কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মোট ১৬ দিন যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে চারদিন সমস্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে। চারদিন পর বাইক ও ছোট গাড়ি ব্রিজের একপাশ দিয়ে চলাচল করতে পারলেও ১৬ দিন পর্যন্ত বাস ও ভারী যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। এই ব্রিজটি পূর্ব বর্ধমান জেলার সঙ্গে হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব মেদিনীপুর এই পাঁচটি জেলার যোগাযোগের মাধ্যম। এই পাঁচটি জেলার অসংখ্য বাস বর্ধমান শহর থেকে এই ব্রিজের উপর দিয়েই যাতায়াত করে। ব্রিজ সংস্কারের জন্য ‘কাটা সার্ভিস’ চালু হয়েছে। বর্ধমানগামী বাসগুলি ইডেন ক্যানেল ব্রিজে ঢোকার আগে পলেমপুরে দাঁড় করানো হচ্ছে। তা নিয়েও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল। কারণ, পলেমপুর থেকে বর্ধমানে আসার জন্য টোটো চালু করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। অনেকে নাকি বেশি ভাড়াও হাঁকছে। পলেমপুরে দাঁড়ালেও সেখানে অব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন বাস শ্রমিকরা। সেই কারণেই শুক্রবার সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাতে দুর্ভোগ একেবারে চরমে গিয়ে পৌঁছয়। বাস বন্ধের সুযোগে বহু ম্যাটাডর গাড়ি আরামবাগ যাওয়ার জন্য যাত্রী পিছু ১০০ টাকা ভাড়া নিয়েছে বলে যাত্রীদের দাবি। অথচ, বর্ধমান থেকে আরামবাগ পর্যন্ত বাসে ৩৫ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়।
বর্ধমান জেলা বাস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক তুষারকান্তি ঘোষ বলেন, ইডেন ক্যানেল ব্রিজ সংস্কারের জন্য গত ৬ জানুয়ারি জেলাশাসকের অফিসে একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, পূর্ত ভবনের পাশ দিয়ে যে রাস্তাটি রয়েছে, সেখান দিয়েই বাস চলবে। ওই রাস্তা পূর্তদপ্তর সংস্কার করে ঠিক করে দেবে। কিন্তু, বুধবার রাতে আমচকা প্রশাসন ও পুলিসের পক্ষ থেকে ঠিক করা হয়, পলেমপুরে বাস দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেটাই করা হয়। এই রুটে প্রায় ২৬২টি বাস চলাচল করে। প্রথমত, পলেমপুরে এত বাস দাঁড়ানোর জায়গা নেই। আলো নেই, টয়লেট নেই, খাবার জল নেই। এমনকী, বাসকর্মীদের খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত হোটেল নেই। এই অসুবিধার কথাগুলি শ্রমিকরা আমাদের জানান। তার জেরেই শুক্রবার সকাল থেকে বাস বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিন জেলা প্রশাসন বৈঠক করেছিল। আমরা বলেছি, আমাদের দাবিগুলি পূরণ করলেই শনিবার সকাল থেকে বাস চালাব।
পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক রজত নন্দা (উন্নয়ন) বলেন, পলেমপুরে যা যা দরকার আমরা তা পূরণ করে দিচ্ছি। শুক্রবার বিকেল থেকেই বাস চালাতে বলা হয়েছে। তবে, শনিবার থেকে সমস্ত বাস চলবে। কারও যাতে সমস্যা না হয় তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।