Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নেতাজি—আঁধারপথে অনন্ত আলোর দীপ্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

স্বাধীনতার পর অতিক্রান্ত বাহাত্তর বছর। কিন্তু আজও যেন তার নাবালকত্ব ঘুচল না। আসলে দেশের যাঁরা হাল ধরেন, তাঁরাই যদি নাবালকের মতো আচরণ করেন, তাহলে দেশও নাবালকই থেকে যায়। এই নাবালকত্ব আসলে এক ধরনের অযোগ্যতা। সেই অযোগ্যতার পথ ধরেই দেশ ডুবে আছে অসংখ্য সঙ্কটে। দুর্নীতিই হল সেই সঙ্কটের মধ্যমণি। তাই দেশটা স্বাধীনতার পর থেকে পঙ্গু হয়েই রইল। দেশের উন্নতির থেকেও বড় চিন্তা, রাজনৈতিক নেতাদের কেউ কেউ কে কতটা আখের গুছিয়ে নেবেন। তাঁদের বেশিরভাগেরই কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার পর কারও কারও সম্পত্তি দশ গুণ, কুড়ি গুণও বেড়ে যায়। অথচ সাধারণ মানুষের ঘরে খাবার নেই। আমাদের দেশের বহু বিধায়ক, সাংসদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অসংখ্য প্রশ্ন থেকে যায়। তাঁদের অনেকেই ক্রিমিনাল কেসে অভিযুক্ত। এখন তো দেখা যায়, যাঁর নামে যত ক্রিমিনাল কেস, তিনি যেন তত বড় নেতা। অনেকসময় রাষ্ট্রশক্তির তাঁরাই নিয়ন্ত্রক। তাই আইন তাঁদের ছুঁতে পারে না। অনেকেই সেই শক্তির জোরে ক্লিনচিটও পেয়ে যান।
স্বাধীনতার এতদিন পরে আজ আবার নতুন করে দেশভক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, কে বড় দেশপ্রেমিক ছিলেন, মহাত্মা গান্ধী না নাথুরাম গডসে? কে বড় দেশপ্রেমিক ছিলেন, শ্যামাপ্রসাদ না সূর্য সেন? কে বড় দেশপ্রেমিক ছিলেন, সাভারকর না ভগৎ সিং? সব ঘুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এসব প্রশ্নের মধ্যে আমাদের হৃদয়ে অনন্ত আলোর উৎস হিসেবে জেগে থাকেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি হলেন অন্য এক গ্রহ। অন্য এক মানুষ। অন্য এক মহামানব। সকলের থেকেই অনেক আলোকবর্ষ দূরে তাঁর অবস্থান। এমনকী তাঁর কাছে স্বাধীনতার ভাবনাটাই ছিল অন্যরকমের।
যাঁদের হাত ধরে আমাদের দেশে স্বাধীনতা এসেছে, তাঁদের কাছে স্বাধীন ভারত নিয়ে কোনও ভিশন ছিল না। স্বাধীনতার পর দেশকে কীভাবে গড়ে তোলা যায়, সে ব্যাপারে কোনও নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গী না থাকার কারণেই দেশ গড়ার কাজ একেবারে সূচনা লগ্ন থেকেই ব্যাহত হয়েছে। দেশভাগের কাঁটায় আজও আমরা বিদ্ধ হয়ে চলেছি। স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল মানুষের মুক্তিসাধনা এবং সাধারণতন্ত্রের লক্ষ্য ছিল মানুষের হাতে ক্ষমতা। ভোট দেওয়ার ক্ষমতাটুকু ছাড়া আমাদের দেশে সেই গণতন্ত্রের মূল্য আর কতটুকু! স্বাস্থ্যে, শিক্ষায়, ক্ষুধানিবৃত্তিতে সাধারণ মানুষ দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে উঠছে। সরকারি বিজ্ঞাপনের ঢক্কানিনাদে গণতন্ত্র আজ মুখ টিপে হাসে।
কিন্তু নেতাজির ছিল একটা নিজস্ব ভিশন। তিনি জানতেন, কীভাবে দেশগঠন করতে হয়। চারিদিকে ধূসর অন্ধকার আর রাজনৈতিক দূষণের মধ্যে তিনি আজও এক অকম্পিত প্রদীপ। নেতাজি বুঝেছিলেন, পৃথিবীর ইতিহাস বদলাচ্ছে। সেই পরিবর্তিত ইতিহাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে স্বাধীনতা সহজলভ্য হবে না। ১৯৩৯ সালে সেপ্টেম্বরে ইউরোপে শুরু হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সেই স্বাধীনতা যুদ্ধকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেন তিনি।
নেতাজি জানতেন, বিশ্বযুদ্ধের আঁচে বিশ্বের প্রায় সব দেশই কমবেশি বিধ্বস্ত। যুদ্ধ শেষ হলেই প্রত্যেকেই নতুন করে শুরু করবে নিজেদের দেশগড়ার কাজ। যুদ্ধের জন্য ভেঙে পড়েছে আন্তর্জাতিক অর্থনীতি। যুদ্ধের শেষে সব দেশই চাইবে নিজেদের দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে মজবুত করতে। নেতাজিও চেয়েছিলেন ভারত অর্থনীতির দিক থেকে কিছুটা শক্তিশালী হয়ে উঠলেই অন্যান্য ক্ষেত্রে তাকে বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে অগ্রগতির পরীক্ষায় নামাবেন। সারা বিশ্ব তখন এক আধুনিক বিশ্বের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। সেখানে বিজ্ঞান এসে দাঁড়িয়েছে একেবারে সামনের সারিতে। তাই নতুন এবং স্বাধীন ভারত গড়ার ক্ষেত্রে তিনি প্রাধান্য দিতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানকে।
নেতাজি স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বাধীন ভারতে গড়ে উঠবে তার নিজস্ব অস্ত্র কারখানা। সামরিক শক্তিতে ভারতকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। এমন পরিকল্পনা করে নেতাজি দেখতে গেলেন চেকোস্লোভাকিয়ার দুটি অস্ত্রের কারখানা। সে দু’টি হল স্কোদা এবং ব্রেন। নেতাজির সঙ্গে তাঁদের মউ স্বাক্ষর হল। স্বাধীনতার পর নেতাজির উদ্যোগে অস্ত্র কারখানা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তারা সাহায্য করবে। তিনি দেখতে গেলেন সিন্থেটিক বেঞ্জিনের কারখানা। তার নাম স্তালিন ওয়ার্কস। খনিজ তেলের দিক থেকে ভারত তেমন উন্নত নয়। তাই এ ব্যাপারেও নেতাজি উৎসাহ দেখালেন। এরপর তিনি জার্মানির কয়েকটি কলকারখানা পরিদর্শন করেন। স্বাধীন ভারতে শিল্পপ্রসার ঘটানোর স্বপ্ন ছিল তাঁর দু’চোখে।
স্বাধীন ভারতে সেনাদের মেডেল কেমন হবে, তার পরিকল্পনাও করেছিলেন নেতাজি। শুধু পরিকল্পনাই নয়, ভিয়েনা থেকে তা তিনি তৈরিও করেছিলেন। মোট দশ রকমের মেডেল তৈরি করেছিলেন তিনি। এতেই বোঝা যায়, তখনকার নেতাদের থেকে ভাবনায় বা পরিকল্পনায় তিনি কত এগিয়ে ছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, পোস্টাল স্ট্যাম্প কেমন হবে, পাসপোর্ট কেমন হবে। সেসবের নমুনাও তিনি তৈরি করে ফেলেছিলেন। এছাড়াও কেমন হবে ভারতের মুদ্রা, সে ব্যাপারেও তিনি ভেবেছিলেন।
জার্মানিতে থাকার সময় তাঁর হাতে আসে ভারতীয় অর্থনীতি ও কৃষি সংক্রান্ত কয়েকটি বই। এগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে প্রকাশিত। ভারতীয় কৃষি, অরণ্য, পশুপালন, বিভিন্ন ধরনের শিল্প ও খনিজ সম্পদ
এবং শিল্প ও কৃষিতে ব্যবহৃত সম্পদ নিয়ে বইগুলি লেখা। এগুলি তাঁকে নতুনভাবে চিন্তা করতে
সাহায্য করেছিল। তিনি চেয়েছিলেন কৃষিক্ষেত্র,
অরণ্য সম্পদের ব্যবহার, পশুপালন ইত্যাদির উপর জোর দিতে।
এইসব রূপরেখা অঙ্কনের সময় তিনি জার্মানি, হল্যান্ড, ডেনমার্ক, রুমানিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া প্রভৃতি দেশের অনুসৃত নীতির ভালো দিকগুলিকে গ্রহণ করেছিলেন। ইউরোপের অর্থনীতি, সমাজনীতি, কৃষি এবং সামগ্রিক জীবনকে তিনি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখেছিলেন। প্রত্যেকের ভালো দিকগুলিকে একত্রিত করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন স্বাধীন ভারতবর্ষকে।
তিনি শুধু অপেক্ষা করেছিলেন ভারতের স্বাধীনতার জন্য। ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের নাগপাশ থেকে ভারত মুক্ত হলেই সেগুলি তিনি চালু করে দেবেন বলে ভেবে রেখেছিলেন। কারণ তিনি জানতেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইংরেজরা ভারতকে স্বাধীনতা দিতে বাধ্য।
কিন্তু ইংরেজরা তখন খেলছিলেন অন্য খেলা। তাঁদের মধ্যে তখন ভারত ভাগের কৌশল মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। জার্মানিতে বসে রেডিও এবং খবরের কাগজের মাধ্যমে তিনি সব খবরই পাচ্ছিলেন। দেশের মানুষকে পঙ্গু করে দিতে বিভাজন নিয়ে ভারতে উচ্চ পর্যায়ের সব আলোচনা চলছে। দেশের মধ্যেই একদল লোক এতে মদত দিচ্ছে। নেতাজি ছিলেন ভারতভাগের বিরোধী। তিনি মনে করতেন, জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে তার ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক বিভাজন এক অপরাধমূলক কাজ। তিনি মনে করতেন, ভারত ভাগ মানে এক মায়ের দুই দুর্বল শিশু। তিনি মনে করতেন, ইংরেজরা যদি ভারত ভাগ করতে সক্ষম হয়, তবে সেটা হবে তাদের বড় রাজনৈতিক জয়। শুধু তাই নয়, ভেঙে যাবে জাতিগত, সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক এবং অর্থনৈতিক সংহতি। অথচ হাজার হাজার বছর ধরে সহস্র প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ভারত তার অখণ্ডতা রক্ষা করতে পেরেছে। অখণ্ড ভারত প্রাচ্যের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী রাষ্ট্র।
১৯৪০ সালের অক্টোবর মাসে জার্মানির বার্লিনে তিনি শুরু করেছিলেন ফ্রি ইন্ডিয়া সেন্টার বা ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লিগের কাজ। এর প্রথম বৈঠক বসে ১৯৪১ সালের ২ নভেম্বর। সেই বৈঠকে অনেকগুলি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে একটি ছিল জাতীয় সঙ্গীত কী হবে। নেতাজি বললেন, আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হবে ‘জনগণমন অধিনায়ক’। তার আগে পর্যন্ত সর্বজনস্বীকৃত কোনও জাতীয় সঙ্গীত ছিল না। কিছু দেশাত্মবোধক গান গাওয়া হতো। বঙ্গভঙ্গের সময় থেকে বিদ্রোহ যখন সশস্ত্র আন্দোলনের পথে গেল, তখন থেকে কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সভা-অনুষ্ঠানে গাওয়া হতো মূলত ‘বন্দেমাতরম’।
‘জনগণমন’ নিয়ে বার্লিনের সভায় জোরদার বিতর্ক হয়। কয়েকজন এনিয়ে প্রশ্নও তোলেন। নেতাজি গানটির পক্ষে ক্ষুরধার সব যুক্তি উপস্থাপন করেন। এরপরই সকলে তা মেনে নেন।
১৯৪২ সালে হামবুর্গে ইন্দো-জার্মান কালচারাল সোসাইটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘জনগণমন’ গানটি পূর্ণ অর্কেস্ট্রা যোগে গাওয়া হল। সেই গানের গ্রামোফোন রেকর্ডও হয়েছিল। সেই প্রথম ভারতের জাতীয় পতাকা বিদেশের মাটিতে উড়ল। অন্য রাষ্ট্রের পতাকার পাশে সেদিন উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল ভারতের পতাকাকে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক নেতারা। তাঁদের উপস্থিতিতে হামবুর্গের মেয়র নেতাজিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের কূটনৈতিক নেতা হিসেবে অভ্যর্থনা জানান। নেতাজিকে অভ্যর্থনা জানিয়ে হামবুর্গের মেয়র বলেন, ভারতকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে তাঁরা স্বীকৃতি দিচ্ছেন। ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে হার্দিক ও মৈত্রীর সম্পর্ক তাঁরা বজায় রাখবেন। সরকারিভাবে সেদিনই নেতাজিকে দেওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রনেতার সম্মান। ১৯৪২ সালের ২৯ মে জার্মানি ভারতকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছিল, আর সেটাই সত্যে পরিণত হল ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট।
কিন্তু দুর্ভাগ্য! সেদিন দেশ নেতাজিকে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পেল না। ইতিহাস চলে গেল অন্য পথে। নানারকম ভাগ-বাঁটোয়ারা আর আপসের মধ্য দিয়ে যে স্বাধীনতা এল, তা ছিল পঙ্গু স্বাধীনতা। আজ এতদিন পরেও সেই পঙ্গুত্বের লক্ষণগুলি ফুটে উঠেছে সমাজের সর্বাঙ্গে। তাঁর স্বপ্নকে আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। আমরা ‘যোদ্ধা’ নেতাজিকে চিনি, কিন্তু ‘স্বাধীন ভারতের স্বপ্নদ্রষ্টা’ নেতাজিকে চিনি না। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য।
আজ দেশ আবার নতুন সঙ্কটের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। আবার কি মানুষে মানুষে বিভেদের বিষফণা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে? কীভাবে হবে তার মোকাবিলা? সেকথা বলবে সময়। আজ শুধু এই আঁধারপথে সেই সূর্যের দিকে তাকিয়ে বলি, জয়তু নেতাজি, তোমাকে প্রণাম।
20th  January, 2020
সবচেয়ে ভালোর জন্য আশা করে সবচেয়ে খারাপের জন্য প্রস্তুতি
পি চিদম্বরম

আর একটি বছর শুরু হল, আর একটি বাজেট পেশের অপেক্ষা, এবং এটি ভারতীয় অর্থনীতির আর একটি গুরুতর বছর। ২০১৬-১৭ সাল থেকে প্রতিটি বছর আমাদের জন্য অনেক বিস্ময় এবং ব্যথা নিয়ে এসেছে। ২০১৬-১৭ গিয়েছে সর্বনাশা নোটবন্দির বছর। ত্রুটিপূর্ণ জিএসটি এবং সেটা তড়িঘড়ি রূপায়ণের বছর গিয়েছে ২০১৭-১৮।  বিশদ

সংবিধান ও গণতন্ত্রের ভিত দুর্বল হলে ভারতের আত্মাও বিপন্ন হতে বাধ্য
হিমাংশু সিংহ

১৫ আগস্ট যদি দেশের জন্মদিন হয়, তাহলে ২৬ জানুয়ারি হচ্ছে কোন মতাদর্শ ও আইন মেনে কীসের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে, তার লিখিত বয়ান চূড়ান্ত করার বর্ণাঢ্য উদযাপনের শুভ মুহূর্ত। নবজাতক শিশু স্কুলে ভর্তি হলে একটা নির্দিষ্ট নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে ধীরে ধীরে পরিণত হয়। 
বিশদ

১৬০০ কোটি টাকায় কী হতে পারে?
মৃণালকান্তি দাস

শুধুমাত্র অসমে এনআরসি প্রক্রিয়া করতে গিয়েই সরকার খরচ করে ফেলেছে ১৬০০ কোটি টাকা! এত টাকা কীভাবে খরচ হল সেটা খতিয়ে দেখতে দাবি উঠেছে সিবিআই তদন্তের। শুধু তাই-ই নয়, এই এনআরসি করতে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলেছেন অসমের বিজেপি নেতা তথা অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেই দুর্নীতির কথা ধরা পড়েছে ক্যাগের প্রতিবেদনেও। এনআরসির মুখ্য সমন্বয়কারী প্রতীক হাজেলাকে মধ্যপ্রদেশে বদলি করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মুখ লুকোনোর জায়গা পাচ্ছে না বিজেপি।
বিশদ

25th  January, 2020
মুখ হয়ে ওঠার নিরন্তর প্রয়াস
তন্ময় মল্লিক

কথায় আছে, মুখ হচ্ছে মনের আয়না। আবার কেউ কেউ মনে করেন, সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। তাই অনেকেরই ধারণা, সাফল্য লাভের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানই হল মুখ। রাজনীতিতেও সেই মুখের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে রাজনীতিতে সৌন্দর্য অপেক্ষা অধিকতর প্রাধান্য পেয়ে থাকে মুখের কথা, ভাষাও।  
বিশদ

25th  January, 2020
নিরপেক্ষ রাজনৈতিক চেতনার অভাব
সমৃদ্ধ দত্ত

 আজকাল একটি বিশেষ শ্রেণীর কাছে দুটি শব্দ খুব অপছন্দের। সেকুলার এবং ইন্টেলেকচুয়াল। ওই লোকটিকে আমার পছন্দ নয়, কারণ লোকটি সেকুলার। ওই মানুষটি আসলে সুবিধাবাদী এবং খারাপ, কারণ তিনি ইন্টেলেকচুয়াল। সমাজের এই অংশের উচ্চকিত তর্জন গর্জন হাসি ঠাট্টা কটাক্ষ শুনলে মনে হবে, সেকুলার হওয়া বোধহয় সাংঘাতিক অপরাধ। বিশদ

24th  January, 2020
বাজেটের কোনও অঙ্কই মিলছে না, আসন্ন বাজেটে বৃদ্ধিতে গতি ফিরবে কীভাবে?
দেবনারায়ণ সরকার

বস্তুত, বর্তমান অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতির চিত্র যথেষ্ট বিবর্ণ। সমৃদ্ধির হার ক্রমশ কমে ৫ শতাংশে নামার ইঙ্গিত, যা ১১ বছরে সর্বনিম্ন। মুদ্রাস্ফীতি গত ৩ বছরে সর্বাধিক। শিল্পে সমৃদ্ধির হার ৮ বছরে সর্বনিম্ন। পরিকাঠামো শিল্পে বৃদ্ধির হার ১৪ বছরে সর্বনিম্ন। বিদ্যুতের চাহিদা ১২ বছরে সর্বনিম্ন। বেসরকারি লগ্নি ১৬ বছরে সর্বনিম্ন। চাহিদা কমায় বাজারে ব্যাঙ্ক লগ্নি কমেছে, যা গত ৫৮ বছরে সর্বনিম্ন। রপ্তানিও যথেষ্ট ধাক্কা খাওয়ার ইঙ্গিত বর্তমান বছরে। এর উপর ভারতে বেকারত্বের হার গত ৪৫ বছরে সর্বনিম্ন।
বিশদ

24th  January, 2020
ক্ষমা করো সুভাষ
জয়ন্ত চৌধুরী

মুক্তিপথের অগ্রদূত তিনি। অখণ্ড ভারত সাধনার নিভৃত পথিক সুভাষচন্দ্রের বৈপ্লবিক অভিঘাত বাধ্য করেছিল দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের পটভূমি রচনা করতে। দেশি বিদেশি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকদের লেখনীতে আজাদ হিন্দের অসামান্য আত্মত্যাগ স্বীকৃত হয়েছে। সর্বাধিনায়কের হঠাৎ হারিয়ে যাবার বেদনা তাঁর জন্মদিনেই বড় বেশি স্পর্শ করে যায়।  
বিশদ

23rd  January, 2020
স্বামীজি, বিশ্বকবি ও নেতাজির খিচুড়ি-বিলাস
বিকাশ মুখোপাধ্যায়

মঙ্গলকাব্য থেকে কাহিনীটা এভাবে শুরু করা যেতে পারে।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই মা দুর্গা নন্দিকে তলব করেছেন, যাও ডাব পেড়ে নিয়ে এসো।
নন্দির তখনও গতরাতের গাঁজার খোঁয়ার ভাঙেনি। কোনওরকমে জড়ানো স্বরে বলল, ‘এত্তো সকালে মা?’  বিশদ

23rd  January, 2020
‘যে আপনকে পর করে...’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

মহাত্মা গান্ধী একটা কথা বলতেন, মনপ্রাণ দিয়ে দেশের সেবা যিনি করেন, তিনিই সত্যিকারের নাগরিক। নাগরিক কাহারে কয়? বা নাগরিক কয় প্রকার ও কী কী? এই জাতীয় প্রশ্ন এখন দেশে সবচেয়ে বেশি চর্চিত। সবাই নিজেকে প্রমাণে ব্যস্ত। ভালো নাগরিক হওয়ার চেষ্টাচরিত্র নয়, নাগরিক হতে পারলেই হল। তার জন্য কাগজ লাগবে। এক টুকরো কাগজ প্রমাণ করবে, আপনি আমি ভারতের বাসিন্দা।   বিশদ

21st  January, 2020
আইন ও বাস্তব
পি চিদম্বরম

আপনি যখন এই লেখা পড়ছেন তখন ইন্টারনেট, আন্দোলন, জনসমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, ভাষণ ও লেখালেখি এবং কাশ্মীর উপত্যকার পর্যটকদের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। কোনোরকম ‘চার্জ’ ছাড়াই রাজনৈতিক নেতাদের হেপাজতবাসও চলছে যথারীতি। সুতরাং প্রশ্ন উঠছে—আদালতের রায়ের পরেও বাস্তবে কিছু পরিবর্তন হয়েছে কি?
বিশদ

20th  January, 2020
মানুষকে সঙ্কটে ফেলা ছাড়া নোটবাতিলের
আর কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি 
হিমাংশু সিংহ

আর-একটা সাধারণ বাজেট পেশ হতে চলেছে দু’সপ্তাহের মধ্যে। নিঃসন্দেহে এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য, বেনজির আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করা, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির নরেন্দ্র মোদি যতই নিজের ঢাক পেটান না কেন, দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে জর্জরিত। 
বিশদ

19th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, ইংলিশবাজার: সারা দেশের সঙ্গে আজ শনিবার মালদহ জেলায় পালিত হল জাতীয় ভোটার দিবস। নতুন ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করার জন্য ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ...

সংবাদদাতা, কাঁথি: এসপি১২৫, বিএস-VI এবং অ্যাকটিভা বিএস-VI নামে নতুন বাইক ও স্কুটির মডেল বাজারে নিয়ে এল হোন্ডা। ২৩ জানুয়ারি কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজ ফুটবল গ্রাউন্ডে পিএমপি হোন্ডা ও প্রশান্ত হোন্ডার যৌথ উদ্যোগে ‘অ্যাডভান্সড ফেস্ট’ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই দুটি মডেলের ...

সংবাদদাতা, বর্ধমান: টেস্ট ক্রিকেটের আকর্ষণ ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ আইসিসিকেই নিতে হবে। তা চারদিনের হোক বা পাঁচদিনের টেস্ট হোক। মানুষ টেস্টে ফল দেখতে চায়। নিস্ফলা ড্র দেখতে মানুষ মাঠে আসবে না। ফলটাই হল আসল। সেই জন্য চারদিন হোক বা পাঁচদিনের ...

বিএনএ, তমলুক: রেশন সামগ্রী লরিতে ভর্তি করে পাচার করার সময় হাতে নাতে ধরে পাঁশকুড়া থানার পুলিসের হাতে তুলে দিলেন জেলা পরিষদের খাদ্য ও সরবরাহ স্থায়ী ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

সাধারণতন্ত্র দিবস
১৮৪১: আনুষ্ঠানিকভাবে হংকং দখল করল ব্রিটিশরা
১৯৩০: পরাধীন ভারতে এই দিনটিকে ‘পূর্ণ স্বরাজ দিবস’ বা ‘স্বাধীনতা দিবস’ হিসাবে ঘোষণা করল জাতীয় কংগ্রেস
১৯৫০: লাগু হল ভারতের সংবিধান। রাষ্ট্রপতি পদে রাজেন্দ্র প্রসাদ দায়িত্ব গ্রহণ করে সূচনা করলেন গণতন্ত্রের।
১৯৫৪: রাজনীতিবিদ মানবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু
১৯৬৫- হিন্দিকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র
১৯৯২: পরমাণু অস্ত্রের মাধ্যমে আমেরিকার বিভিন্ন শহরকে নিশানা করা থেকে রাশিয়া বিরত হবে বলে জানালেন বরিস ইয়েলৎসেন
২০০১: গুজরাতের ভুজে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃত্যু হল প্রায় ২০ হাজার মানুষের
২০০৪: আফগানিস্তানের নয়া সংবিধানে স্বাক্ষর করলেন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫১ টাকা ৭২.২১ টাকা
পাউন্ড ৯১.৯৮ টাকা ৯৫.৩২ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৮ টাকা ৮০.৩৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  January, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৯৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৮৮৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,৪৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, (মাঘ শুক্লপক্ষ) দ্বিতীয়া ৫৯/৪৫ শেষ রাত্রি ৬/১৬। ধনিষ্ঠা অহোরাত্র। সূ উ ৬/২১/৫৩, অ ৫/১৬/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ গতে ১০/০ মধ্যে। রাত্রি ৭/১ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ১০/২৭ গতে ১/১০ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
১১ মাঘ ১৪২৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দ্বিতীয়া ৫৬/১৭/৫২ শেষরাত্রি ৪/৫৬/৫। ধনিষ্ঠা ৫৮/৫৪/২৯ শেষরাত্রি ৫/৫৮/৪৪। সূ উ ৬/২৪/৫৬, অ ৫/১৪/৫৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/১ গতে ৯/৫৯ মধ্যে ও রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে। কালবেলা ১১/৪৯/৫৬ গতে ১/১১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৮/৪১ গতে ৩/৭/২৬ মধ্যে।
৩০ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শুভেচ্ছা ও ছুটি

আজ রবিবার দেশের ৭১তম সাধারণতন্ত্র দিবস। এই উপলক্ষে বর্তমান পত্রিকার ...বিশদ

08:00:00 AM

আজকের রাশিফল  
মেষ: দাম্পত্যজীবন শুভ। বৃষ: উপার্জন ভাগ্য শুভাশুভ মিশ্রিত। মিথুন: কথাবার্তায় সংযত না ...বিশদ

25-01-2020 - 07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
জাতীয় ভোটদাতা দিবস১৮৫০: অভিনেতা অর্ধেন্দু শেখর মুস্তাফির জন্ম১৮৫৬: সমাজসেবক ও ...বিশদ

25-01-2020 - 07:03:20 PM

পদ্মভূষণ পাচ্ছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনহর পারিক্কর, ব্যবসায়ী আনন্দ মহিন্দ্রা ও ভেনু শ্রীনিবাসন, ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধু, নাগাল্যান্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস সি জমির এবং জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মুজাফ্ফর হোসেন বেগ 

25-01-2020 - 09:18:00 PM

পদ্মবিভূষণ পাচ্ছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি, স্বরাজ, জর্জ ফার্ণান্ডেজ, বক্সার মেরি কম, মরিশাসের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অনিরুদ্ধ জগন্নাথ 

25-01-2020 - 09:13:00 PM

 পদ্মশ্রী পাচ্ছেন কঙ্গনা রানউত, একতা কাপুর, আদনান সামি এবং করণ জোহর

25-01-2020 - 09:07:04 PM