কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বর মাসে কাতরা গ্রামে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে এক প্রৌঢ় ঘরে ঢুকে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীরাই তাকে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেন। অভিযুক্তের জেলও হয়। কিন্তু কয়েকদিন আগে সে আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। এরকম একটা অভিযোগে কী করে অভিযুক্ত জামিন পেয়ে যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা।
এদিন সকালে নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন সহ বাসিন্দারা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। খবর পেয়ে পুলিস এলেও প্রথম দিকে অবরোধ তোলা যায়নি। খড়্গপুরের এসডিপিও সুকমল দাস ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। অবশেষে দীর্ঘ আলোচনার পর পুলিসের মধ্যস্থতায় অবরোধ ওঠে। তবে বাসিন্দারা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি থেকে সরেননি।
নির্যাতিতার মা বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর আমরা জকপুরের মনসা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলাম। ১২ বছরের মেয়ে বাড়িতেই ছিল। বিকেলে এসে শুনি এক প্রতিবেশী প্রৌঢ় বাড়িতে ঢুকে মেয়ের উপর অত্যাচার করেছে। মেয়ের মুখে সব শুনে বাসিন্দাদের বিষয়টা জানাই। সবাই মিলে ওই প্রৌঢ়কে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দিই। পুলিস মেয়েকে মেডিক্যাল করাবে বলে নিয়ে যায়। কিন্তু ওই রাতে মেডিক্যাল করানো হয়নি। পরের দিন দুপুরে মেডিক্যাল করানো হয়। কী হল আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।