে চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে আটকে থাকবে। বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে মুডি’জ, ফিচ, স্টেট ব্যাঙ্কও ভারতের বর্তমান বছরের আর্থিক সমৃদ্ধির হার বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করে শেষ পর্যন্ত ৫ শতাংশ বা তার নীচে আটকে থাকার আভাস দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত সত্যিই ৫ শতাংশের গর্তে পা ঢুকলে, ২০০৮ সালে বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার পরে ১১ বছরের তলানিতে পিছলে যাবে দেশের বৃদ্ধির হার। অথচ মোদি সরকারের আমলেই ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষেই দেশের আর্থিক সমৃদ্ধির হার ৮ শতাংশেরও বেশি ছিল। বাস্তবে অর্থনীতির ৪টি ইঞ্জিন যথেষ্ট বিবর্ণ। চাহিদা কমেছে। লগ্নি কমেছে, রপ্তানি কমেছে এবং সরকারি ব্যয়-বৃদ্ধির ফলে ৮ মাসেই রাজকোষ ঘাটতি ১২ মাসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। মোদ্দা কথা, একদিকে রাজস্ব আয় যথেষ্ট কমার অশনিসংকেত, অন্যদিকে বাজেটের ব্যয় সংকুলান করতে না পারার ব্যর্থতাই সুস্পষ্ট বর্তমান অর্থবছরেই।
সরকারি তথ্যই বলছে রাজকোষে এত মাত্রায় টানাটানি পড়েছে যে ১০০ দিনের প্রকল্প থেকে শুরু করে পিএম কিষাণ প্রকল্প, কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনার মতো ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর প্রয়োজনীয় অর্থও অনেকাংশে জোগাতে অক্ষম মোদি সরকার। দেশের অর্থনীতির ঝিমুনি এমন মাত্রায় বিপদসংকুল যে অর্থমন্ত্রকের কর্তাদের আশঙ্কা ঘাটতি লাগাম রাখতে হলে শুধু মূলধনী ব্যয় নয় গ্রামোন্নয়নের খরচেও কাটছাঁট করতেই হবে। কারণ অর্থনীতির ঝিমুনির ফলে গত ৯ মাসে প্রত্যক্ষ কর ও জিএসটি থেকে আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যথেষ্ট কমেছে। অর্থমন্ত্রকের ধারণা বাকি ৩ মাসে বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়া অসম্ভব।
এটা ঘটনা যে প্রত্যক্ষ কর ও জিএসটি থেকে আদায় হয় কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণবিহীন মোট আয়ের অন্তত ৮০ শতাংশ। ঋণবিহীন আয়ের বাকি অর্থ আসে কর বহির্ভূত আয় ও বিলগ্নীকরণ থেকে। প্রথমে প্রত্যক্ষ কর আদায়ের প্রসঙ্গে আসা যাক। বর্তমান অর্থবর্ষে প্রত্যক্ষ কর (আয়কর, কর্পোরেট কর) থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৩.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা। প্রথম ৭ মাসে আদায় লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৪৫ শতাংশ। বাকি ৫ মাসে প্রত্যক্ষ কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা অসম্ভব। কারণ বর্তমান অর্থবছরেই কর্পোরেট কর সাত লক্ষ ছেষট্টি হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রত্যক্ষ কর থেকে আদায় কমতে বাধ্য।
পরোক্ষ কর থেকে কেন্দ্রের আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১১.১৯ লক্ষ কোটি টাকা। প্রথম ৮ মাসে আদায় হয়েছে ৬.১২ লক্ষ কোটি টাকা। বাকি ৪ মাসে ৫.০৭ লক্ষ কোটি টাকা আদায় হওয়া অসম্ভব। বিশেষ করে জিএসটি থেকে কেন্দ্রের আদায় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম হবে। প্রথম ৮ মাসে জিএসটি থেকে কেন্দ্রের আদায় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার (৬.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা) ৬০ শতাংশ। বাকি ৪ মাসে জিএসটি’র লক্ষ্যমাত্রা পূরণ অসম্ভব। কেন্দ্রের ধারণা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর মিলিয়ে কেন্দ্রের আদায় অন্তত ২ লক্ষ কোটি টাকা কম হবে।
এবার বিলগ্নীকরণ প্রসঙ্গে আসা যাক। কেন্দ্রের লক্ষ্য, বিলগ্নীকরণ থেকে বর্তমান বছরে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা আয় করা। গত ৯ মাসে এসেছে মাত্র ১৭,০০০ কোটি টাকা। ৩ মাসের কম সময়ের মধ্যে বাকি ৮৮,০০০ কোটি টাকা আয় কার্যত দুরূহ। লাভজনক সংস্থা ভারত পেট্রোলিয়াম থেকে এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ৬০,০০০ কোটি টাকা। কন্টেনার সংস্থা থেকে ১৩,০০০ কোটি টাকা। কিন্তু ইতিমধ্যেই এই বিলগ্নীকরণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের ধারণা বিলগ্নীকরণ থেকে আদায় প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা কম হবে।
একদিকে কেন্দ্রের রাজকোষ থেকে মোট আদায় যেখানে বর্তমান বছরে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা কম হতে চলেছে, অন্যদিকে রাজকোষ ঘাটতি প্রথম ৭ মাসেই বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রাকেও অতিক্রম করে গেছে। বর্তমান অর্থবছরে ১২ মাসে রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছিল দেশের জিডিপি’র ৩.৩ শতাংশ। টাকার অঙ্কে ৭.০৩ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু মাত্র ৮ মাসেই রাজকোষ ঘাটতি বাবদ ব্যয় ৮.০৮ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৮ মাসেই রাজকোষ ঘাটতি বাবদ খরচ বাৎসরিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা অতিক্রম করে গেছে। এমন ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তার ব্যয় সংকুলানের জন্য শুধুমাত্র তার মূলধনী ব্যয়কে কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছে না, এমনকী আমজনতার প্রত্যক্ষ রুটিরুজির সঙ্গে যুক্ত গ্রামোন্নয়নের অর্থও কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছে।
গত অর্থবছরে ১০০ দিনের প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৬১,০৮৪ কোটি টাকা। এবারের বরাদ্দ কমিয়ে করা হয়েছে ৬০,০০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই সে অর্থ ব্যয় হয়ে গেছে। কিন্তু গ্রামে গ্রামে কাজের চাহিদা বাড়ছে। তাই গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক অর্থ দপ্তরের কাছে আরও ২০ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে। কিন্তু সাড়া নেই। এছাড়াও পিএম-কিষাণ প্রকল্পে এ বছর ৭৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও অনেক চাষি পুরো কিস্তির টাকা পাবেন না। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তথ্যই বলছে এ বছর প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকা চাষিদের মধ্যে বিলি করবে না মোদি সরকার। এমনকী প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গত বছরের থেকে এ বছরে বরাদ্দ কম হলেও, এ বছর গত ৯ মাসে বাড়ি তৈরি হয়েছে মাত্র ৭.২ লক্ষ। বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় অর্ধেক। ফলে এ বছর এই প্রকল্পে ২৫,৮৫৩ কোটি টাকার একটা বড় অংশ খরচ না হবার সম্ভাবনা। অন্যান্য গ্রামীণ পরিকল্পনার অর্থেও ইতিমধ্যে যথেষ্ট কোপ পড়েছে।
বর্তমান অর্থবর্ষে একদিকে যেখানে রাজকোষের আয় প্রায় ২.৫০ লক্ষ কোটি টাকা কম হতে চলেছে, অন্যদিকে রাজকোষ ঘাটতি প্রথম ৮ মাসেই বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ১১৫ শতাংশ ছুঁয়েছে। যার ফলে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট কোপ পড়েছে গ্রামের উন্নয়নের খরচে। ফলে বছরের শেষে রাজকোষ ঘাটতি কোথায় দাঁড়াবে তা নিয়ে অর্থনীতিবিদেরা যথেষ্ট সন্দিহান। এমনকী রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনও ভারতে রাজকোষ ঘাটতির প্রকৃত তথ্য প্রকাশ না করা নিয়ে কিছুদিন আগেই সমালোচনা করেছেন। বস্তুত, বর্তমান অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতির চিত্র যথেষ্ট বিবর্ণ। সমৃদ্ধির হার ক্রমশ কমে ৫ শতাংশে নামার ইঙ্গিত, যা ১১ বছরে সর্বনিম্ন। মুদ্রাস্ফীতি গত ৩ বছরে সর্বাধিক। শিল্পে সমৃদ্ধির হার ৮ বছরে সর্বনিম্ন। পরিকাঠামো শিল্পে বৃদ্ধির হার ১৪ বছরে সর্বনিম্ন। বিদ্যুতের চাহিদা ১২ বছরে সর্বনিম্ন। বেসরকারি লগ্নি ১৬ বছরে সর্বনিম্ন। চাহিদা কমায় বাজারে ব্যাঙ্ক লগ্নি কমেছে, যা গত ৫৮ বছরে সর্বনিম্ন। রপ্তানিও যথেষ্ট ধাক্কা খাওয়ার ইঙ্গিত বর্তমান বছরে। এর উপর ভারতে বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরে সর্বনিম্ন। এমতাবস্থায় আগামী অর্থবছরে দেশের সার্বিক সমৃদ্ধির চাকায় গতি আনতে হলে পরিকাঠামো সহ উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে সরকারি ব্যয় আশানুরূপ বৃদ্ধি ব্যতিরেকে সম্ভব নয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে রাজকোষের আয় কীভাবে আরও বাড়ানো সম্ভব তার উপায়ও সরকারকে খুঁজতেই হবে।
লেখক প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক
24th  January, 2020
সবচেয়ে ভালোর জন্য আশা করে সবচেয়ে খারাপের জন্য প্রস্তুতি
পি চিদম্বরম

আর একটি বছর শুরু হল, আর একটি বাজেট পেশের অপেক্ষা, এবং এটি ভারতীয় অর্থনীতির আর একটি গুরুতর বছর। ২০১৬-১৭ সাল থেকে প্রতিটি বছর আমাদের জন্য অনেক বিস্ময় এবং ব্যথা নিয়ে এসেছে। ২০১৬-১৭ গিয়েছে সর্বনাশা নোটবন্দির বছর। ত্রুটিপূর্ণ জিএসটি এবং সেটা তড়িঘড়ি রূপায়ণের বছর গিয়েছে ২০১৭-১৮।  বিশদ

সংবিধান ও গণতন্ত্রের ভিত দুর্বল হলে ভারতের আত্মাও বিপন্ন হতে বাধ্য
হিমাংশু সিংহ

১৫ আগস্ট যদি দেশের জন্মদিন হয়, তাহলে ২৬ জানুয়ারি হচ্ছে কোন মতাদর্শ ও আইন মেনে কীসের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে, তার লিখিত বয়ান চূড়ান্ত করার বর্ণাঢ্য উদযাপনের শুভ মুহূর্ত। নবজাতক শিশু স্কুলে ভর্তি হলে একটা নির্দিষ্ট নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে ধীরে ধীরে পরিণত হয়। 
বিশদ

১৬০০ কোটি টাকায় কী হতে পারে?
মৃণালকান্তি দাস

শুধুমাত্র অসমে এনআরসি প্রক্রিয়া করতে গিয়েই সরকার খরচ করে ফেলেছে ১৬০০ কোটি টাকা! এত টাকা কীভাবে খরচ হল সেটা খতিয়ে দেখতে দাবি উঠেছে সিবিআই তদন্তের। শুধু তাই-ই নয়, এই এনআরসি করতে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলেছেন অসমের বিজেপি নেতা তথা অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেই দুর্নীতির কথা ধরা পড়েছে ক্যাগের প্রতিবেদনেও। এনআরসির মুখ্য সমন্বয়কারী প্রতীক হাজেলাকে মধ্যপ্রদেশে বদলি করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মুখ লুকোনোর জায়গা পাচ্ছে না বিজেপি।
বিশদ

25th  January, 2020
মুখ হয়ে ওঠার নিরন্তর প্রয়াস
তন্ময় মল্লিক

কথায় আছে, মুখ হচ্ছে মনের আয়না। আবার কেউ কেউ মনে করেন, সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। তাই অনেকেরই ধারণা, সাফল্য লাভের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানই হল মুখ। রাজনীতিতেও সেই মুখের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে রাজনীতিতে সৌন্দর্য অপেক্ষা অধিকতর প্রাধান্য পেয়ে থাকে মুখের কথা, ভাষাও।  
বিশদ

25th  January, 2020
নিরপেক্ষ রাজনৈতিক চেতনার অভাব
সমৃদ্ধ দত্ত

 আজকাল একটি বিশেষ শ্রেণীর কাছে দুটি শব্দ খুব অপছন্দের। সেকুলার এবং ইন্টেলেকচুয়াল। ওই লোকটিকে আমার পছন্দ নয়, কারণ লোকটি সেকুলার। ওই মানুষটি আসলে সুবিধাবাদী এবং খারাপ, কারণ তিনি ইন্টেলেকচুয়াল। সমাজের এই অংশের উচ্চকিত তর্জন গর্জন হাসি ঠাট্টা কটাক্ষ শুনলে মনে হবে, সেকুলার হওয়া বোধহয় সাংঘাতিক অপরাধ। বিশদ

24th  January, 2020
ক্ষমা করো সুভাষ
জয়ন্ত চৌধুরী

মুক্তিপথের অগ্রদূত তিনি। অখণ্ড ভারত সাধনার নিভৃত পথিক সুভাষচন্দ্রের বৈপ্লবিক অভিঘাত বাধ্য করেছিল দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের পটভূমি রচনা করতে। দেশি বিদেশি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকদের লেখনীতে আজাদ হিন্দের অসামান্য আত্মত্যাগ স্বীকৃত হয়েছে। সর্বাধিনায়কের হঠাৎ হারিয়ে যাবার বেদনা তাঁর জন্মদিনেই বড় বেশি স্পর্শ করে যায়।  
বিশদ

23rd  January, 2020
স্বামীজি, বিশ্বকবি ও নেতাজির খিচুড়ি-বিলাস
বিকাশ মুখোপাধ্যায়

মঙ্গলকাব্য থেকে কাহিনীটা এভাবে শুরু করা যেতে পারে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই মা দুর্গা নন্দিকে তলব করেছেন, যাও ডাব পেড়ে নিয়ে এসো।
নন্দির তখনও গতরাতের গাঁজার খোঁয়ার ভাঙেনি। কোনওরকমে জড়ানো স্বরে বলল, ‘এত্তো সকালে মা?’  বিশদ

23rd  January, 2020
‘যে আপনকে পর করে...’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাত্মা গান্ধী একটা কথা বলতেন, মনপ্রাণ দিয়ে দেশের সেবা যিনি করেন, তিনিই সত্যিকারের নাগরিক। নাগরিক কাহারে কয়? বা নাগরিক কয় প্রকার ও কী কী? এই জাতীয় প্রশ্ন এখন দেশে সবচেয়ে বেশি চর্চিত। সবাই নিজেকে প্রমাণে ব্যস্ত। ভালো নাগরিক হওয়ার চেষ্টাচরিত্র নয়, নাগরিক হতে পারলেই হল। তার জন্য কাগজ লাগবে। এক টুকরো কাগজ প্রমাণ করবে, আপনি আমি ভারতের বাসিন্দা।   বিশদ

21st  January, 2020
আইন ও বাস্তব
পি চিদম্বরম

আপনি যখন এই লেখা পড়ছেন তখন ইন্টারনেট, আন্দোলন, জনসমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, ভাষণ ও লেখালেখি এবং কাশ্মীর উপত্যকার পর্যটকদের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। কোনোরকম ‘চার্জ’ ছাড়াই রাজনৈতিক নেতাদের হেপাজতবাসও চলছে যথারীতি। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে—আদালতের রায়ের পরেও বাস্তবে কিছু পরিবর্তন হয়েছে কি?
বিশদ

20th  January, 2020
নেতাজি—আঁধারপথে অনন্ত আলোর দীপ্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

স্বাধীনতার পর অতিক্রান্ত বাহাত্তর বছর। কিন্তু আজও যেন তার নাবালকত্ব ঘুচল না। আসলে দেশের যাঁরা হাল ধরেন, তাঁরাই যদি নাবালকের মতো আচরণ করেন, তাহলে দেশও নাবালকই থেকে যায়। এই নাবালকত্ব আসলে এক ধরনের অযোগ্যতা। সেই অযোগ্যতার পথ ধরেই দেশ ডুবে আছে অসংখ্য সঙ্কটে। দুর্নীতিই হল সেই সঙ্কটের মধ্যমণি।  
বিশদ

20th  January, 2020
মানুষকে সঙ্কটে ফেলা ছাড়া নোটবাতিলের
আর কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি 
হিমাংশু সিংহ

আর-একটা সাধারণ বাজেট পেশ হতে চলেছে দু’সপ্তাহের মধ্যে। নিঃসন্দেহে এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য, বেনজির আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করা, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির নরেন্দ্র মোদি যতই নিজের ঢাক পেটান না কেন, দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে জর্জরিত। 
বিশদ

19th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
একনজরে
 অর্পণ সেনগুপ্ত, কলকাতা: খোদ গাইডই জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন। তাই এ বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে এম ফিলের শংসাপত্র পাওয়া হচ্ছে না গবেষক কার্তিক নস্করের। দু’বছর ধরে এই অভিযোগের কোনও মীমাংসাও হয়নি। বাংলা বিভাগের গবেষক কার্তিকের দাবি, বোর্ড অব ডিসিপ্লিন বিষয়টি দেখছে। ...

 নয়াদিল্লি, ২৫ জানুয়ারি (পিটিআই): জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে শনিবার দেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা জানালেন নির্বাচন কমিশনের প্রতি। নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে আরও প্রাণোচ্ছ্বল করে তোলা ও আরও বেশি মানুষের অংশগ্রহণে কমিশনের ভূমিকার জন্য। ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: এসপি১২৫, বিএস-VI এবং অ্যাকটিভা বিএস-VI নামে নতুন বাইক ও স্কুটির মডেল বাজারে নিয়ে এল হোন্ডা। ২৩ জানুয়ারি কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ ফুটবল গ্রাউন্ডে পিএমপি হোন্ডা ও প্রশান্ত হোন্ডার যৌথ উদ্যোগে ‘অ্যাডভান্সড ফেস্ট’ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই দুটি মডেলের ...

 নয়াদিল্লি, ২৫ জানুয়ারি (পিটিআই): বিনিয়োগ, বাণিজ্য, তেল, গ্যাস, সাইবার সুরক্ষা এবং তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্রাজিলের সঙ্গে ১৫টি চুক্তি করল ভারত। শনিবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায়ের মেসিয়াস বলসোনারোর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

সাধারণতন্ত্র দিবস
১৮৪১: আনুষ্ঠানিকভাবে হংকং দখল করল ব্রিটিশরা
১৯৩০: পরাধীন ভারতে এই দিনটিকে ‘পূর্ণ স্বরাজ দিবস’ বা ‘স্বাধীনতা দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করল জাতীয় কংগ্রেস
১৯৫০: লাগু হল ভারতের সংবিধান। রাষ্ট্রপতি পদে রাজেন্দ্র প্রসাদ দায়িত্ব গ্রহণ করে সূচনা করলেন গণতন্ত্রের।
১৯৫৪: রাজনীতিবিদ মানবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু
১৯৬৫- হিন্দিকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র
১৯৯২: পরমাণু অস্ত্রের মাধ্যমে আমেরিকার বিভিন্ন শহরকে নিশানা করা থেকে রাশিয়া বিরত হবে বলে জানালেন বরিস ইয়েলৎসেন
২০০১: গুজরাতের ভুজে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃত্যু হল প্রায় ২০ হাজার মানুষের
২০০৪: আফগানিস্তানের নয়া সংবিধানে স্বাক্ষর করলেন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫১ টাকা ৭২.২১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৯৮ টাকা ৯৫.৩২ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৮ টাকা ৮০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  January, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৯৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৮৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,৪৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, (মাঘ শুক্লপক্ষ) দ্বিতীয়া ৫৯/৪৫ শেষ রাত্রি ৬/১৬। ধনিষ্ঠা অহোরাত্র। সূ উ ৬/২১/৫৩, অ ৫/১৬/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
১১ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দ্বিতীয়া ৫৬/১৭/৫২ শেষরাত্রি ৪/৫৬/৫। ধনিষ্ঠা ৫৮/৫৪/২৯ শেষরাত্রি ৫/৫৮/৪৪। সূ উ ৬/২৪/৫৬, অ ৫/১৪/৫৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে ও রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। কালবেলা ১১/৪৯/৫৬ গতে ১/১১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৮/৪১ গতে ৩/৭/২৬ মধ্যে।
৩০ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শুভেচ্ছা ও ছুটি

আজ রবিবার দেশের ৭১তম সাধারণতন্ত্র দিবস। এই উপলক্ষে বর্তমান পত্রিকার ...বিশদ

08:00:00 AM

আজকের রাশিফল  
মেষ: দাম্পত্যজীবন শুভ। বৃষ: উপার্জন ভাগ্য শুভাশুভ মিশ্রিত। মিথুন: কথাবার্তায় সংযত না ...বিশদ

25-01-2020 - 07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
জাতীয় ভোটদাতা দিবস১৮৫০: অভিনেতা অর্ধেন্দু শেখর মুস্তাফির জন্ম১৮৫৬: সমাজসেবক ও ...বিশদ

25-01-2020 - 07:03:20 PM

পদ্মভূষণ পাচ্ছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনহর পারিক্কর, ব্যবসায়ী আনন্দ মহিন্দ্রা ও ভেনু শ্রীনিবাসন, ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধু, নাগাল্যান্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস সি জমির এবং জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মুজাফ্ফর হোসেন বেগ 

25-01-2020 - 09:18:00 PM

পদ্মবিভূষণ পাচ্ছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি, স্বরাজ, জর্জ ফার্ণান্ডেজ, বক্সার মেরি কম, মরিশাসের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অনিরুদ্ধ জগন্নাথ 

25-01-2020 - 09:13:00 PM

 পদ্মশ্রী পাচ্ছেন কঙ্গনা রানউত, একতা কাপুর, আদনান সামি এবং করণ জোহর

25-01-2020 - 09:07:04 PM