দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
শুধু নজরুল সাহেব নয়, খোদা বক্স মণ্ডল নামে আর এক বাসিন্দা বলেন, এই আইন নিয়ে গোটা চাপড়াবাসী ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। দয়া করে এই নিয়ে একটা আলোচনা সভার আয়োজন করে আমাদের কথা শুনুন। এরপর আরও এক দু’জন এই নিয়ে বলতে গেলে পুলিসের তরফ থেকে অনুরোধ করা হয়, এলাকার সমস্যা নিয়ে কথা বলার জন্য।
বস্তুত, বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া সংখ্যালঘু অধ্যুষিত চাপড়ায় এই আইন নিয়ে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বিডিও অফিসের একটি সূত্রে খবর, চাপড়ায় ৭৮ হাজার মানুষ ভোটার তথ্য যাচাইয়ের কাজ করেছে। যার পিছনে কাজ করেছে এনআরসি আতঙ্ক। বিডিও অনিমেষকান্তি মান্না বলেন, ইভিপির সঙ্গে যে এনআরসির যোগ নেই তা বারবার প্রচার করা হয়েছে। তবে এটা অস্বীকার করা যায় না, এনআরসি আতঙ্কেই ইভিপিতে আবেদন এত বেশি হয়েছে। সামান্যটুকুও ভুল যাতে না থাকে সেই চেষ্টা সকলেই করেছেন। এদিন চাপড়ার গোখুরাপোতায় এলাকার মানুষজন ও কচিকাঁচারা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় শান্তিপূর্ণ মিছিল করে। গ্রামবাসী মুফতি মুসা করিম শেখ ও সিরাজুল হক বলেন, এই আইন আমরা কোনওভাবেই বলবৎ হতে দেব না। হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই হয়ে এতদিন আমরা ছিলাম। এই আইন আমাদের বিভাজন ঘটাচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করেছি। এরপর আরও বড় আন্দোলন গড়ে তুলব। এদিন হাঁসখালির বগুলায় এই আইন পাশ নিয়ে বিজয় মিছিল করে বিজেপি।
অন্যদিকে, এদিন চাপড়ার একাধিক বাসিন্দা বিভিন্ন এলাকায় মহিলা ও স্কুলছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা নিয়ে অভিযোগ তোলেন। যানজট সমস্যাও পুলিসকে দ্রুত মেটানোর জন্য আবেদন জানানো হয়। সফিউদ্দিন শেখ, আহাজ আলি মণ্ডলরা বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বহিরাগত যুবকরা স্কুলের ছাত্রী ও গৃহবধূদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করছে। সঙ্গে একাধিক জায়গায় মদ-জুয়ার আসর বসায় এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পরে পুলিস সুপারকে এব্যাপারে জিজ্ঞাস করা হলে তিনি বলেন, সমস্যা শোনার জন্যই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আমরা সবকিছু নোট করেছি। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।