কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
বাতানল উচ্চ বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের দু’টি অফিস ঘরের সাতটি তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢোকে। এরপর একটি অফিস রুমের ছ’টি ও অপর একটি অফিসরুমের তিনটি আলমারি ভেঙে বিভিন্ন নথিপত্র সহ অফিসে থাকা নগদ প্রায় ২০০০ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। এদিন সকালে স্কুলের দুই কর্মী শ্যামল দুলুই ও কার্তিক সরকার অফিস রুমের তালা খুলতে গিয়ে বিষয়টি বুঝতে পারেন। এরপর তড়িঘড়ি খবর পেয়ে স্কুলে আসেন অন্যান্য শিক্ষকরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত পাঁজা বলেন, অফিসরুমে থাকা নগদ কিছু টাকা ও জরুরি কিছু কাগজপত্র খোয়া গিয়েছে। চলতি ইংরেজি মাসের প্রথম সপ্তাহে স্কুলের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠান হয়েছিল। তাই স্কুলে মূল্যবান সামগ্রী ও নগদ টাকা থাকতে পারে ভেবে দুষ্কৃতীরা চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
এদিকে, ওই একই রাতে তেলুয়া শিশুশিক্ষা কেন্দ্রেও চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ। ওই প্রাথমিক স্কুলে সরস্বতী পুজোর জন্য প্রায় ২০০০ টাকা অফিসঘরে রাখা ছিল। রাতে তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা নগদ টাকা ও বেশকিছু নথি নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুন্তল ঘোষাল বলেন, নগদ টাকা ও মূল্যবান নথিপত্র খোয়া গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাতানল এলাকা থেকে আরামবাগ থানার দূরত্ব বেশি। যে কারণে আরামবাগ থানার মলয়পুর পুলিস ক্যাম্প থেকে ওই এলাকায় নজরদারি রাখা হয়। বিষয়টি নিয়ে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দীপক মাঝি বলেন, এ ধরনের ঘটনা কখনওই কাম্য নয়। পুলিসকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করছি, শীঘ্রই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে।