কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
এই মুহূর্তে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের প্রায় সাড়ে ছ’কোটি গ্রাহক ৮.৬৫ শতাংশ হারে সুদ পান। যা তাঁদের দেওয়া হয় ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের উপর ভিত্তি করে। ইপিএফও সূত্রে জানা যাচ্ছে, বর্তমানে সংগঠনের যা আর্থিক অবস্থা, তাতে কোনও পরিস্থিতিতেই ইপিএফ সুদের হার বৃদ্ধি করার সম্ভাবনা নেই। হয় এর হার আগের বারের তুলনায় কমিয়ে দেওয়া হবে, আর না হলে তা অপরিবর্তিত থাকবে। ২০১৭-১৮ সালে ইপিএফ গ্রাহকদের ৮.৫৫ শতাংশ হারে সুদ দিত কেন্দ্র। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের ইপিএফ সুদের হার নির্ধারণ নিয়ে যে অছি পরিষদের বৈঠক হয়, সেখানে ১০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৮.৬৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা অবশ্য গত চার বছরের মধ্যে সবথেকে কম। ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে ইপিএফে সুদের হার ছিল ৮.৮ শতাংশ।
মনে করা হচ্ছে, যেহেতু চলতি বছরে ২০১৯ সালের পরিস্থিতি নেই, তাই ইপিএফের সুদের হার বৃদ্ধির পথে হাঁটবে না কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন। অন্যদিকে, তীব্র জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশন নিয়েও। বর্তমানে যার পরিমাণ এক হাজার টাকা। গতবছরই ইপিএফও অছি পরিষদের এক বৈঠকে এর পরিমাণ এক হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী তথা পদাধিকার বলে ইপিএফও অছি পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার। কিন্তু সেই বর্ধিত পরিমাণ কত হবে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। মন্ত্রক সূত্রের খবর, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অছি পরিষদের উল্লিখিত বৈঠকে নির্দিষ্ট করে ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশন (এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম, ১৯৯৫) নিয়ে আলোচনা হতে পারে। অর্থাৎ একইসঙ্গে ইপিএফের সুদের হার এবং এর ন্যূনতম মাসিক পেনশনের বর্ধিত পরিমাণ ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র।