কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, নাদনঘাটে এক হোটেল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শিবনাথ ওরাঁও সহ বেশ কয়েকজনের নামে এফআইআর হয়েছে। বর্ধমানে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে ময়নাতদন্ত করা হয়। তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মৃতের বাবা বলেন, ছেলেকে হোটেলের মধ্যেই পিটিয়ে খুন করা হয়। ওর সারা দেহে মারধরের দাগ আছে। অনেকে এই খুনের ঘটনায় যুক্ত আছে বলে আমার ধারণা। কিন্তু, রাকেশকে কেন খুন করা হল বুঝতে পারছি না। একবছর আগে ছেলে ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিল। এক মাস আগে বাড়ি আসে। তারপরই তুলসিডাঙার ওই হোটেলে কাজ শুরু করে। ওই হোটেলের মালিক পবন দেবনাথ। তাঁর কাছ হোটেলটি লিজ নিয়ে চালাচ্ছিলেন নিতাই কর্মকার। তাঁর বাড়ি পূর্বস্থলী থানার শিবতলায়। ছেলে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে যাতায়াত করত। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমরা ওই বন্ধ হোটেলের কাছে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। ওখানের একটি ঘর থেকে পচা দুর্গন্ধ আসছিল। ওই ঘরেই ছেলের মৃতদেহ লুকনো ছিল। ছেলের খুনিদের শাস্তির দাবি করছি।
প্রসঙ্গত, ১৪ জানুয়ারি থেকে রাকেশের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ওইদিন থেকেই হোটেলটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাকেশের সঙ্গে ওই হোটেলে কাজ করত শিবনাথ ওরাঁও। তার বাড়িও ভাতুরিয়াতে। শিবনাথ রাকেশের বাবাকে জানিয়েছিল, তুলসিডাঙার হোটেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাকেশ কলকাতায় চলে গিয়েছে। রাকেশের মোবাইল ও সাইকেলটির খোঁজ মেলেনি।
বৃহস্পতিবার হোটেল থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের পর স্থানীয় অনেকে ওই হোটেলের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, হোটেল ব্যবসার নামে ভিতরে মদ্যপান ও মধুচক্রের আসর বসত। দূর-দূরান্তের অচেনা মহিলাদের ওই হোটেলে দেখা যেত। হোটেল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বড়সড় রহস্য রয়েছে। যদিও সন্ধ্যা নাগাদ পুলিস ওই হোটেলটি সিল করে দেয়। বাইরে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে।