কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, শনিবার সকালে পুলওয়ামা জেলার ত্রালে জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পায় নিরাপত্তা বাহিনী। জানা যায়, জয়েশ জঙ্গিগোষ্ঠীর শীর্ষনেতা কাইরি ইয়াসির সহ বেশ কয়েকজন জঙ্গি ওই এলাকায় আত্মগোপন করে রয়েছে। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। পুলিস জানিয়েছে, ত্রালের হরি-পৌরি এলাকায় তল্লাশি চলানোর সময়ে আচমকাই নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে দু’পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় চলে। খতম হয় কাইরি ইয়াসির সহ তিন জঙ্গি। ওই এলাকায় আরও কোনও জঙ্গি লুকিয়ে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তল্লাশি অভিযান জারি রয়েছে বলে খবর।
এদিকে, উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে লস্কর ও হিজবুল জঙ্গিগোষ্ঠীর সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করল পুলিস, সেনা ও সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী। এসএসপি রাহুল মালিক জানিয়েছেন, গতকাল রাত থেকে অভিযান চালিয়ে এই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতেরা প্রত্যেকে প্রকাশ্যেই লস্কর ও হিজবুল জঙ্গিগোষ্ঠীর হয়ে কাজকর্ম চালাত। লস্কর ও হিজবুল জঙ্গিদের থাকার জায়গা, প্রয়োজন মতো গাড়ি ও অন্যান্য বিভিন্ন জিনিসপত্রের ব্যবস্থার ভার ছিল এই সদস্যদের উপর। তাদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, ম্যাপ ও গোপন নথিপত্র মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিস। তারা কী পরিকল্পনা করছিল, জানতে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাহুল মালিক।
সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে জঙ্গি হামলার ছক অবশ্য নতুন কিছু নয়। প্রতিবারই পাক মদতে সাধারণতন্ত্র দিবসের সময় ভারতে হামলার ছক কষে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি। এবারও একই কৌশল নিয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি। সম্প্রতি পুলওয়ামার সংঘর্ষে এক জঙ্গি খতম হয়েছে। সে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদের সক্রিয় সদস্য বলে জানতে পেরেছে পুলিস। একাধিক ছদ্মনামে দক্ষিণ কাশ্মীরে ত্রাস হয়ে উঠেছিল আবু সইফুল্লা নামে ওই জঙ্গি। দীর্ঘদিন ধরেই সেনা-পুলিসের কাছে সে ছিল ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’। শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিসের তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার পুলওয়ামার অবন্তীপুরার একটি গ্রামে জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছে বলে খবর আসে পুলিসের কাছে। সেই মতো ওই গ্রামে অভিযান চালায় বাহিনী। সেই সময় জঙ্গিদের সঙ্গে বাহিনীর তুমুল গুলিযুদ্ধ শুরু হয়। জঙ্গিদের ছোঁড়া গুলিতে গুরুতর জখম হন এক পুলিস অফিসার ও এক সেনা জওয়ান। পরে তাঁদের মৃত্যু হয়। জখম দু’জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়ই সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি জঙ্গলঘেরা গ্রামে আশ্রয় নেয় জঙ্গিরা। তখনও পর্যন্ত পুলিসের কাছে খবর ছিল না, ওই দলে সইফুল্লা রয়েছে। বুধবার ভোর থেকেই ওই গ্রাম ঘিরে ফের তল্লাশি শুরু হয়। জঙ্গি-বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ বাধে। সেই সংঘর্ষেই মারা পড়ে এক জঙ্গি। অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। মৃত জঙ্গিকে শনাক্ত করার পরই জানা যায় সে আবু সইফুল্লা।